Рет қаралды 34,594
।। শ্রীশ্রী চণ্ডী তত্ব ।। পর্ব ১ ।।
আলোচনায় : পণ্ডিত অজয় ভট্টাচার্য্য মহাশয়।
শ্রীশ্রীচণ্ডী একজন দেবীর নাম। শ্রীশ্রীচণ্ডী একটি গ্রন্থেরও নাম, যে গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছেন দেবী চণ্ডী বা চণ্ডিকা। অর্থাৎ ‘চণ্ডী’র কথা বা দেবী মাহাত্ম্য যে গ্রন্থে আছে সেই গ্রন্থকেও ‘চণ্ডী’ বলে। দেবী চণ্ডীর পূজার যেমন বিধি আছে, চণ্ডীগ্রন্থেরও সে’রূপ পূজাবিধি আছে। চণ্ডীগ্রন্থ যেন চণ্ডীদেবীর প্রতীক। মা চণ্ডী যেমন আমাদের পরম শ্রদ্ধেয়, চণ্ডীগ্রন্থ তেমনই আমাদের পরম শ্রদ্ধার বস্তু । চণ্ডীগ্রন্থ বিধিমত পূজা করে চণ্ডী পাঠ করতে হয়; তবেই চণ্ডী পাঠের ফল পাওয়া যায়। চণ্ডীগ্রন্থের বর্ণনীয় বিষয় দেবী মাহাত্ম্য। গ্রন্থের সঙ্গে গ্রন্থের বিষয় অভিন্নভাবে ‘চণ্ডী’ নামে গাঁথা আছে। ‘চণ্ডী’ নাম উচ্চারণ করলেই ‘চণ্ডী’গ্রন্থ ও ‘চণ্ডিকা’দেবী -দু’টি ভাবই হৃদয়ে ভেসে ওঠে।
মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস বেদকে ঋক, যজু, সাম ও অথর্ব- এই চার ভাগ করেন এবং মহাভারত, ভাগবত প্রভৃতি আঠারোটি মহাপুরাণ ও ব্রহ্মসূত্র ( উত্তর-মীমাংসা বা বেদান্ত দর্শন ) রচনা করে অমর হয়ে রয়েছেন। এ’সব গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি শুধু ভারতবর্ষ নয় সারা বিশ্বকে জ্ঞানের আলোকে দীপ্ত করে অজ্ঞান অন্ধকার দূর করে দিয়েছেন। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যেমন মহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত, শ্রীশ্রীচণ্ডীও তেমনই অষ্টাদশ মহাপুরাণের অন্যতম মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত ( ৮১ থেকে ৯৩তম অধ্যায় )। গীতায় সাতশত শ্লোক আছে এবং চণ্ডীতে পাঁচ শত আটাত্তর শ্লোক আছে, যা সাতশত মন্ত্রে বিভক্ত। এক একটি মন্ত্রে হোম করার বিধি আছে। কাত্যায়নী তন্ত্রে এই মন্ত্রবিভাগরহস্য বর্ণিত আছে। মন্ত্র সংখ্যার হিসেবে চণ্ডীকেও গীতার ন্যায় সপ্তশতী বলা হয়। প্রশ্ন জাগে, চণ্ডীগ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় দেবী চণ্ডী বা চণ্ডিকা দেবী , কে তিনি? ............ আরো জানতে দেখুন আজকের পর্ব !
সঞ্চালনায় : রণীত সিংহ চৌধুরী
বঙ্গদর্শন ও নবরত্ন প্রযোজনার সহ নিবেদন।