Рет қаралды 28,865
সূরা নাবা এর তাফসীর, আয়াত : ১-৪০ || Surah Naba Tafsir : 1-40 || অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মেল হক || Mozammel Haque Barisal || Tahjib Center.
#tahjibcentermozammelhaque
Stay tuned by subscribing to our channel to hear more new Waz mahfil, tafsir mahfil, hamd-naat / Islamic music, and recitation of the Holy Quran.
সুরা নাবা
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ عَمَّ يَتَسَاءلُونَ
তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে? [সুরা নাবা - ৭৮:১]
عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ
মহা সংবাদ সম্পর্কে, [সুরা নাবা - ৭৮:২]
الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে। [সুরা নাবা - ৭৮:৩]
كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে, [সুরা নাবা - ৭৮:৪]
ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে। [সুরা নাবা - ৭৮:৫]
أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা [সুরা নাবা - ৭৮:৬]
وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا
এবং পর্বতমালাকে পেরেক? [সুরা নাবা - ৭৮:৭]
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, [সুরা নাবা - ৭৮:৮]
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, [সুরা নাবা - ৭৮:৯]
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
রাত্রিকে করেছি আবরণ। [সুরা নাবা - ৭৮:১০]
وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়, [সুরা নাবা - ৭৮:১১]
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ। [সুরা নাবা - ৭৮:১২]
وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি। [সুরা নাবা - ৭৮:১৩]
وَأَنزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاء ثَجَّاجًا
আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, [সুরা নাবা - ৭৮:১৪]
لِنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا
যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ। [সুরা নাবা - ৭৮:১৫]
وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا
ও পাতাঘন উদ্যান। [সুরা নাবা - ৭৮:১৬]
إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا
নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে। [সুরা নাবা - ৭৮:১৭]
يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে। [সুরা নাবা - ৭৮:১৮]
وَفُتِحَتِ السَّمَاء فَكَانَتْ أَبْوَابًا
আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে। [সুরা নাবা - ৭৮:১৯]
وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে। [সুরা নাবা - ৭৮:২০]
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, [সুরা নাবা - ৭৮:২১]
لِلْطَّاغِينَ مَآبًا
সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। [সুরা নাবা - ৭৮:২২]
لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا
তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে। [সুরা নাবা - ৭৮:২৩]
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না; [সুরা নাবা - ৭৮:২৪]
إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে। [সুরা নাবা - ৭৮:২৫]
جَزَاء وِفَاقًا
পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে। [সুরা নাবা - ৭৮:২৬]
إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না। [সুরা নাবা - ৭৮:২৭]
وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا
এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত। [সুরা নাবা - ৭৮:২৮]
وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি। [সুরা নাবা - ৭৮:২৯]
فَذُوقُوا فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব। [সুরা নাবা - ৭৮:৩০]
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য। [সুরা নাবা - ৭৮:৩১]
حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا
উদ্যান, আঙ্গুর, [সুরা নাবা - ৭৮:৩২]
وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী। [সুরা নাবা - ৭৮:৩৩]
وَكَأْسًا دِهَاقًا
এবং পূর্ণ পানপাত্র। [সুরা নাবা - ৭৮:৩৪]
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا
তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না। [সুরা নাবা - ৭৮:৩৫]
جَزَاء مِّن رَّبِّكَ عَطَاء حِسَابًا
এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান, [সুরা নাবা - ৭৮:৩৬]
رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرحْمَنِ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়, কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না। [সুরা নাবা - ৭৮:৩৭]
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا
যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে। [সুরা নাবা - ৭৮:৩৮]
ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَن شَاء اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآبًا
এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক। [সুরা নাবা - ৭৮:৩৯]
إِنَّا أَنذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنتُ تُرَابًا
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম। [সুরা নাবা - ৭৮:৪০]