Рет қаралды 183,691
পুকুরে রেনু চাষ পদ্ধতি
১ম দিন থেকে ৫০ দিনের সকল ব্যবস্থাপনা
Renu Cultivation Method in the Pond
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা হালাল রুজির সন্ধানে গড়ে ওঠা আমাদের এই ছোট্ট চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম। আপনারা জানেন আমরা আমাদের নিজস্ব কর্মকাণ্ড গুলোকে ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে সাদা মাছ অর্থাৎ রুই, মৃগেল, সিলভার, সরপুঁটি, গ্রাস কাপ, কার্পিও এই মাছ গুলোর রেনু চাষ সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। এইসব মাছ গুলোর চাষ ব্যবস্থা এবং খাদ্য ব্যবস্থা একি। তাই আপনি চাইলে এই পদ্ধতিতে আলাদা আলাদা অথবা একত্রে যে কোন সাদা মাছ বা কার্প জাতীয় মাছের রেনু চাষ করতে পারবেন।
রেনু বলতে আমরা ডিম থেকে সদ্য ফোটা ছোট মাছের বাচ্চা কে বোঝাই, একদিন বয়সি একেবারেই ছোট বাচ্চাগুলোকে যত্নসহকারে বড় করে তোলা যদিও খুব সহজ কাজ নয়। তবুও আমি চেষ্টা করব বিষয়টাকে সহজভাবে উপস্থাপন করতে, যাতে নতুন খামারী বা উদ্যোক্তাদের প্রথম অবস্থায় রেনু চাষের উদ্যোগে যে ভয় বা জটিলতাগুলো বাধাগ্রস্ত করে সেটা কাটিয়ে তোলা যায়। তাই ভালভাবে বোঝার জন্য পুরো ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখার অনুরোধ রইলো।
যারা নতুন দেখছেন, আশা করি রেনু ছাড়ার পূর্বে পুকুর প্রস্তুতি সংশ্লিষ্ট আমাদের অন্যান্য ভিডিওগুলো যেমন,পুকুর নির্বাচন, পুকুরে রাক্ষসে মাছ নিধন, শুকনো পুকুরে হালচাষ, পুকুরে চুন প্রয়োগ, এবং পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি, এই ভিডিওগুলো দেখে নেবেন, এবং সম্ভব হলে সম্পূর্ণ পুকুর নেট জাল দিয়ে ঘিরে রাখবেন, তবে কোনো কারণে সেটা সম্ভব না হলে প্রয়োজন নেই।
এবার চলুন শুরু করা যাক, পুকুরে সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হলে, পানির রং হালকা সবুজ বা বাদামি রঙের হবে। এমনতো অবস্থায় রেনু ছাড়ার 12 থেকে 24 ঘণ্টা আগে প্রতি শতকে 1 ফুট পানির জন্য 2 থেকে 3 মিলি সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে। আমরা আমাদের এই পুকুরটিতে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পানির জন্য 50 মিলি এই বোতলটি সম্পূর্ণ ব্যবহার করছি। আমরা দেখুন রেনু আনার আগের দিন দুপুর বেলা রোদ্রজ্জল সময় এই কীটনাশক ব্যবহার করছি। রেনু ছাড়ার পূর্বে এই কীটনাশকটি ব্যবহারের ফলে পানিতে থাকা হাঁস পোকা বা ক্লাডোসিরা জাতীয় ক্ষতিকর পোকা থেকে রেনু পোনা গুলো নিরাপদ থাকবে। সুমিথিয়ন বা কীটনাশক ব্যবহারের পর রেনু পোনা ছাড়ার পূর্বে মাঝখানের সময়টাতে পুকুরে একবার জাল টেনে দিতে পারলে ভালো হয়, তবে সম্ভব না হলে তেমন কোনো অসুবিধা নেই। মনে রাখবেন রেনু চাষের সফলতার 50 শতাংশই নির্ভর করে ভালো মানের রেনু পোনা বা ডিম পোনার উপর। কীটনাশক প্রয়োগের পরদিন অবশ্যই পূর্বনির্ধারিত মানসম্মত হেচারি থেকে ভালো মানের রেনু সংগ্রহ করতে হবে।
যতটা সম্ভব সকালবেলা রেনু নিয়ে আসার চেষ্টা করুন, যদি কোনো কারণে দেরি হয় বা দুপুর হয় আর পানি ও রোদের তাপমাত্রা বেশি হয় তাহলে পুকুরে কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে যতটা সম্ভব অংশে ছাড়ার ব্যবস্থা করে দিন। পানি বা রোদের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে এর প্রয়োজন নেই।
প্রথমে রেনুর অক্সিজেন পুরনো পলি গুলোকে 15 থেকে 20 মিনিট পুকুরের পানিতে ভাসিয়ে রাখি। এই সময়ের মধ্যে প্রতি 1 কেজি রেনু জন্য ২ থেকে ৪ টি ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন আলাদা আলাদা চারটি বা পাঁচটি পাত্রে পুকুরের পানি দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে নেই। স্যালাইন মিশ্রিত পাত্রের পানি গুলোতে রেনু গুলো প্রথম ছেড়ে দিই। এরপর আবার 10 থেকে 15 মিনিট অপেক্ষা করি এবং এই সময়ে দুইটি সিদ্ধ ডিমের কুসুম সম্ভব হলে হাঁসের ডিম দেয়ার চেষ্টা করবেন, কুসুম গুলো সুতি কাপড়ের ওপর রেখে পানি দিয়ে দিয়ে সুন্দরভাবে গুলিয়ে নিয়ে সকল রেনুর পাত্রে সমানভাবে দিয়ে আরো 10 থেকে 15 মিনিট অপেক্ষা করি। এরমধ্যে দু চার বার পাত্রের পানিগুলো হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে দেই বা অল্প অল্প করে পুকুরের পানি দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখি। 30 থেকে 60 মিনিটের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে রেনু গুলোকে ধীরে ধীরে পুকুরে ছেড়ে দেই।
রেনু ছাড়ার পূর্বে স্যালাইন বা ডিমের কুসুম খাওয়ানোর পদ্ধতি সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এর ফলে আপনি স্বাভাবিকের থেকে ভালো মানের প্রোডাকশন আশা করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ এবং এই প্রক্রিয়ার ফলে রেনুর মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। তবে আপনি চাইলে পলিথিন গুলোকে শুধু 15 20 মিনিট পানির সাথে অ্যাডজাস্ট করে ও সরাসরি পুকুরে ছাড়তে পারবেন।
Thanks for being with Us
#sarkar_express
@sarkar_express