Рет қаралды 4,162
(প্রতি শুক্রবার শুনুন)আবেগময় কণ্ঠে সূরা কাহফ | Surah Kahf | سورة الكهف | @alaaaqel54
প্রশান্তিময় সূরা কাহফ তেলাওয়াত । Very calming recitation of Surah AL KAHF (the Cave) سورة الكهف
➽ Subscribe Now: / @shikhunquran88
#quran #surahkahf #kahf #beautifulquranrecitation #jummamubarak
আল কাহফ ( আরবি:سورة الكهف) হল মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৮ তম সূরা৷ এর আয়াত সংখ্যা ১১০ টি ও রূকুর সংখ্যা ১২ টি। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সূরায় কুরাইশদের তিনটি প্রশ্ন উল্লেখ করে সেসবের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় হযরত মুসা, হযরত খিযির ও জুলকারনাইনের ঘটনাও বর্ণনা করা হয়েছে। এ সূরার আলোচনার মূল বিষয় হল আসহাবে কাহফ বা কয়েকজন দুনিয়াত্যাগী গুহাবাসী মুমিনের ঘটনা।
ইমাম ইবনে জরীর তাবারী হজরত ইবনে-আব্বাসের রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেন যখন মক্কায় রসূলুল্লাহ্ -এর নবুওয়তের চর্চা শুরু হয় এবং কোরাইশরা তাতে বিব্রত বোধ করতে থাকে, তখন তারা নজর ইবনে হারেস ও ওকবা ইবনে আবী মুয়ী'তকে মদীনার ইহুদি পণ্ডিতদের কাছে প্রেরণ করে।
রাসূলুল্লাহ্ সম্পর্কে তারা কি বলে, জানার জন্যে। ইহুদি পন্ডিতরা তাদেরকে বলে দেয় যে, তোমরা তাকে তিনটি প্রশ্ন করো। তিনি এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে বুঝে নেবে যে, তিনি আল্লাহ্র রসূল। অন্যথায় বোঝবে, তিনি একজন বাগাড়ম্বরকারী রসূল নন।
এক. তাঁকে ঐসব যুবকের অবস্থা জিজ্ঞাসা কর, যারা প্রাচীনকালে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের ঘটনা কি? কেননা, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ঘটনা।
দুই. তাঁকে সে ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস কর, যে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফর করেছিল। তার ঘটনা কি?
তিন. তাঁকে রুহূ সম্পর্কে প্রশ্ন কর যে, এটা কি?
উভয় কোরাইশী মক্কায় ফিরে এসে ভ্রাতৃসমাজকে বলল আমরা একটি চূড়ান্ত ফয়সালার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফিরে এসেছি। অতঃপর তারা তাদেরকে ইহুদি আলেমদের কাহিনি শুনিয়ে দিল। কোরাইশরা রসূলুল্লাহ্ -এর কাছে এ প্রশ্নগুলো নিয়ে হাজির হল।
তিনি শুনে বললেন আগামীকাল উত্তর দেব। কিন্তু তিনি ইনশাআল্লাহ্ বলতে ভুলে গেলেন। কোরাইশরা ফিরে গেল। রসূলুল্লাহ্ ওহির আলোকে জওয়াব দেবার জন্যে আল্লাহ্র তরফ থেকে ওহি আসর অপেক্ষায় রইলেন।
কিন্তু ওয়াদা অনুযায়ী পর দিবস পর্যন্ত ওহি আগমন করল না; বরং পনেরো দিন এ অবস্থায় কেটে গেল। ইতিমধ্যে জিবরাঈলও এলেন না এবং কোন ওহীও নাজিল হল না। অবস্থাদৃষ্টে কোরাইশরা ঠাট্টা-বিদ্রুপ আরম্ভ করে দিল। এতে রসূলুল্লাহ্ খুবই দুঃখিত ও চিন্তিত হলেন।
পনেরো দিন পর জিবরাইল সূরা কাহফ নিয়ে অবতার করলেন। এতে ওহির বিলম্বের কারণও বর্ণনা করে দেয়া হল যে, ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ওয়াদা করা হলে ইনশাআল্লাহ্ বলা উচিত।