Рет қаралды 432,007
দেয়াং পাহাড় এলাকাটি দেখে বোঝার উপায় নেই যে, কোনো কালে এখানে আরাকানের রাজধানী ছিলো। কালের বিবর্তে সবকিছু যেনো ধুয়ে মুছে গেছে। শুধু রয়ে গেছে চাপা পড়া ইতিহাস।
১৬শ শতকের প্রথম দিকে তথা ১৫১৮ সালে চট্টগ্রামে পর্তুগিজ ব্যবসায়িদের অনুপ্রবেশ ঘটে। তৎকালিন চট্টগ্রামের শাসককর্তা ছিলেন শাহী বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ। ১৫২৮ সালে পর্তুগিজরা সুলতানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চট্টগ্রামে পোর্তো গ্রান্দে দ্য বেঙ্গলা নামে একটি বাণিজ্য ঘাঁটি স্থাপন করে। পর্তুগিজ বণিকরা এ অঞ্চলে "ফিরিঙ্গি" নামে পরিচিত ছিলো। স্থানীয় চাঁটগাঁইয়া ভাষা তে "ফিরিঙ্গি" অর্থ 'বিদেশি'। পর্তুগিজরা তখন ফিরিঙ্গি বন্দর নামে চট্টগ্রামে একটি বাণিজ্য বন্দরও গড়ে তুলেছিল, যেটা ছিল ওই "পোর্তো গ্রান্দে দ্য বেঙ্গলা" নামক পর্তুগিজ উপনিবেশটির বাণিজ্য ঘাঁটি বা প্রধান শহর তথা রাজধানী।
১৫৩৭ সালের দিকে শের শাহের আক্রমণের ভয়ে ভীত হয়ে পড়লে সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ সামরিক সাহায্যের বিনিময়ে পর্তুগিজদের চট্টগ্রামে বাণিজ্য কুঠি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক আদায়ের অধিকার প্রদান করেন। ফলে পর্তুগিজরা দিয়াং এ বাণিজ্য কুঠি এবং গির্জা নির্মাণ করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক সংগ্রহ কেন্দ্র এবং পণ্যসামগ্রীর আড়ত স্থাপন করেন।
মোগল আমলে আরাকানি সৈন্যরা ফিরিঙ্গি বন্দর ও ফিরিঙ্গি পল্লীর কাছে তিনটি ঘর তৈরি করে। মোগল সেনারা আরাকানিদের পরাজিত করে দিয়াংয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে এখানকার পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ও পুড়ে গিয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়।
বন্ধুরা, পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান ও ইতিহাস সম্পর্কে জানাবো পরের পর্বে। এ পর্বে আমি সেইসব পরিবারকে খুজেঁ বের করার চেষ্টা করবো যাদের উত্তরসূরীরা বাংলায় খ্রিষ্টানদের গোড়াপত্তন করেছিলেন।
Contact :
sumonmcj@yahoo.com
#দেয়াং_পাহাড় #deyang_pahar