Рет қаралды 69
পিঁয়াজ চাষে চাষীদের কথা # নদিয়ার বাটিকামারি গ্রামে। কৃষিসাহিত্য সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিকের রিপোর্ট, উপস্থাপন করছি আমি মণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
হাসখালি থানার পেঁয়াজ চাষীদের গ্রাম বাটিকামারি । চলুন বাটিকামারি গ্রামে ,
এখানকার ঘরে ঘরে এই চাষ হয়, পেঁয়াজ চাষ করে গ্রামের চাষিরা দুটো পয়সার মুখ দেখেছেন একটা সময়। এখানকার চাষীদের হাসি ফুটিয়েছে পেঁয়াজ চাষ।
গ্রাম সম্পন্ন হয়েছে এই পেঁয়াজ চাষ করে। পাকা ঘরবাড়ি হয়েছে, এই সাথে জীবনযাত্রাতেও পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু বিগত দু- বছর ধরে এখানকার চাষীদের মধ্যে পেঁয়াজ চাষ নিয়ে একটা হতাশা দেখা দিয়েছে। বিগত দু বছরেই খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে প্রত্যেক চাষি অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতি পূরণের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পেঁয়াজ উঠতে না উঠতেই অভাবে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়। দাম বেশি পাওয়া যায় না, দুই থেকে তিন টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। এদিকে চাষের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার ওপর অতিবৃষ্টিতে অনেক চাষী এবার মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলতে পারেননি। কিছু তুলে নিয়ে এলেও তা দাগি বা পচা হয়ে যাচ্ছে। চাষের লোকসান বেড়েই যাচ্ছে। পেঁয়াজ চাষীদের দিকে একদম তাকান না। সংরক্ষণের উপযোগী ঘর তৈরি করে দিলে পেঁয়াজ রেখে বিক্রি করা যায়। এতে চাষীদের কিছু অর্থাগম হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই বছরও অনেক ক্ষতি হয়েছে এখানকার চাষীদের। এখানকার বেলে দোআঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষের খুবই উপযুক্ত। ফলন হয় ভালোই তবু বিক্রি করে দাম পাওয়া যায় না এজন্য চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বললেন যে তারা আগামী দিনে এখানকার ২৮ টি গ্রামের চাষীদের দুরবস্থা বিবেচনা করে সরকারিভাবে পেঁয়াজ চাষের সংরক্ষণ কেন্দ্র করা যায় কিনা সে বিষয়ে যারা জেলা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। ক্যামেরায় রাজু মন্ডলের সঙ্গে স্বপন কুমার ভৌমিকের রিপোর্ট কৃষিসাহিত্য নিউজ