Рет қаралды 20,246
আর কিছু নাই শ্যামা তোমার
কেবল দু’টি চরণ রাঙা।
শুনি তাও নিয়াছেন ত্রিপুরারি
অতেব হ’লাম সাহস-ভাঙা।।
জ্ঞাতি বন্ধু সুত দারা,
সুখের সময় সবাই তারা।
কিন্তু বিপদকালে কেউ কোথা নাই
ঘর-বাড়ি ওড়গাঁয়ের ডাঙা।।
নিজগুণে যদি রাখো, করুণানয়নে দ্যাখো,
নইলে জপ করে যে তোমায় পাওয়া
সেসব কথা ভুতের সাঙা।।
কমলাকান্তের কথা, মা’রে বলি মনের ব্যথা।
আমার জপের মালা, ঝুলি, কাঁথা
জপের ঘরে রইল টাঙা।।
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য্য
শাক্তপদাবলীতে সুরনির্দেশ আছে- রামপ্রসাদী-একতালা।
• ‘ওড়্গাঁয়ের ডাঙা’ কি?
শাক্তপদাবলীতে যেমন দেওয়া তা-ই হবহু তুলে দিচ্ছি -
‘ওড়গাঁয়ের ডাঙা নামক একটী বৃহৎ প্রান্তর ও শ্মশানভূমি বর্ধমান জেলার অধীন আছে; তাহাতে লোকজন আদি নাই। দস্যুলোকের দস্যুতা করার উহা একটি রঙ্গভূমি বটে; তথাতে অনেক লোক দস্যুহস্তে নিহত ও তাহাদের ধনসম্পত্তি অপহৃত হয়। কমলাকান্তের কোটাল হাটের ভদ্রাসন বাটীতে তাঁহার একটি জপের ঘর; তাহাতে তাঁহার প্রতিষ্ঠিত আদ্যামূর্তি ও ত্রিমুণ্ডি-আসন অদ্যাপি বর্তমান আছে। সে স্থান নিতান্ত দ্রষ্টব্য।‘