Рет қаралды 28,979
ভগবান নৃসিংহ অবতার ভগবান বিষ্ণুর সবচাইতে ক্রোধীরূপী অবতার । পুরানশাস্ত্র গুলিতে ভগবান বিষ্ণুর এই অবতারের বর্ণনা দেখা যায় । কশ্যপ মুনির দুই সন্তান হিরন্যক্ষ ও হিরণ্যকশিপু ছিলো অসুর। ভগবান বিষ্ণু বরাহ অবতার গ্রহণ করে হিরন্যক্ষ অসুরকে বধ করেন। এতে হিরণ্যকশিপু ভীষন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধের আশায় ব্রহ্মার তপস্যা করেন । প্রজাপতি ব্রহ্মার কাছে বর প্রাপ্ত করেন - কোনো অস্ত্র বা শস্ত্রে, কোনো জীব বা জন্তু বা মানব বা দেবতা, দিনে- না রাত্রে, ঘরের ভেতরে না ঘরের বাইরে, শূন্যে নাতো ভূমিতে, জলে নাতো স্থলে কোথাও যেনো না মৃত্যু হয়। ব্রহ্মার সৃষ্ট কোনো জীব যেনো বধ না করতে পারে।
অপাত্রে উন্নত কিছু দিলে যেমন সে তার অপব্যবহার করে - ঠিক হিরণ্যকশিপু বর পেয়ে তাই করলো। নিজেকে নিজেই ভগবান ঘোষিত করে যাগ যজ্ঞ, দেবতাদের পূজা সকল বন্ধ করে দিলো। অসুরদের তাণ্ডব বাড়লো। হিরণ্যকশিপুর স্ত্রী কায়াদু দেবী, দেবর্ষি নারদের আশ্রমে এক সুন্দর দর্শন পুত্রের জন্ম দেন । সেই পুত্র বাল্যকাল থেকেই ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত ছিলো। মুখে সর্বদা হরিনাম করতো । নিজ পুত্রের মুখে পরম শত্রু বিষ্ণুর বন্দনাস্তব শুনে হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে দৈত্যগুরু শুক্রের আশ্রমে আসুরিক বিদ্যা শেখবার জন্য পাঠালো । কিন্তু সেখানে অসুরাজের চেষ্টা বিফল হোলো। অল্পদিনের মধ্যে প্রহ্লাদ সকল অসুরবালক দের যারা আসুরিক বিদ্যা শিখতে এসেছিলো তাদের মধ্যে বিষ্ণু ভক্তির বীজ বপন করলো। ক্রুদ্ধ হয়ে হিরন্যকশিপু প্রহ্লাদ কে মৃত্যুদণ্ড দিতে বিষাক্ত সাপের মাঝে রেখে দিলো, মত্ত হস্তীর সামনে ফেলে দিলো, বিষ মেশানো ক্ষীর খাওয়ালো, পাহাড়ের উপর থেকে ফেলে দিলো তবুও ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদের কিছুই হোলো না। হিরন্যকশিপুর বোন হোলিকা প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে বসলো , হোলিকা বর পেয়েছিলো আগুনে তার ক্ষতি হবে না। কিন্তু অসৎ কাজে লিপ্তা হবার জন্য হোলিকা পুড়ে মরল। প্রহ্লাদ অক্ষত অবস্থায় চিতা থেকে নেমে এলো। হিরণ্যকশিপু তখন প্রহ্লাদ কে জিজ্ঞেস করলো- “তুই যে হরির নাম করিস সে থাকে কোথায়?” প্রহ্লাদ বলল- “তিনি সর্বত্র , সর্ব স্থানে বিরাজিত।” হিরন্যকশিপু একটি স্তম্ভ দেখিয়ে বলল- “এখানেও কি হরি আছেন?” প্রহ্লাদ বললেন- “অবশ্যই আছেন।”
হিরন্যকশিপু সেই স্তম্ভ ভেঙ্গে দেখতে চাইলো যে তার মধ্যে হরি আছেন নাকি । স্তম্ভ ভাঙ্গবার সাথে সাথে সেখান থেকে ভগবান হরি নৃসিংহ রূপ ধারন করে প্রকট হলেন। হিরন্যকশিপু ভগবান নৃসিংহ দেবের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হোলো। তখন নাতো দিন না রাত। সূর্য পুরোপুরি অস্তগামী হয় নি। ভগবান নৃসিংহ দেব চৌকাঠে বসে হিরন্যকশিপু কে কোলে নিলেন। এরপর নখ দিয়ে হিরন্যকশিপুর উদর ছিড়ে বধ করলেন। ব্রহ্মার বর অনুযায়ী নৃসিংহ দেব অস্ত্র বা শস্ত্র প্রয়োগ করলেন না। নখ অস্ত্র বা শস্ত্র নয়। অসুর মাটিতেও না আকাশেও না নৃসিংহ দেবের কোলে ছিলো। তখন ছিলো না রাত না দিন, নৃসিংহ দেব ঘরের মধ্যে বা বাইরে নয়- চৌকাঠে, নৃসিংহ দেব নাতো পুরো দেবতা ছিলেন না পশু, তিনি ব্রহ্মার সৃষ্টিতে আসেন না। কারন ভগবান বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মার সৃষ্টি হয়েছে । এইভাবে অসুর বধ হোলো।বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে গোধূলী লগ্নে ভগবান শ্রীনারায়ণ , নৃসিংহ অবতার গ্রহণ করেছিলেন ।
ভক্তেরা এদিন ভগবান নৃসিংহ দেবের পূজা করেন। পরদিন বৈশাখী পূর্ণিমা । এইদিন ভগবান বিষ্ণু শান্ত অবতার বুদ্ধ রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে ।
জয় জয় ভগবান নৃসিংহ দেব কি জয়।
জয় কলির বিপদনাশিনী ভগবান নৃসিংহ দেব কি
ভিডিও টি ভালো লাগলে এখুনি আমাদের চ্যানেল টিকে subscribe করে নিন এবং পাশে থাকা বেল icon টি প্রেস করে রাখুন আমাদের পরের ভিডিও সবার প্রথমে দেখার জন্য...
ধন্যবাদ
#নৃসিংহঅবতার