Рет қаралды 4,515
সত্যিই কি মাটির মূর্তি জ্যান্ত হয়ে উঠতে পারে নাকি যুবকের ভ্রম। যদি মাটির মূর্তি জ্যান্ত হয়, তবে কিভাবে ? নাকি এগুলো কেবল গল্প কথা। আমরা এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো ।
স্বামীজী একদিন, এক ভাগ্যবান যুবককে বললেন, ব্যাকুল হয়ে যে যাকে ডাকে, সে তাকেই পায়। কেবল জ্ঞান ও বিচার দিয়ে তাঁকে খুঁজে বের করতে হয়। মানুষ যা কিছু কল্পনা করতে পারে, তার সব কিছুই এই জগতে স্থুল অথবা সূক্ষ্ম অবস্থায় আছে। শুধু খুঁজে বার করা চাই। এর জন্য চাই সাধনা ও গুরুকৃপা। এমনকি সাধনা বিহীন জীবেরও গুরুকৃপায়, ঈশ্বর দর্শন হতে পারে। তুই দেখবি ? তো দেখ। স্বামীজীর ঘরের একদিকে ছিল, মায়ের মূর্তি। স্বামীজী মায়ের দিকে মুখ করে, ধ্যানে মগ্ন হলেন। একঘন্টা পরে, বললেন এবার দেখ।
তো স্বামীজীর সামনে উপবিষ্ট যুবক বলছেন, দেখলাম, একটা ছোট্ট বালিকা, ধীর পায়ে স্বামীজীর সামনে উপস্থিত হলেন। প্রদীপের অস্পষ্ট আলোয়, বালিকার উজ্জ্বল জ্যোতি ও রূপের ছটা দেখে, বিহ্বল হয়ে পড়লাম। জাগতিক সমস্ত বুদ্ধি যেন লোপ পেয়ে গেছে, চেতন ও অচেতন অবস্থার মধ্যবর্তী অবস্থায় ভীত কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়লাম। শরীর কাঁপছে। স্বামীজী বললেন, মায়ের বেদির দিকে দেখ। চোখ ঘোরাতেই দেখলাম, মায়ের বেদি শূন্য। আমার শরীরের কাঁপুনি আরো বেড়ে গেলো। মায়ের পা-ছুঁয়ে প্রণাম করলাম। মানুষের পায়ের মতোই নরম আর শীতল মনে হলো। স্বামীজী ধীর কন্ঠে বললেন, মাকে ভালো করে দর্শন কর, মনে যেন কোনো আক্ষেপ না থাকে। আমি স্তম্ভিত, বোবা হয়ে মাকে দেখছি। শেষে স্বামীজীর কথায় সম্বিদ ফিরে পেলাম। স্বামীজী মাকে আসনে ফিরে যেতে ইঙ্গিত করলেন। মা ফিরে গেলেন নিজের আসনে। চিন্ময় মূর্তি আবার পাষাণে পরিণত হয়ে গেলো। এ এক বিরল অভিজ্ঞতা। এই স্বামীজী হলেন শ্রী ত্রৈলঙ্গধর। আর এই কৃপা বর্ষিত হয়েছিল, উমাচরণ মুখোপাধ্যায়-এর প্রতি।
SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION - ETERNAL PEACE SEEKER