Рет қаралды 11,774
শ্রী ভগবতচার্য্য এর পাঠবাড়ী বর্তমানে যা বরাহনগর শ্রীশ্রী পাঠবাড়ী আশ্রম নামে পরিচিত। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আজ থেকে প্রায় ৫০৯ বৎসর পূর্বে চৈত্র মাসে ফাল্গুন কৃষ্ণা দ্বাদশী তিথিতে সন্ধ্যার কিছু পূর্বে বরাহনগরে শ্রীল রঘুনাথ উপাধ্যায়ের কুটিরে এসে উপস্থিত হন । সেখানেই রঘুনাথ উপাধ্যায় এর সুললিত কন্ঠে শ্রীমৎ ভাগবত থেকে শ্রীমদ্ ভাগবতের গোপিগীত অংশ শ্রবণ করে প্রেমন্মাদে উদ্যন্ড নৃত্য করতে লাগলেন।এইরূপে রাত্রি তিন প্রহর পর্যন্ত তিনি নৃত্য করে পরে বাহ্য পেয়ে সুস্থ হয়ে বসলেন।
মহাপ্রভু রঘুনাথ উপধায়কে ‘ভাগবতচার্য’ উপাধিতে ভূষিত কলেন এবং আদেশ দিলেন যে এখন থেকে তাঁর একমাত্র কর্তব্য নিয়মিত শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করা এবং শ্রীমদ্ভাগবত এর বাংলা অনুবাদ করা।শ্রীভগবতাচার্য পরবর্তীকালে ‘শ্রীকৃষ্ণপ্রেম তারঙ্গিনী’ নামে এক গ্রন্থে শ্রীমদ্ভাগবতের বাংলা অনুবাদ সংকলন করেছিলেন যা পাঠবাড়ী গ্রন্থমন্দিরে আজও পাওয়া যায় ।মহাপ্রভু তাঁর চরণ পাদুকা দ্বয় তাঁকে দান করেছিলেন।
মহাপ্রভুর চরণ পদকা গুলির সাথে রঘুনাথ উপাধ্যায় সেবিত এক মূর্তি শালিগ্রাম শিলা এবং এক মূর্তি গোপাল অতি যত্ন সহকারে শ্রীপাঠবাড়ী আশ্রমে আজ পূজিত হন । শ্রীলভাগবতচার্য এর ব্যাবহৃত সমস্ত জিনিসপত্র আজ অবধি শ্রীপাঠবাড়ী আশ্রমে অতি যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা আছে।
মন্দিরে বিভিন্ন প্রাচীন সংস্কৃত ও বাংলা পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ করে একটি বৃহত্তম গ্রন্থাগার (গ্রন্থ মন্দির) রয়েছে।
উত্তর কলকাতার উপকণ্ঠে বরানগরে এই জায়গাটি অবস্থিত। যে কেউ একটি বাস বা ট্রেন দক্ষিণেশ্বরে নামতে পারে। সেখান থেকে সরাসরি শ্রী বরাহনগর পাঠবাড়ী আশ্রম এ যেতে পারেন আবার সিঁথি মোড় থেকে অটো ধরেও বরাহনগর শ্রীপাঠবাড়ী আশ্রম যাওয়া যায়।
(তথ্যসূত্র: শ্রীল ভাগবত আচার্য্যের লীলা প্রসঙ্গ গ্রন্থ )
নাম সংকীর্তন কণ্ঠে : আমার শ্রীগুরুদেব শ্রী শ্রী 108 হৃদয়ানন্দ দাস বাবাজী মহারাজ।
ভিডিও: শ্রী করুন কুমার লেট।
ভাষ্য : শ্রীমতী কাকলি দাস ।
ভিডিও এডিটিং : শ্রী ভোলানাথ দাস ।