Рет қаралды 292,436
পাইলস থেকে মুক্তির উপায় / পাইলস এর লক্ষণ ও প্রতিকার /পাইলস রোগের ঔষধ অর্শ রোগের লক্ষণ / অর্শ কেন হয় / অপারেশন ছাড়া পাইলসের চিকিৎসা
১. পেলভিক ফ্লোর মাসল এক্সারসাইজ
/ ds4ef4রব্লহ
২. পেলভিক ফ্লোর মাসলের ৬ টা এক্সারসাইজ
• দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার...
অপারেশন ছাড়াই অর্শরোগ বা পাইলসের স্থায়ী চিকিৎসা করতে পারেন
আপনি হয়তো টয়লেটে যেতে ভয় পাচ্ছেন । টয়লেটে গেলেই আপনার ব্যথা শুরু হবে । পায়খানার সাথে রক্ত বের হতে শুরু হবে । এই সমস্যার নাম হয়তো আমরা অনেকেই জানি । এটাই হল অর্শ বা পাইলস ।
আমাদের পায়খানার রাস্তায় বা মলদ্বারে অনেক সময় রক্তনালী , মাংসপেশি বা ইলাস্টিক ফাইবারগুলো ইনফ্লামেশন হয়ে ফোলে একসাথ হয় জমাট বেধে যায় । পায়খানার সময় ওই ফোলা জায়গা ছিঁড়ে ব্যথা এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে । অনেক সময় পায়ুপথের মুখ থেকে জমাট মাংসপিণ্ড বের হয়ে বাহিরে চলে আসে । হাত দিয়ে চাপ দিলে এটা আবার পায়ুপথ দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায় । এই সমস্যাকে অর্শরোগ বা পাইলস বলা হয় ।
আজকে জানব আপনি নিজে কিভাবে অর্শরোগ বা পাইলসের চিকিৎসা নিজে করবেন এবং স্থায়ীভাবে সমাধান পাবেন -
১। পেলভিক ফ্লোর মাসলের এক্সারসাইজঃ নিয়মিত ভাবে পেলভিক মাসলের এক্সারসাইজ করলে আপনি অর্শরোগ বা পাইলসের স্থায়ীভাবে সমাধান পাবেন । পেলভিক মাসলের স্টেন্দিং এক্সারসাইজগুলো আপনি এই বিষয়ে এক্সপার্ট ফিজিওথেরাপিস্টের কাছ থেকে শিখে দিবেন ।
২। মলদ্বারকে রিলাক্স করতে হবেঃ অর্শরোগের কারণে মল ত্যাগের সময় মলদ্বারটা টা রিলাক্স হয় না । ফলে পায়ুপথে অনেক বেশি প্রেশার পরে এবং রক্তক্ষরণ হয় । তাই আমাদের উচিত মল ত্যাগের সময় মলদ্বার রিলাক্স রাখা উচিত । অর্থাৎ আমাদের ইজি মুডে থাকা উচিত । এছাড়া ব্রেদিং এক্সারসাইজ করতে হবে যাতে পেলভিক মাসল রিলাক্স থাকে । পেলভিক মাসলকে কিভাবে কিভাবে রিলাক্স করতে হয় সেটা ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে থেকে শিখে নিবেন ।
৩। দৈনিক ৩ বার থেকে সপ্তাহে ৩ বার পর্যন্ত পায়খানা হওয়া স্বাভাবিক বিষয় । অর্থাৎ দৈনিক ৩ বারের বেশি পায়খানা স্বাভাবিক নয়, আবার সেটা সপ্তাহে তিনবারের কম হওয়াও স্বাভাবিক নয় । আপনি লক্ষ্য রাখবেন এর বেশি কম হওয়া মানে আপনি অর্শরোগের ঝুঁকিতে আছেন । পায়খানা যদি শক্ত এবং ঘুটি ঘুটি হয় সেটা আপনার অর্শরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ন । আপনাকে আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে ।
৪। স্বাভাবিকভাবে মলত্যাগের জন্য নিয়মিত এক্সারসাইজ খুবই গুরুত্বপূর্ন । তবে কিছু কিছু এক্সারসাইজ থেকে দূরে থাকবেন যাদের অর্শ, পাইলসের সমস্যা আছে । বিশেষ করে অতিরিক্ত ওজন লিফটিং করা, জাম্পিং , কিছু পিলাটিস, এবং কিছু ইয়োগা এক্সারসাইজ । অর্থাৎ যেগুলো করলে আমাদের পায়ুপথের নালীতে অতিরিক্ত চাপ পরে সেইগুলো না করাই ভাল ।
৫। কোনভাবেই অতিরিক্ত কষাকষি বা জোর করে পায়খানা করবেন না । কারণ এতে সমস্যা আরো বাড়বেই । টয়লেট সেটিং এ বসেন । কখনই পা ঝুলিয়ে বসবেন না । সুন্দর করে পায়ের নিচে সাপোর্ট নিয়ে বসবেন । কমোড ছাড়া টয়লেটগুলো ভাল , এইগুলোতে মল পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়। হাই কমোডে বসলে মলদ্বারের নালী অনেকটা বাঁকা হয়ে যায়, ফলে মল সম্পূর্ন ত্যাগ হয় না । কিছু মল নালীতে থেকে যায় । তাই হাইকমোডে বসলে পায়ের নিচে উঁচু পিঁড়ি দিয়ে রাখতে পারেন । এবং কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে বসবেন । এতে মল ত্যাগ সহজ হয় ।
৬। ভাল অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ কখনই জোর করে মল ত্যাগ করবেন না । পায়খানার ভেগ আসলে টয়লেটে যাবে । টয়লেটে কখনই অধিক সময় বসে থাকবেন না । রুটিন করে নিতে পারেন, প্রতিদিন কখন টয়েলেটে যাবেন ।
৭। কখনই অতিরিক্ত ওজন তুলতে যাবেন না । এতে আপনার পায়ুনালীতে অতিরিক্ত প্রেশার পরে । ফলে অর্শ বাঁ পাইলসের সমস্যা আরো বাড়ে ।
৮। ধূমপান পরিহার করুন । ধূমপানের কারনে পায়খানার থলি উত্তেজিত/ জ্বালাতন হয় । এতে সমস্যা আরো বাড়ে ।
৯। স্কোয়াটিং সিটিং অবস্থায় পায়ুপথ এবং মলদ্বারের নালীতে অতিরিক্ত চাপ পরে । ফলে সমস্যা আরো বেড়ে যায় ।
এছাড়া বেশি ক্ষণ একটানা বসে থাকবেন না । ২০ মিনিট পর পর উঠে দাঁড়াবেন,হাঁটবেন এবং হালকা এক্সারসাইজ করতে পারেন ।
১০। ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখেনঃ অতিরিক্ত ওজন এবং অতিরিক্ত ফ্যাট আমাদের পেলভিক ফ্লোর মাসলে চাপ দেয় । এতে সমস্যা বেড়ে যায় ।
ধন্যবাদ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
উত্তরা, ঢাকা ।