Рет қаралды 5,451
ফেরিওয়ালা থেকে পাপোশ কারখানার মালিক। প্রতি মাসে শামীম নামের এই যুবক আত্মনির্ভরশীল হয়ে এখন আয় করছেন ১-২ লাখ টাকা। আর তার কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে ২০-২৫ জন শ্রমিকের। তার কঠোর পরিশ্রম ও ব্যবসায়িক সততা অনেকের কাছেই এখন দৃষ্টান্ত। পুরো ভিডিও জুড়ে আজ জানাবো তার সফলতার গল্প।
ছোট্ট এই টিনের ঝুপড়ি ঘরে নেই পর্যাপ্ত আলোকবাতি আর তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা। সেখানেই ২০-২৫ জন যুবক দিনভর পরিশ্রম করে বুনে যাচ্ছেন বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত স্বল্পমূল্যের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন পাপোশ। এই পাপোশ তৈরির কারখানার তরুণ উদ্যোগক্তা শামীম আহমেদ। পরিশ্রমই যে সৌভাগ্যের প্রসূতি- এই প্রবাদ তিনি পড়েছিলেন বইয়ে। বর্তমানে তা বাস্তবতা হয়ে ধরা দিয়েছে তার জীবনে।
শামীম জানান, একসময় একটি মেশিনে পাপোশ তৈরি করে তা ফেরি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতেন। লাভবান হওয়ায় বছর পাঁচেক আগে প্রথমে ১টি মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করেন। পাপোশের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেশিন ও কর্মচারীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একসময় তিনি ফেরি করা বাদ দিয়ে দেন। পরে একমাসের উৎপাদিত পাপোশ পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার পাইকারি আড়ত চকবাজারে বিক্রি করতে যান। সেখান থেকেই তিনি প্রচুর পাপোশের অর্ডার পান।
পরে তিনি সুবিধাজনক একটি স্থানে মাসে ১০ হাজার টাকায় একটি টিনের ঝুপড়ি ঘর ভাড়া নেন। স্বল্পমূল্যে ক্রয় করেন প্রায় ২০টি তাঁত মেশিন। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শামীমকে।
পাপোশ তৈরির প্রধান কাঁচামাল কারখানার ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো বা ঝুট আর সুতা। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝুট এবং বগুড়া থেকে সুতা সংগ্রহ করে আনা হয়। পরে কারখানায় সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করার পর তাঁতের মেশিনে সুতা ও ঝুট দিয়ে নান্দনিক পাপোশ তৈরি করা হয়।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, ১/২ হাত প্রস্থ ও দৈর্ঘ্যের একটি পাপোশ তৈরি করতে সময় লাগে ৮-১০ মিনিট। প্রতি পিস পাপোশের মজুরি দেয়া হয় ৭-৮ টাকা। এতে প্রতি মাসে পাপোশ তৈরি করে প্রায় ১২-১৪ হাজার টাকা আয় করেন তারা।
সাভারের আশুলিয়ার এই কারখানাটিতে প্রতি মাসে প্রায় ১৫ হাজার পিস পাপোশ উৎপাদন করা হয়। এসব পাপোশ পাইকারি মূল্যে ঢাকার চকবাজারে বিক্রি হয়ে থাকে।
copyright © A BIJOY TV Production-2023
সঙ্গে থাকুন বিজয় টিভির
Website: bijoy.tv/
Facebook: / bijoytvlimited
KZbin: / bijoytvofficial