Рет қаралды 28,073
আজ 23/03/2023, বৃহস্পতিবার স্যান্ডেলেরবিল শ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের বহু আকাঙ্খিত শ্রীমন্দিরের কাজ চলা কালীন সময়ে পবিত্র দীক্ষা-দান এবং বাৎসরিক উৎসব উপলক্ষ্যে একটি বৈকালিক ধর্মসভা আয়োজিত হয়েছিল।উক্ত অনুষ্ঠানে এই আশ্রমের প্রাণপুরুষ এবং সুন্দরবন অঞ্চলের অগণিত মানুষের দুর্দিনের সহায় .. পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী দিব্যানন্দজী মহারাজের অমূল্য ভাষণ উপস্থাপন করলাম আপামর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তমন্ডলীর কাছে। দিব্যত্রয়ীর কাছে সকলের সার্বিক সুস্থতা ও কল্যাণ কামনা করি।
*********************************
স্যান্ডেলেরবিল শ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সৃষ্টির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:---
সুন্দরবন অঞ্চলে রামকৃষ্ণ ভাবধারা প্রচারে এবং প্রসারে প্রথম অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন যিনি তাঁর নাম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী দিব্যানন্দজী মহারাজ। 1982 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁরই শুভ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় স্যান্ডেলেরবিল শ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রম(হিঙ্গলগঞ্জ,উত্তর 24 পরগনা)।এর আগে কুমীরমারী তে একটি আশ্রম প্রতিষ্টিত হলেও তা নানা কারণে তা স্থায়ী হয়নি।
1981 সালে হিঙ্গলগঞ্জ এ "বামাসুন্দরী স্মৃতিমেধা পুরস্কার" (শ্রদ্ধেয় পরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী মহাশয়ের মায়ের স্মৃতিতে, সুন্দরবন অঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাধ্যমিক উচ্চ-মাধ্যমিক এর কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা র জন্য প্রতিষ্ঠিত) অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে পূজ্যপাদ মহারাজ প্রথম হিঙ্গলগঞ্জে আসেন। তখন তিনি ছিলেন ব্রহ্মচারী দিব্যচৈতন্য।
মহারাজ রাত্রিবাস করেন সেই সময়ে বিদ্যামন্দিরে পাঠরত শ্রী তপন ঘোষ(পিতা-শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সৌরীন্দ্র নাথ ঘোষ। বর্তমানে শ্রদ্ধেয় তপন বাবু প্রাক্তন অধ্যাপক,বিদ্যামন্দির, বেলুড় মঠ) মহাশয় এর বাড়িতে। হিঙ্গলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সুভাষ গায়েন, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মানিক চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ ভক্তদের সাথে মহারাজের ঘনিষ্ঠতা হয়। সেই রাতের শুভ অনুপ্রেরণা ও ঠাকুর-মা-স্বামীজীর ভাব ধীরে ধীরে অন্যান্য অনেক ভক্তের মধ্যে সঞ্চারিত হতে থাকে।
প্রতিষ্ঠা-পর্বের সঙ্গে যুক্ত ভক্তদের মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য শ্রদ্ধেয় .. স্বর্গীয় মহাদেব মন্ডল(আশ্রমের ভূমিদাতা),শ্রী ধনঞ্জয় মন্ডল, শ্রী পরেশ চন্দ্র মন্ডল(বর্তমান সম্পাদক),স্বর্গীয় শ্রী বিনয় ঘোষ( দাতা)শ্রী চন্দ্রগুপ্ত মন্ডল,শ্রী আশুতোষ মন্ডল, শ্রী প্রভাস মন্ডল,শ্রী প্রভাস গায়েন,শ্রী প্রশান্ত গায়েন,শ্রী আলোক মন্ডল,শ্রী ধীমান চন্দ্র মন্ডল,শ্রী সন্তোষ মন্ডল,শ্রী গোপাল চন্দ্র মিস্ত্রী, শ্রী স্বপন মন্ডল,শ্রী অনিল সিকদার,মাননীয়া কনক দিদিমণি(শিক্ষিকা, রানীবালা গার্লস হাইস্কুল),শ্রী সমরেন্দ্র নাথ দত্ত, প্রমুখ। এ ছাড়াও অগণিত ভক্ত ,যাঁরা একে একে তাঁদের অর্থ এবং শ্রম দিয়ে এই মহান কর্ম-যজ্ঞে সামিল হয়েছেন।সেদিন ভক্তরা নিজেরাই মাটি কেটে, বাঁশ সংগ্রহ করে,খড়ের চাল দিয়ে নিজেদের পরিশ্রমে গড়ে তুলেছিলেন এই ছোট্ট আশ্রম টি।ছোট্ট মাটির কুঁড়ে ঘর আলো করে ঠাকুর,মা,স্বামীজী আসন গ্রহণ করলেন।
জন্মের পর থেকে এই ছোট্ট আশ্রমে ঠাকুর ও মায়ের সন্ন্যাসী সন্তানদের মধ্যে অনেক বরিষ্ঠ সাধু মহারাজের পদধূলি পড়েছে ।
পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী গহনানন্দজী মহারাজ, পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী শিবময়ানন্দজী মহারাজ সহ মায়ের অনেক অনেক সন্ন্যাসী সন্তানদের পবিত্র পদধূলিতে ধন্য হয়েছে এই ছোট্ট আশ্রমটির ভূমি।
পূজ্যপাদ সনাতনানন্দজী মহারাজ, পূজ্যপাদ (বিভাস মহারাজ), পূজ্যপাদ (সুকুমার মহারাজ), প্রমুখ মহারাজ গনের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ভক্তদের কাছ থেকে সংগৃহীত ভিক্ষা-লব্ধ অর্থ অনিবার্য ভাবে এই ছোট্ট আশ্রমটিকে ক্ষুদ্র থেকে বৃহতের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
আশ্রম প্রতিষ্ঠার অল্প কিছুদিন পরেই দিব্যত্রয়ী র আশীর্বাদে আমরা পেয়েছি পরম পূজনীয় দেবব্রতানন্দজী মহারাজ কে (মুরারী মহারাজ) এবং পরে পেয়েছি পরম পূজনীয় সমর্পণানন্দজী (অমলেন্দু মহারাজ) কে ।যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ভক্তি এবং ভালোবাসায় আজ এই আশ্রমটি লক্ষ লক্ষ ভক্তের কাছে, সর্বোপরি বেলুড় মঠের কাছে আদরণীয়।
এই দীর্ঘ সময়ের মাঝে আমরা পূজনীয় কৃষ্ণ মহারাজ,পূজনীয় বরুণ মহারাজ, আরো অনেক পূজনীয় সন্ন্যাসীদের পেয়েছি, যদিও তাঁরা অল্পদিনের জন্যই ছিলেন।তাঁদের ভূমিকা কেও গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
আজ সুন্দরবনের সাত টি ব্লকে 33 টি আশ্রম প্রতিষ্টিত হয়েছে, যাদের শুভজন্ম হয়েছে এই স্যান্ডেলেরবিল এর আশ্রমের অনুপ্রেরণায়। এইসব আশ্রম গুলিতে কালে কালে সম্মিলিত হয়েছেন বহু আত্মত্যাগী গৃহী-ভক্ত। যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম,ত্যাগ, তিতিক্ষা দিব্যত্রয়ীর মহান ভাব কে প্রসারিত করেছে গোটা সুন্দরবন অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে।শুধু আধ্যাত্মিক ভাব নয়, বহু স্বনির্ভরতা মূলক প্রশিক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ত্রাণ-কার্য, গদাধর পাঠশালা, দাতব্য-চিকিৎসালয়,রক্তদান শিবির প্রভৃতি সেবামূলক কাজ অবিরাম ধারায় চলেছে এইসব আশ্রম গুলিতে। এই আশ্রম গুলির সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বেলুড় মঠ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত "রামকৃষ্ণ ভাব প্রচার পরিষদ"। যার কেন্দ্রে আছেন টাকী রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ মহারাজ।
স্যান্ডেলেরবিল আশ্রমের জন্মের পর থেকে আজ অবধি প্রতি বার্ষিক উৎসবেই পূজ্যপাদ স্বামী দিব্যানন্দজী মহারাজ অংশগ্রহণ করেন। আজ অবধি কখনোই এর অন্যথা হয়নি। এই বিস্তীর্ণ এলাকার অগণিত দরিদ্র অসুস্থ মানুষকে কলকাতায় নিয়ে সু-চিকিৎসা, অপারেশন এর ব্যবস্থা করেছেন।মূলত তাঁর জন্যই বহু দরিদ্র মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আজও সেই পরিষেবা অব্যাহত। তাঁর প্রতি সুন্দরবনের মানুষের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাবার কোনো ভাষা নেই।
আমরা গোটা সুন্দরবন এলাকার অধিবাসী সম্মিলিত ভাবে পরম পূজ্যপাদ মহারাজের সুস্থ, নীরোগ জীবন প্রার্থণা করি জগৎ জননী মায়ের কাছে।
জয় শ্রীরামকৃষ্ণ
জয় জননী শ্রীসারদামনি
জয় বীরেশ্বর বিবেক ভাস্কর
*******************************
@saradamaa
#ramakrishna
#ramkrishna
#swamivivekananda
#swamiji
#sarada
#belurmath
#বেলুড়মঠ
*******************************
KZbin Channel Name:-
Subhra kanti Gayen
TAKI, WB, INDIA