Рет қаралды 165,951
মনে করুন আপনি ক্ষুদ্র পড়িসরে কলম উৎপাদনের জন্য একটি কলম উৎপাদনকারী মেশিন স্থাপন করেছেন। কিন্তু মার্কেটেতো আরো অনেক কলম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আছে , তারাও একই মার্কেটে ভিবিন্য ধরনের কলম বিক্রি করছেন। তাহলে আপনি নিশ্চয় চাইবেন আপনার উৎপাদিত কলমটির জন্য একটি পৃথক নাম দিতে যাতে মানুষ সহজেই আপনার কলমের নামটি মনে রাখতে পারে।
তাহলে ধরেনিলাম আপনি আপনার উৎপাদিত কলমের জন্য নাম দিলেন ‘জুম বল পেন’
আপনার অনেক প্রচেষ্টা এবং প্রচুর মার্কেটিং করার মাধ্যমে একসময় ‘জুম বল পেন’ বাজারে অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেল এবং আপনার উৎপাদিত কল্মগুলো বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। এখন ধরুন আপনার এই সফলতার সময় কিছু অসাধু ব্যক্তি আপনার । কলমের নাম এবং ধরন হুবহু নকল করে সে নিজেই কলম উৎপাদন শুরু , করে দিল এবং বাজারে বিক্রি করতে থাকলো। পাবলিক ‘জুম বল পেন’ নাম দেখে নকল পন্য কিনতে থাকল।
এখন দেখুন নকল পণ্যের কারনে আপনি দুই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন
১. নকল কলমগুলো বিক্রির কারনে আপনি ইনকাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন
২. একই সাথে উক্ত প্রতিষ্স্টহা নিন্মমানের কলম বিক্রি করে বাজারে আপনার ব্রান্ডের দুর্নাম করাচ্ছে
বাংলাদেশের প্রচুর উদ্যোক্তা এই একই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকে, তবে উদ্যোক্তাগন কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তো চলুন এখন আমরা দেখি এইধরনের পরিস্থিতি থেকে বাচতে একজন উদ্যোক্তাকে কি করতে হবে। উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হচ্ছে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন।
প্রথমেই দেখুন ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করতে কি কি লাগবেঃ
মার্ক/লোগোর ছবি লাগবে (অর্থাৎ যেই লোগোটি কে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন উক্ত লোগোটি কালার প্রিন্ট করে দিতে হবে )
মার্ক/লোগোর সুস্পষ্ট বর্ণনা দিতে হবে (অর্থাৎ যেই লোগোটি কে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন উক্ত লোগোটির সম্পর্কে সমস্ত বর্ননা দিতে হবে যেমন লোগোটিতে কোন অংসে কি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে ইত্যাদি)
যে পণ্য/সেবার বিপরিতে উক্ত মার্ক/লোগোটি রেজিস্ট্রেশন করা
হবে উক্ত পন্য বা সেবার ধরণ এবং বিবরন দিতে হবে
আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয় পত্র
ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের আবেদনের প্রক্রিয়াঃ
১. উপরোক্ত কাগজপত্র সাথে নিয়ে প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে ‘বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক’ অধিদপ্তরের অফিসে। সেখানে গিয়ে TM-১ ফরম নিতে হবে (আপনারা অনলাইন থেকেও TM-১ ফরমটি নামিয়ে নিতে পারবেন)
২. TM-১ ফরমটি কম্পিউটারের মাধ্যমে টাইপ করে পুরন করতে হবে
৩. TM-১ ফরমটি পুরন করার পরে নির্ধারিত ফি ব্যংকে জমা দিতে হবে
৪. এরপর TM-১ এর পুরঙ্কৃত ফরম, ব্যংক রসিদ এবং আনুসাংগিক কাগজপত্রগুলো পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে
৫. সেখান থেকে তারা আপনাকে একটি প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দিবেন
৬. আবেদন কারী কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্ত পরীক্ষানিরীক্ষার পর কোন আপত্তি না থাকলে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর আপনার মার্ক/লোগোটি সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য অনুমতি দিবে
৭. সংবাদপত্রে প্রকাশের অনুমতি পাওয়ার পর এবার আপনাকে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য নির্ধারিত ফি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে ( আপনার লোগোট সংবাদপত্রে প্রকাশের মূল উদ্দেশ্য হল অন্য কোন ব্যক্ত বা প্রতিষ্ঠানের উক্ত লোগ নিয়ে কোন আপত্তি আছে কিনা তা জানা )
৮. সংবাদপত্রে প্রকাশের দিন থেকে পরবর্তী ২ মাসের মধ্যে কারো আপত্তি থাকলে ‘বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক’ অধিদপ্তরের অফিসে লিখিতভাবে তাদের আপত্তি জানাতে হবে
৯. আর ২ মাসের মধ্যে কারো আপত্তি না পাওয়া গেলে আপনার লোগোটি আপনার পন্য/সেবার নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে
১০. এক্ষেত্রে আপনাকে ‘বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক’ অধিদপ্তরের অফিস থেকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে
ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পর আপনার প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্যকোন প্রতিষ্ঠান যদি একই ধরনের মার্ক/লোগো ব্যবহার করে কোন পন্য বা সেবা মার্কেটিং করে তবে আপনি উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর অধীনে যদি কোনো ব্যক্তি ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন বা বর্ণিত অন্যান্য ধরনের কোনো অপরাধ সংঘটিত করেন তাহলে তাকে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডসহ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করতে পারেন
ধন্যবাদ ।
*** অফিস ঠিকানাঃ
শামীম পাটোয়ারী এন্ড এসোসিয়েট, ১০৯ গ্রিন রোড, অর্কিড প্লাজা (৩য় তলা), ফার্মগেইট, ঢাকা।
মোবাইলঃ 01917568940, 01714543232
****