Рет қаралды 45,089
@Ptottashatv
৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাড়ি বুঝে পায়নি সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ও নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আখি খাতুন। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নারী ফুটবলের জন্য মর্যাদাপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন এই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের অজোপাড়া গায়ের দরিদ্র ঘরের মেয়ে আখি খাতুন।
বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল থেকে তার যাত্রা শুরু, ২০১৭ সালে সাফ অনুর্ধ১৫ ফুটবল টুর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি, জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। একের পর এক সাফল্য মাথা নুইয়েছে তার কাছে। শ্রেষ্ঠ নারী ফুটবলার নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখি খাতুনকে বাড়ি বরাদ্ধ দেওয়ার ঘোষনা দেন।
তখন একটি মহলের জোগসাজোসে শাহজাদপুর পৌর শহরের মনিরামপুর মহল্লায় একটি বিতর্কিত জায়গা তার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে সেই জায়গা তো তিনি বুঝে পাননি, তার বিনিময়ে আখি ও তার পরিবার দিনের পর দিন বিরম্বনার স্বীকার হয়েছে। বছরের পর বছর ঘরেছেন সরকারে এই দফতর থেকে অন্য দফতরে।
সব শেষ কিছুদিন পূর্বে শাহজাদপুর পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের দাবারিয়া মহল্লায় ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ২৫ শতাংশের একটি জায়গার মধ্যে ৮ শতাংশ তার নামে স্থানীয় প্রশাসন রেজিস্ট্রি করে দেয়। এরই মধ্যে নেপালকে হারিয়ে সাফ ফুটবলের শিরোপা প্রথমবারের মতো জয় করে বাংলাদেশের বাঘিনীরা। সেই দলের অন্যতম সদস্য ও নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ছিলো আখি খাতুন।
সারাদেশ এই আনন্দে আত্মহারা হলেও বিশাদের কালো মেঘে আচ্ছন্ন ছিল আখি ও তার বাবা মায়ের চোখে মুখে। পরদিনই তারা জানতে পারেন যে বর্তমান বরাদ্দকৃত জায়গায় দাবারিয়া গ্রামের কুতুবউদ্দিন নামের একজন আখির নামে জায়গা সংক্রান্ত একটি মামলা করেছেন।
সেই মামলায় তিনি জায়গার মালিক হিসেবে কোন দাবি করেননি অথচ মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে যে আখি ও তার বাবা আক্তার হোসেন কুতুবউদ্দিনকে হুমকি দিয়ে চলেছেন।
ছোটবেলা থেকেই প্রতিবেশীদের রক্তচোক্ষু দেখেও ফুটবল খেলাকে বুকে ধারণ করে বড় হয়েছে দরিদ্র তাঁত শ্রমিকের মেয়ে আখি মনি, তিন বেলা ঠিকমতো না খেতে পারলেও ক্ষুধার্থ শরীরে দিনরাত ফুটবলের জন্য সাধনা করেছেন। বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন, বাংলাদেশের নারী ফুটবলকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্ব দরবারে। সেই আখি খাতুন এখনও বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন নিদারুন কষ্ট।
প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দেওয়ার ঘোষনার ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও আখির ভাগ্যে জোটেনি লালিত স্বপ্নের সেই বাড়ি। এখনও গ্রামের বাড়িতে এলে বাবা মা ও ভাই সহ পরিবারে ৪ সদস্যকে একই বিছানায় ঘুমাতে হয়। তবুও