নবীজির বাবা মা জান্নাতি নাকি জাহান্নামি কঠিন প্রশ্নের দাঁত ভাঙ্গা জবাব। Mustafiz Rahmani
Пікірлер: 422
@user-uu6ex6hw1j3 жыл бұрын
পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মা-বাবা হচ্ছে আমেনা এবং আব্দুল্লাহ। কারণ তাদের ঘরই জন্মগ্রহণ করেছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ 😍
@habiburrohaman8788 Жыл бұрын
ভাই হযরত ইব্রাহিম আঃ এর বাবা মা ও তো ভাগ্যবান
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
@@habiburrohaman8788 ইব্রাহিম আঃ এর পিতা মুমিন ছিলেন! ক্বামূস নামক অভিধানে আছে-আযর হলো ইব্রাহিম আঃ এর চাচার নাম।ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহঃও তাঁর 'মাসা-লিকুল হুনাফা' নামক কিতাবের মধ্যে অনুরূপ লিখেছেন।চাচাকে পিতা বলার প্রচলন অনেক দেশেই রয়েছে,বিশেষ করে আরবে। আমরাও অনেকে বাবার বড় ভাইকে 'বড় আব্বু' বলি।মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর 'মেঘনাদবধ' কাব্যে চাচাকে 'তাত'(পিতা) বলে সম্বোধন করেছেন;যেখানে অনিন্দম বিভীষণকে বলে,"হায়,তাত,উচিত কি তব এ কাজ,নিকষা সতী তোমার জননী,সহোদর রক্ষঃশ্রেষ্ঠ?..." দ্বিতীয়ত,তাফসিরে ইবনে কাসিরের ২য় খন্ড ২৪০পৃ,তাফসিরে মাযহারির ৩য় খন্ড ২৫৬পৃ,তাফসিরে কবির ১৩তম খন্ডের ৩৯পৃ,তাফসিরে তাবারি ৫ম খন্ডের ১৫৮পৃ এবং তাফসিরে বাইদ্বাবি ১ম খন্ডের ৩০৭পৃষ্ঠায় রয়েছে-"ইব্রাহিম আঃ এর পিতার নাম-তারাহ আঃ।" তৃতীয়ত,কোনো কোনো বর্ণনায় ইব্রাহিম আঃ এর বাবার নাম আযরও আছে,কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হবে না,কারণ কুরআনের সূরা শুয়ারার ২১৯নং আয়াতের ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার(রাসুলুল্লাহর) পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস,সূরা শুয়ারা-২১৯ নং এর তাফসির)।আর রাসুল সঃ ছিলেন ইব্রাহিম আঃ এরই বংশধর।ইব্রাহিম আঃ এর বাবা মূর্তিপূজক হলে রাসুলুল্লাহ সঃ এর পূর্বপুরুষ মুশরিক হবেন।নাউজুবিল্লাহ! একটা Confusion দূরীকরণঃ- মুসলিম শরীফে রাসুল সঃ এক ব্যক্তিকে বলেন,"তোমার পিতা ও আমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"এই হাদিস দিয়ে অনেকে বলতে পারে,রাসুলুল্লাহর পূর্বপুরুষ মুমিন ছিলেন না।নাউজুবিল্লাহ!অথচ বিখ্যাত ইমামগণ হাদিসটিকে মানসুখ(রহিত) বলেছেন।(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২ পৃ;আল হাবিলিল ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।মানসুখ আয়াত হচ্ছে,যে আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে বা এটা দিয়ে কোনো দলিল দেয়া যাবে না।অনেকের মতে,হাদিসটিতে 'আমার পিতা' দ্বারা রাসুল সঃ চাচা আবু তালিবকে বুঝিয়েছেন। আবারও Confusion দূরীকরণঃ- শুধু রাসুল সঃ না,কোনো নবির সন্তান ও মা-বাবা ইমানহীন ছিলেন না।অনেকে বলতে পারেন,নূহ আঃ এর ছেলে কাফের ছিল।নূহ আঃ এর সন্তান কাফের ছিল ঠিক,কিন্তু সে নূহ আঃ এর সরাসরি সন্তান ছিল না।
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@tanjim2407 Жыл бұрын
@@tahsinhossainstudent5742 অনেক বড় আলেম কমেন্ট করছেন দেখি
@mohmmedabdullah6043 Жыл бұрын
@@tanjim2407 বুঝতে পারতেছিনা কোনটা বিশশাস করবো
@kanaklata61323 жыл бұрын
হে আল্লাহ,,,,,,,নবীর বাবা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা কে জান্নাতের উচু মাকাম দান করো,, আমিন,,,,
@mdabdullahalmamun17753 жыл бұрын
আমিন
@user-og1ov4tj8y3 жыл бұрын
আমিন আমিন আমিন
@wazidunnesanoni19973 жыл бұрын
Ameen
@morjinaislam17163 жыл бұрын
আমিন
@mdajharali37403 жыл бұрын
Amin
@mdabulhossaimdjalaluddi6005 Жыл бұрын
হে আল্লাহ আপনি আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)এর মা ও পিতাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন
@mdshahadat7525 Жыл бұрын
আমিন
@user-vl1fp6sz8r3 ай бұрын
Min
@AbdullahBappi27942 ай бұрын
নবির পিতা মাতা জাহান্নামী সহি মুসলিম ৩৯৪ হাদিস 😊
@AbdullahBappi27942 ай бұрын
সহি মুসলিম ৩৯৪ জাহান্নামি।
@NazrulIslam-jh1gl Жыл бұрын
আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল। হে আল্লাহ আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাঃ এর পিতা-মাতাকে আপনি জান্নাত বাসি করুন।
@tongibaribd29072 жыл бұрын
হে আল্লাহ আমার দয়াল নবী(সঃ)বাবা মাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন-আমিন।
@MrBibeks3 жыл бұрын
~ কাগজ দিয়ে অনেক কিছু তৈরি হয় 👍🏻 তবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামী 😍 আল-কোরআন 😍
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@siratummustakim91462 жыл бұрын
মহানবী (সঃ) পিতা মাতা জান্নাতি হোক এটাই প্রত্যাশা। কে ন না, সবার মুক্তির জন্য তিনি সুপারিশ করবেন,,অথচ মহানবীর গর্ভধারিনী মা,, ও পিতা কষ্টে থাকবে এটা কি হয়😭😭😭😭😭 সুতরাং নবী করিম( সঃ) পিতা মাতা জান্নাতের সুঊচ্চ স্হানে আসিন থাকুক।। আমিন।।
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@rafiqulislam3593 Жыл бұрын
You are right. Thank You. পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মা-বাবা হচ্ছে আমেনা এবং আব্দুল্লাহ। কারণ তাদের ঘরই জন্মগ্রহণ করেছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ
@sulaymannomany7492 Жыл бұрын
রাইট
@mdnuruddin25923 жыл бұрын
খোপ ভালো সুন্দর শামাদান। আলহামদুলিল্লাহ।। ❤️
@sakibkhan4u Жыл бұрын
কি সুন্দর আলোচনা 😢❤ আল্লাহ আপনার জ্ঞ্যানের পরিধি আরো বাড়িয়ে দিন❤
@TheQueen-ml8ik Жыл бұрын
আল্লাহ তুমি আমার প্রিয় নবী মা বাবা কে জানত দান কোরো
@user-uu6ex6hw1j3 жыл бұрын
‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@arifulislam35928 ай бұрын
ইসমাইল (আ) থেকে মুহাম্মদ (স) পর্যন্ত তার বংশধর সবাই মুসলমান ছিলেন। এবং আল্লাহ তাদের হেফাজত রেখেছেন।।।
@mohammadullah3430 Жыл бұрын
الحمد الله আমি অনেক দোয়া করি আল্লাহ আমার ভাইর এলেম আরো বাড়িয়ে দেন সুন্দর ফয়সালা আমার মতামত এমনই ইমাম ওয়ালী উল্লাহ বাইতুল মামুর বাফেলো এমেরিকা
@sumiakter712 жыл бұрын
এক এক হাদীসে এক এক কথা ইয়া আল্লাহ আপনি আমাদের সবাইকে সঠিক টা বোঝার তৌফিক দান করুন।
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
একেক হাদিসে একেক কথা,তাই মুহাদ্দিসগণ(হাদিসবিদ) কী বলেছেন মানতে হবে।ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি এমন এক মুহাদ্দিস ছিলেন,যিনি ছিলেন ২লক্ষ হাদিসের হাফেজ এবং তিনি তাফসিরে জালালাইন লিখেছিলেন।
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি কে ছিলেনঃ- ১.আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি ছিলেন বিখ্যাত মুফাসসির বা তাফসিরবিদ।বিশ্বখ্যাত তাফসিরে জালালাইন শরীফ উনি এবং উনার ওস্তাদের রচনা।তাফসিরে দুররে মান্সুরের লেখকও তিনি। ২.ইমাম সুয়ুতি ছিলেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস,যিনি ২লক্ষ হাদিসের হাফেজ ছিলেন। ৩.ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি ছিলেন একজন শাফি-ই ফকিহ। ৪.তিনি ছিলেন আল্লাহর একজন 'আবদাল' পর্যায়ের অলি।তিনি মিশর থেকে মাত্র ২৭ কদমে হেরেম শরীফ পৌঁছেছিলেন। ৫.ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি ছিলেন একজন ইতিহাসবিদ।তারিখুল খোলাফা তাঁর একটি বিখ্যাত ইতিহাসের কিতাব। ৬.হাফিজ জালালুদ্দিন সুয়ুতি এমন একজন আলেম ছিলেন,যিনি বলেছেন,"আমার মেধা ভুলকে গ্রহণ করে না।"সুবাহানাল্লাহ। ৭.important point:-ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি এমন একজন রাসুল প্রেমিক ছিলেন,যিনি রাসুলুল্লাহকে ৭০ বারের অধিক বার জাগ্রত অবস্থায় দেখেছেন।সুবাহানাল্লাহ।দেওবন্দের হেড মুহাদ্দিস আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী বলেছেন,"ইমাম সুয়ুতি ২২ বার রাসুলুল্লাহকে সরাসরি দেখেছিলেন।"আ'লা হজরত ইমাম আহমদ রেজা খান বেরলভির মতে,ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি ৭৫ বার আল্লাহর হাবিবকে দেখেছেন।সুবাহানাল্লাহ। ৮.তিনি ১২শ এরও অধিক কিতাব লিখে গেছেন।
@riadhasan97252 жыл бұрын
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল। আমার পিতা কোথায় আছেন ( জান্নাতে না জাহান্নামে)? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, জাহান্নামে। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি যখন চলে যেতে লাগল, তিনি ডাকলেন এবং বললেন, আমার পিতা এবং তোমার পিতা জাহান্নামে। (ই.ফা. ৩৯৪; ই.সে. ৪০৭) সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৮৮ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
@islahullisannur11635 ай бұрын
আলহামদুলিল্লাহ সন্দৰ বয়ান কৰছেন
@satiakter17612 жыл бұрын
বাবা রানু তোমার প্রতিটি কথা আমার ইমানকে তাজা করে। তোমার কথা গুলোর সাথে আমি একমত যুক্তি দিয়ে বোঝানোর জন্য।আল্লাহ সেই জামানায় ইব্রাহিম নবীর পুত্র ইসমাঈল এর বংশ হতে বনীইশরাইলের সবচেয়ে বড় গোত্র কুরাইশ বংশে এবং হাসেমি পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়েছেন।সুতরাং আমি প্রার্থনা করি আল্লাহ সুবঃ তাআলা নিকটে,তিনি যেনো রাসূল সাঃ এর মাতা-পিতাকে সর্বউচ্চ জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন
@masudmiah2030 Жыл бұрын
আমিন
@AzimKhan-ou3li11 ай бұрын
আল্লাহ হুজুররে নেক হায়াত দারাজ করুক হুজুরের যুক্তি টা খুব সুন্দর এবং ভালো লাগলো আকাইম্মা হুজুর গো আল্লাহ জ্ঞান বিদ্যাবুদ্দি দেক ওরা আরো ভালো করে জেনে শুনে মিডিয়ার সামনে আসে
@ShahriarKalam3 жыл бұрын
পৃথিবীর সকল মা বাবাদের শ্রেষ্ঠ মা বাবা হচ্ছেন,, মা আমেনা এবং আবদুল্লাহ্। কারন তাদের সন্তানই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,পুরো বিশ্বের রহমত, বিশ্বনবী (সাঃ)♥️
@arifbepari1202 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ
@sakibahumed8078 Жыл бұрын
আল্লাহ আপনে নবীর পিতা মাতাকে জান্নাত দান করুন।
@jithaque3427 Жыл бұрын
আল্লাহ যেটা ভালো সেটাই করবেন ♥️♥️♥️
@MdSharif-fg2bt2 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগল আলোচনাটা।❤️❤️❤️
@user-ow6pl6rr5e Жыл бұрын
হুজুর আপনার বয়ান গুলো খুব ভালো,,, হে আললাহু আপনি আমাদের দয়ার নবি হযরত মুহাম্মদ সাললাআলাহিস সাললাম,,
@dr.armanislam29812 жыл бұрын
ধন্যবাদ আপনাকে,আপনার সুন্দর আলোচনার জন্য
@gjhj73163 жыл бұрын
❤❤❤আল্লাহু আকবার সঠিক ❤❤❤SUBAHANALLAH ❤❤❤ALHAMDULILLAH. ❤❤❤
@skbangla17572 жыл бұрын
কিন্তু আমাদের মতে. পৃথিবীতে যদি কোন ভাগ্যবান বাবা-মা হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাবা মা......!!!
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@mdtoslim2234 Жыл бұрын
আল্লাহ আমার প্রিয় নবীর মা-বাবাকে তুমি জান্নাতবাসী করে দিও এবং সকল নবী রাসূলের মা বাবাকে তুমি জান্নাত নসিব করুক আমিন
এতদিনে একটি সুন্দর ওয়াজ পাইলাম যে ওয়াজটি শুনে আমার হৃদয় ঠান্ডা হয়ে গেল আল্লাহ হুজুরকে নেক হায়াত দান করুক
@mdarobali4174 Жыл бұрын
মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ মারহাবা।
@amdadullahmiazi32212 ай бұрын
মাশাল্লাহ জাঝাকাল্লাহ্ ধন্যবাদ আপনাকে হুজুর পরিস্কার করে বুঝিয়ে বলার জন্যে ।ইয়া আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত নছিব করুন ।আমীন ।
@sksaddamsk2822 жыл бұрын
নামের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই,নামের সাথে ভাষার সম্পর্ক।
@beautifulbangladesh1948 Жыл бұрын
হুজুরের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট ও খুব ভালো লাগলো আমার কাছে হুজুরের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো
@ShamimAhmed-gg5fs3 жыл бұрын
মাশা আল্লা হ অনেক সুন্দর
@mctv8952 жыл бұрын
হে আল্লাহ তাআলা আপনি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিতা মাতার কে। জান্নাতের উচমাকা দান করুন আমিন
@abdullahsajib13872 жыл бұрын
Amin
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@masfikhan23822 ай бұрын
আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ,,তিনি অসীম দয়ালু ও মেহেরবান।।। মহান আল্লাহ, আমাদের নবীজির পিতা মাতাকে জান্নাতের উঁচ্চ মাকাম দান করুণ, এবং সম্মানীত করুণ আমিন, আমিন, সুম্মা আমিন।।। আর আমাদেরকে ও সঠিক পথে চলার, বুঝার, এবং আমল করার মতো সঠিক জ্ঞান দান করুণ, আমিন।।
@user-if3bh6le7y2 жыл бұрын
হুজুর অনেক সুন্দর জবাব দিছেন। ওদের খায়দায়ে কোন কাজকাম নেই তাই এগুলো নিয়ে পড়ে থাকে।
ভাই আপনি আন্দাজে দোয়া কোরবেন নাহ প্লিজ সঠিক জানুন তারপর।
@omarfaruk-hv1zp2 жыл бұрын
@@sakibraz420 আন্দাজির কি আছে। নবীজির মা বাবা এমনেই জান্নাতি। দোয়ার দরকার নেই
@sakibraz4202 жыл бұрын
@@omarfaruk-hv1zp vai apni hoy to janen nah ai jonne bolchen...age janun then bolun.
@omarfaruk-hv1zp2 жыл бұрын
@@sakibraz420 আপনি কি জানেন না!! ইউনুস আঃ কে পেটে রাখার কারনে সেই তিমি মাছ জান্নাতে যাবে আর যে মা আমেনা প্রিয় নবীজিকে ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধারণ করেছেন তাকে জান্নাতি বলার জন্য আপনি কিভাবে দলিল খুজেন??আপনি আহালে সুন্নাত ওয়াল জামাতের চশমা লাগান তাহলেই দেখবেন কে জান্নাতি আর কে জাহান্নামি
@maishahomeoclinic55102 жыл бұрын
আসসালামুয়ালাইকুম হুুজর। আপনার ওয়াজ খুব ভালো লাগে।
@skbangla17572 жыл бұрын
হুজুর আপনার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো আলহামদুলিল্লাহ কথা গুলো বুঝিয়ে বলার জন্য
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@MdImran-lt2ec Жыл бұрын
তবে তখনকার সময়, ঈসা (আঃ) বা অরিজিনাল খ্রিস্টানরা জান্নাতে যাবে। যারা আল্লাহর পথ অনুসরণ করেছে ও আগত নবি রাসূল দের অনুসরণ করেছে।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা মাতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন
@mijankhan9429 Жыл бұрын
মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর বয়ান
@mohammadalauddin513 Жыл бұрын
খুব সুন্দর আলোচনা, জাযাকাল্লাহ।।
@riyadislamicmedia45413 жыл бұрын
মাশাআল্লাহ দারুণ বয়ান
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@muzammilhusen6332 жыл бұрын
ধন্যবাদ হুজুর আপনার কথাগুলো খুব সুন্দর।
@mctv8952 жыл бұрын
সুন্দর আলোচনা সুবাহানাল্লাহ ধন্যবাদ হুজুরকে
@mdismaelhosan34132 жыл бұрын
হুজুরের বয়ান টা খুব ভালো লাগছে, 👍
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@mahbubrahman9373 Жыл бұрын
আবু তালেবকে মূল্যায়ন করলেই সব উত্তর পাওয়া যায় ৷
@gjhj73163 жыл бұрын
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত ও সুস্থ করুন রাখুন আমিন সবাইকে হেদায়েত করুন আমিন
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@rihanhalder71723 жыл бұрын
আমি আপনার সব ভিডিও দেখি,,খুব ভালো লাগে ভিডিও গুলা,,,
@Zammat-ry2kr4 ай бұрын
ইব্রাহিম নবী কি নবীজির বাপ বার যুগে ইসলামের দাওয়াত দেই নি? হুজুর ভালো করে হাদীস কোরআন পড়ার অনুরোধ রইলো।
@mdsani87 Жыл бұрын
What a wonderful explanation That's why I like you jonab May Allah pleased be with you amin
@mdkawserporamanik22072 жыл бұрын
আল্লাহ তুমি নবিজির পিতা মাথা জান্নাত দিও
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@nurulanwar83732 ай бұрын
মুস্তাফিজ ভাই,আবেগ দিয়ে ইসলাম চলে না।দলিল ও ওহির ঘ্যাঁন ই ইসলাম।
@BarikBarik-qt9ig2 ай бұрын
আমার নবীর স এর মা বাবা জান্নতী
@rajrubel911 Жыл бұрын
সহজ ভাবে বুজানোর জন্য হুজুর কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@akhtarulazad9632Ай бұрын
সুন্দর আলোচনা ❤
@ajimulhoque25403 жыл бұрын
May Allah Almighty bless you.
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@mdsifatkhan7317 ай бұрын
হুজুর কে সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
@hanifali259 Жыл бұрын
আমার কখনো মনে হয় না যে আল্লাহর নবী (সা:) এর বাবা মা জাহান্নামে যাবে। এই ধরনের আরও অনেক কিছু হাদিসে এসেছে। এখন আমার মতো সাধারণ মানুষ পরেছি বিপদে। হাদিসের কথা বিশ্বাস না করলেও বিপদ, আবার কিছু কিছু কথা বিশ্বাস করলেও বিপদ। যার জন্য আমার হাদিসের সব কথা বিশ্বাস হয় না।
@rffaruksarker62152 жыл бұрын
ইসলামী সঠিক জ্ঞান না থাকলে এমন বক্তাই এমন বক্তৃতা দেবে এটাই স্বাভাবিক।
@MdMohin-mn7to2 жыл бұрын
আপনি কোন বিশব্বিদ্যালয়ের থেকে পিএইচডি করছেন??
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@sisirahammed4075 Жыл бұрын
হুজুর সুন্দর উত্তর দিয়েছেন
@islamicmediajs38403 жыл бұрын
Khub sondor alocona... Muslim name kichu omanush der dad baga jobab
@mdmohsinkabir43719 ай бұрын
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর আলোচনা।
@towheedakhond2202 Жыл бұрын
রাসুল সাঃ যা বলে গেছেন এবং সাহাবীরা যা বুঝেছেন, আমাদেরকে সেইভাবেই বুঝতে হবে, ইসলাম আবেগ দিয়ে চলেনা,
@arifuislam6673 Жыл бұрын
কি বলেগেছে
@mak22852 Жыл бұрын
অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে।
@ranaislan10522 жыл бұрын
Subhanallha............amin summa amin................
@user-nf7iw4lu6l26 күн бұрын
ইন্টারনেট দিয়ে কখনো দিনের দাওয়াত দেওয়া সম্ভব না আমি নিজে জানি আমারে মাফ করবেন আমি কিছু করতে পারতাছি না দিনের জন্য আল্লাহ আমাকে মাফ করে দাও আমার সন্তানদের কবুল করে নাও
@hanifali259 Жыл бұрын
আজকে ইসলামকে ভাগ ভাগ করেছে, হাদিস। অনেকেই সমালোচনা করেছে এবং নাস্তিক হয়েছে, এই ধরনের কিছু হাদিস নিয়ে বিভ্রান্তিতে পরে। আর যদি কোরআন শরীফ এর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো তাহলে, এরকম হতো না।
@muhammadamirhosain5641 Жыл бұрын
masaallah hujur apnake allah kobul korun
@majormejor4368 Жыл бұрын
কেউ কারোর বোঝা বইবে না তাই সাবধান নিজের চিন্তা করো নিজের বংশধরদের চিন্তা করো আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের চিন্তা করো প্রতিবেশীদের চিন্তা করো। যদি ভালো মনের মানুষ হয়ে থাকো সকল মানুষের জন্য চিন্তা করো জীবনের চেয়ে বাধ্যক্য কঠিন বার্ধক্যের চেয়ে কবর বড় কঠিন কবর বড় ভয়াবহ। সময় গেলে সাধন হবে না তাই সময় থাকতে নিজেকে প্রস্তুত করো ওপারের জন্য।
@MdAsif-bk2cd3 жыл бұрын
আল্লাহ আকবার আমার আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন
@romanred24944 ай бұрын
মূল বিষয়টা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন,আবেগ আর বাস্তবতা এক না।যতই কাহিনী করেন
@mdraselislam8570 Жыл бұрын
মাশাআল্লাহ খুব শূনদর
@princeshalim23619 ай бұрын
আপনার বোঝানো অনেক অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে
@minarahhussin42873 жыл бұрын
ماشاءالله تبارك
@sohelrana-vh7wp2 жыл бұрын
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্পর্কে খুব সাবধানে এবং অত্যন্ত আদব ও শরাফতের সাথে কথা বলতে হবে। হাবিবুল্লাহ্ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানীত পিতা মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা অবশ্যই জান্নাতী ! এবং সম্মানীত জান্নাত উনার মালিক। স্বয়ং জান্নাত উনাদের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে, কখন উনাদের পা মুবারক জান্নাতে পড়বে। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম ও সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা ফিতরাত যুগের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং উনারা দ্বীনে হানিফের উপর কায়িম ছিলেন। পবিত্র কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে।” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯) আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে হিববান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূর মুবারক সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।” (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৪৫)
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই। DECISION:--তাই আমরা পিতা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনা এর পর ''রাদিআল্লাহুআনহু' বলব।
@tntgamer24822 ай бұрын
জি,, এটা নিয়ে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত তর্ক বিতর্ক না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।।
@JordanAbram0073 ай бұрын
আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কোথায়? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার পিতা জাহান্নামে। একথা শ্রবণ করে লোকটি দুঃখিত হয়ে ফিরে যাচ্ছিল, তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বললেন, আমার পিতা এবং তোমার পিতা উভয়েই জাহান্নামী (মুসলিম হা/২০৩; আবুদাঊদ হা/৩৯৪৯; ছহীহাহ হা/২৫৯২)।
@beautifulbangladesh1948 Жыл бұрын
জান্নাতি জান্নাতি জান্নাতি💜💜💜🤲
@ramijuddin919 Жыл бұрын
সুন্দর আলোচনা মারহাবা
@syedsarifuddin778410 ай бұрын
আমার নবী সাঃ মা বাবা পূর্ন জান্নাতী।
@lalongayen83183 жыл бұрын
I LOVE YOU MUHAMMAD LIKE 😍😍
@abutaher42732 жыл бұрын
সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন
@tahsinhossainstudent5742 Жыл бұрын
রাসুল সঃ এর মা-বাবা মুমিন এবং সাহাবি ছিলেন- কুরআন থেকেঃ- ১.আল্লাহ বলেন,"যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দন্ডায়মান হোন এবং নামাযিদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থেও।"(সূরা শুয়ারা-২১৯)।আয়াতটির ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,"আপনার পূর্ববর্তী সকল নর-নারী,যাঁদের মাধ্যমে আপনি আবর্তিত হয়ে এসেছেন,তাঁরা সকলেই ছিলেন সিজদাকারি মুমিন।"(তাফসিরে ইবনে আব্বাস)। হাদিস থেকেঃ- ১.রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ গোত্র ও বংশগুলো বাছাই করেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরগুলো বাছাই করেছেন এবং আমাকে সবচেয়ে ভালো ঘরে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০৭) ২.ইমাম ইবনে শাহীন তাঁর ‘নাসেখ ওয়াল মানছুখ’ গ্রন্থে ইবনে আসাকির তার তারীখে দামেস্কে, হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন বিদায় হজ্জের সময়ে রাসূলুল্লাহ সঃ বেদনার্ত ছিলেন। এতসময় তিনি আনন্দচিত্তে আয়েশা রাঃ এর নিকট আগমন করেন। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,‘‘অতঃপর আমি আমার মা আমেনা রাঃ এর নিকট গমন করি এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তাঁকে জীবিত করতে। তখন আল্লাহ তাঁকে জীবিত করেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনয়ন করেন, অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কবরের জগতে ফিরিয়ে নেন। কোনো কোনো বর্ণনায় পিতা-মাতা উভয়ের কথা বলা হয়েছে।’’(ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা) ফেকাহ ও অন্যান্যঃ- ১.ফতোয়ায়ে শামীতে হাফেয নাসিরুদ্দীন বাগদাদীর বরাতে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে একখানা হাদীস উদ্ধৃত করে আল্লামা শামী লিখেন," হযরত আয়েশা রাঃ বলেন,আল্লাহ তায়ালা নবী করীম সঃ এঁর সম্মানে তাঁর পিতা-মাতাকে পুনর্জীবিত করেন। তাঁরা উভয়ে নূতন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে তাঁরা পুনরায় পূর্বের ন্যায় মৃত্যুবরণ করেন। যেমন আল্লাহ্ পাক হযরত ঈসা আঃ -এঁর মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করতেন, তদ্রূপ নবীজীর খাতিরেও করেছেন।” (শামী) ২.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহঃ তাঁর অভিমত উল্লেখ করেন-"সম্ভবত এজন্য ইহা সঠিক যে রাসূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। তখন আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর পিতা-মাতাকে জীবিত করে দিলেন। অতঃপর তারা নবীজির প্রতি ঈমান আনয়ন করলেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন কিছুই অসম্ভব নয়।’’( ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৫২ পৃষ্ঠা) ৩.আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ প্রাথমিক জীবনে রাসূল সঃ এর পিতা-মাতা জাহান্নামী ও কাফির হওয়ার উপরে অভিমত পেশ করেন।নাউজুবিল্লাহ! ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতির কিতাব অধ্যায়নের পরে তার ভুল ভেঙ্গে যায় এবং ইতোপূর্বের আক্বিদা ঠিক করে নেন।(এই বিষয়েঃমোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬০৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।) ৪.ইবনে মোহাম্মদ কলবীর বর্ণনা সূত্রে তাঁর পিতা মুহাম্মদ কলবী রহঃ বলেন,“আমি নবী করীম সঃ এঁর বংশধারার পূর্ববর্তী পাঁচশত মায়ের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তাঁদের মধ্যে আমি চরিত্রহীনতা এবং জাহেলিয়াতের কিছুই পাইনি।” (বেদায়া-নেহায়া,ইবনে কাসির রহঃ) Confusion দূরীকরণঃ- ১.রাসুল সঃ বলেছেন,"আমার পিতা ও তোমার পিতা উভয়ই জাহান্নামি।"(মুসলিম)।এ হাদিসটি মানসুখ(আল নাসেক ওয়াল মানসুখ-২৮৩,২৮৪ পৃ;শারহে সহিহিল মুসলিম লি আবি-১ম খন্ড,৬১৬পৃষ্ঠা;আত তাজিমু ওয়াল মিন্নাত-১২০পৃ;আল মিনহুল মাক্কিয়া-১৫২পৃ;আল হাবিলি ফাতওয়া-২য় খন্ড,৩৫৭পৃ)।কারও মতে,এখানে 'পিতা' দ্বারা চাচাকে বুঝানো হয়েছে।আমরাও অনেকসময় বাবার বড় ভাইকে বলি-'বড় আব্বু।' ২.একটি হাদিসে রাসুল সঃ তাঁর মা-বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলে আল্লাহ অনুমতি দেননি,কিন্তু কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।এর কারণ হচ্ছে,রাসুল সঃ এর মা-বাবা যেহেতু মুমিনই ছিলেন,সেহেতু মাগফিরাত কামনা করার দরকার নেই।
@mahmud47893 жыл бұрын
তারা যদি ইব্রাহিমের ধর্ম মেনে নেয় তাহলে তারা জান্নাতি হবে
@MrkichirMichir5 ай бұрын
Nobijir maa,baba jannati atai hoq
@mdaryanriyaz43592 жыл бұрын
আপনার বক্তব্য ভালো লাগলো
@romanayasmin92992 жыл бұрын
Onnnek valo আলোচনা
@josimuddin8560 Жыл бұрын
Nice explanation 👌
@MahabubAlam-fm9do Жыл бұрын
আল্লাহ যুযে যুগে অসংখ্য নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। এবং104 খানা কিতাব পাঠিয়েছেন। উক্ত নবীদের এবং নাযিলকৃত কিতাব যারা অনুসরন করেছেন , তাঁরা অবশ্যই জান্নাতী এবং মোহাম্মদ (স) এর উপর কোরআন নাজিলের পূর্বে সবশেষ যে নবী এবং কিতাব নাজিল হয়েছিল তা যারা মেনে চলেছেন তারাও জান্নাতী।
@kalamhalder3496 Жыл бұрын
আল্লাহ তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কে কখনো নিরাশ করবেন না । আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা ও মাতার ধর্মীয় আক্বিদা আল্লাহর উলুহিয়াত সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছিল ।এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরগণ প্রত্যেকে আল্লাহর উলুহিয়াত সম্পর্কে মূল আক্বিদা ভিত্তিক জীবন যাপন করেছেন ও প্রচার করে গেছেন। সেই কারণেই আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতা ও মাতা অবশ্যই আল্লাহর উলুহিয়াত এর উপর মত্যূ বরণ করেছেন।
@immlife18593 жыл бұрын
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন ,আমি কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে বিষয়ভিত্তিক ভিডিও বানাই , সম্ভব হলে সবাই দেখবেন