Рет қаралды 197,946
রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ ও মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে ছিলেন ।। ডাঃ জাকির নায়েক
ভারতবর্ষের কুসংস্কারের পাহাড় অপসারণের অন্যতম পথিকৃত ছিলেন বাংলার মনীষী রাজা রামমোহন। বহু বিবাহ এবং নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ ‘সতীদাহ’ হিন্দু কু-প্রথা রোধ করে তিনি অসীম কীর্তি স্থাপন করেন।
রামমোহন রায় একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মূর্তি পূজার বিরোধী ছিলেন। এই বিশ্বাস থেকে তিনি ব্রাহ্মসমাজ ও ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। রামমোহন রায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আচরণীয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান মানতেন না ও তা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতেন। তিনি মনে করতেন সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। রামমোহন রায় বেদের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে তাঁর বক্তব্য প্রমাণ করেন।
পাটনায় পড়াশোনা করার সময় তাকে কোরআন শরিফ পড়তে হয়। কোরআন পড়ে হিন্দু ধর্মের মূর্তিপূজায় তার বিশ্বাস চলে যায়। ষোল বছর বয়সে মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে তিনি পারসিতে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এ নিয়ে পিতার সঙ্গে মনোমালিন্য হয় এবং পিতৃগৃহ থেকে বিতাড়িত হন। রামমোহন তখন সন্ন্যাসী ফকিরদের সঙ্গে তীর্থ পর্যটনে বের হন। নানা তীর্থস্থান ঘুরে তিনি তিব্বতে যান। এখনে তিনি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নানা প্রকার কুসংস্কার ও পৌত্তলিকতাবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে তার প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দেয়। তিব্বত থেকে পালিয়ে তিনি কাশীতে আসেন এবং সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষার অনুশীলন করেন। এরপর তিনি ইংরেজদের অধীনে চাকরি নেন। ১৮০৫ থেকে ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি রংপুর কালেক্টরেটে জেলা কালেক্টর মি. ডিগবির অধীনে দেওয়ানের কাজ করেন। এই কাজ করে তিনি বেশ অর্থকরী উপার্জন করেন।
রামমোহন ছিলেন বেশ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন তেজী পুরুষ। ইংরেজদের সামনে তখন কেউ পালকিতে চড়তে সাহস পেতো না। রামমোহন তাতে পাত্তা দিতেন না। একবার ভাগলপুরে এক ইংরেজ রামমোহনকে পালকি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে যেতে বলেন। রামমোহন তার কথায় কর্ণপাত না করে পালকিতে চেপেই তার সামনে দিয়ে চলে যান। স্যার ফ্রেডরিক হ্যামিলটন নামের এক ইংরেজ রামমোহনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় তিনি বড়লাট লর্ড মিন্টোর কাছে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে অভিযোগ করেন। সেই চিঠিটিই ছিল তার প্রথম ইংরেজি রচনা।
তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজের প্রথানুসারে বাবার নির্দেশে রামমোহনকে নয় বছর বয়সের মধ্যেই তিনবার বিয়ে করতে হয়। নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই পরবর্তী জীবনে তিনি বহু বিবাহ প্রথার তীব্র নিন্দা এবং বিরোধিতা করেন। এমনকি তিনি তার পুত্রদের ওপর শর্ত আরোপ করেন যে, স্ত্রী বেঁচে থাকতে যদি কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করে তাহলে সে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
১৮১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে রামমোহন পাকাপাকিভাবে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন এবং ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। হিন্দু সমাজ তখন তাদের নিজস্ব গতি হারিয়ে অর্থহীন আমোদ-প্রমোদে মত্ত ছিল। শ্রæতিকটু পাঁচালী গানের আসর, বাজি ধরে বুলবুলির লড়াই, ঢাউস ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা এমনকি পোষা বিড়ালের বিয়ে দেয়া নিয়েও তৎকালীন ধনী হিন্দু বাবুরা বহু অর্থ অপচয় করতো এবং আনন্দ-স্ফুর্তিতে আত্মহারা হয়ে থাকতো। এছাড়াও ছিল দুর্গোৎসবে পশু বলি, নন্দোৎসবে কীর্তন, দোলযাত্রায় আবির, রথযাত্রার উৎসব ইত্যাদি। এসব অনুষ্ঠানের সময় চলতো জুয়া ও মাদকের আসর। আর এই সুযোগে বিষয়ী ব্রাহ্মণেরা ব্রাহ্মণ জাতির গৌরব ও আধিপত্য বজায় রাখার জন্য নানা ফন্দি-ফিকির করতো।
এমতাবস্থায় রাজা রামমোহন শুরু করলেন ধর্মসংস্কারের আন্দোলন। কলকাতায় তিনি চিন্তাশীল ও সংস্কারপ্রয়াসী বিশিষ্ট জনদের নিয়ে একটি সমমনাসভা গঠন করলেন। সেখানে বেদন্ত শাস্ত্র ও ধর্মের ব্যাখ্যা ও বিচার সম্পর্কে আলোচনা হতো এবং একেশ্বরবাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন হতো। শহরের শিক্ষিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সভায় উপস্থিত হতো। তাদের মধ্যে ছিলেন, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্ন কুমার ঠাকুর, ব্রজমোহন মজুমদার, হলধর বসু, হরিণারায়ন তীর্থস্বামী প্রমুখ।
রাজা রামমোহনের এক বিরাট কীর্তি তৎকালীন সময়ের হিন্দু সমাজে প্রচলিত কলঙ্কজনক ‘সতীদাহ’ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা এবং তা রোধ করা। প্রথানুযায়ী স্বামীর মৃত্যু হলে তার সঙ্গে একই চিতায় পুড়ে মরে ‘সতী’ হতে হতো স্ত্রীকে। তখনকার দিনে এই কাজকে পুণ্য বলে ভাবা হতো। আসলে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিধবাকে পুড়িয়ে মারা হতো তাদের সম্পত্তির লোভে। রামমোহনের চেষ্টায় ইংরেজ সরকারের আইনের সাহায্যে নিষ্ঠুর প্রথাটি বন্ধ হয়।
======================== Needs and Advice ==================== ✔Email:- Khalil300774@gmail.com ✔Phone:- +8801706-917791 ☺ ===========FOLLOW US=============☺ SUBSCRIBE►LIKE►COMMENT►SHARE► ►► / peacewazbd ►► / shantitv ►► / peacewazbd ►► / mkhalilurr ►► / khalilurrahma. . ◉ প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চ্যানেলটি Subscribe করুন !! ▶ ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন, শেয়ার করুন আর অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করুন!! ▶ Copyright Disclaimer : Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use. If you like the video, please like, comment and share it with your friends. Don't forget to subscribe. I have two more channels to visit. Hope you see something better. Thanks. @peace waz bd @শান্তি টিভি - shanti tv #peacewazbd #রামমোহন_রায় #মূর্তিবিরুদ্ধে