Рет қаралды 1,698
#cricket #bangladesh #mirpur
ড্রাইভ, হেলিকপ্টার, নো লুক, পুল শট - ক্রিকেটের সব ব্যাকরণে সিদ্ধহস্ত এই বালক। ব্যাটিং ও বোলিং, দুটোতেই মানিয়ে নিয়েছে সে।
বলছি, ক্রিকেটের বিস্ময় বালক রাফসান সাদ রিহানের কথা। বয়স মাত্র ৮ পেরিয়েছে, পড়ালেখা তৃতীয় শ্রেণীতে। ক্লাসের ফার্স্ট বয় রিহান, ক্রিকেটেও সবার সেরা। বাবা ও চাচার হাত ধরে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ছোট্ট ফ্লাটের ড্রয়িং রুমে ব্যাট-বলে অভিষেক। ২ বছর বয়স থেকে শুরু, কখনো ঘরে কখনো বা ব্যস্ত অলিতে-গলিতে চলে রিহানের ক্রিকেট।
সকাল থেকে দিনটা বোঝা যায়। রিহানকে দেখলে বোঝা যায়, সে কতোটা নিয়ম ও শৃংখলায় বড় হচ্ছে। নিজেই প্যাড, গ্লাভস পড়ছে রিহান। পারিবারিক শিক্ষা ও চাচার রিজভির গাইডলাইনে গড়ে উঠছে ছোট্ট রিহান।
টেপ টেনিস বল ছুড়ছে চাচা ফাহাদ রিজভি, এই প্রথম নেট অনুশীলনে রিহান। পিচের উইকেট, কিছুটা নার্ভাস ক্ষুদে বিস্ময়। মুহূর্তেই কয়েকটা ভালো শট আত্মবিশ্বাস এনে দেয় রিহানকে। এরপর শুধু মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। ওর ব্যাটিং টেকনিক, স্কিল, আচরণ ও শটের ধরণ সহজাত এবং সৃষ্টিশীল। কয়েকটি নিখুত শট দেখে আমি সত্যি অবাক হয়েছি। সঠিক পরিচর্যা আর শৃংখল হলে রিহান হতে পারে ক্রিকেটের নতুন প্রতিভা।
রিহানের ব্যাটিং প্রতিভা খুব ন্যাচারাল। ব্যাটিং বিষয়টার সাথে প্রকৃতিগতভাবে ও দারুণ মানিয়ে নিয়েছে। খুব দ্রুত শিখতে পারে, অনুসরণের ক্ষেত্রে রিহান খুবই পটু। অর্থাৎ একটা জিনিস দেখালেই সেটা কুইক ক্যাচ করতে পারে। এবং সেইভাবে অনুকরণ করে অ্যাপ্লাই করে নিজের মতো। এ ব্যাপারে খুবই স্মার্ট রিহান।
রিহানের চাচা বলছিলেন, ও খুবই কুইক লার্নার। নো লুক শট, পুল শট বা হেলিকপ্টার শটগুলো টেলিভিশন/ইউটিউব দেখে আয়ত্ব করা। রপ্ত করার কৌশল ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ ব্যাপার। এমন নয় খুব ইম্যাচিউর শট, দেখুন রিহানের শটগুলো। ক্রিকেট লাভার হয়ে থাকলে রিহানের ব্যাটিং বৈচিত্র্য আপনাকে ঘোরের মধ্যে নিয়ে যাবে।
পেস বোলিং করলেও, রিহানের পছন্দের বোলার অজি লেগি অ্যাডাম জাম্পা। তবে যেহেতু ছোট সেহেতু সবই করার চেষ্টা রিহানের। এরপর যেটাতে খুব বেশি ভালো, সেটাই বেছে নেবে ছোট্ট রিহান। ওর লেগ স্পিন দেখে কিংবদন্তি লেগি স্পিনার শেন ওয়ার্নের কথা মনে পড়েছে বহুবার। ঐ রকম অ্যাকশন, ঐ রকম ল্যান্ডিং এবং পোসচার। যা দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়বেন অনেকেই। এই বয়সে এমন মুভমেন্ট, বোলিং কোয়ালিটি সেই সাথে টার্ন, যা সত্যি দুর্দান্ত।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিং, তীব্র গরম সত্ত্বেও ছাড় দেয় নাই রিহান। স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের চেয়েও কম সময় নিয়েছে বিশ্রামে। এই বয়সে এমন একাগ্রতা, তীব্র মনোবল আর সাহস থেকে আমি নিজেই অনুপ্রাণিত হয়েছি।
ক্রিকেট খেলার চেয়েও বড় কিছু। আদর্শ, নৈতিকতা, শেখা, জানা এবং চর্চা। সেই সাথে পরিশ্রম, নিবেদন আর দেশ প্রেমের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। শৈশব থেকে সেই নীতি আর আদর্শ লালন করে যারা, তারাই বড় হয় তারাই টিকে থাকে বহুদিন, যুগের পর যুগ। কোটি মানুষের কাছে এই গুটিকয়েক মানুষ হয় আইডল।
রাফসান সাদ রিহান, তোমার জন্য ভালোবাসা, শুভেচ্ছা। এগিয়ে যাও, এভাবেই দ্যুতি ছড়াও। বাংলাদেশ জার্সিতে দেখবো তোমায়, এই স্বপ্ন আমি দেখতেই পারি।