Рет қаралды 320
`` আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ``
কম টাকায় এক দিনে ঘুরে আসলাম সিলেট থেকে - Bholagonj Sada Pathor | Ratargul Swam Forest | Sylhet Tour
বরাবরের মতন এইবারও আমরা খুব অল্প টাকায় সিলেট ট্রাভেল করেছি সেই অভিঙ্গতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এই ব্লগের মাধ্যমে আপনি সিলেট ভ্রমনের একটি পরিপূর্ন ভ্রমন গাইডলাইন পাবেন। তাই সম্পূর্ন ব্লগটি দেখার অনুরোধ রইল।
সিলেট --
কোথায় কোথায় ঘুরতে পারবেন :
1) মালনীছড়া চা বাগান
2) রাতারগুল সাদা পাথর
3) রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট:
4) আগুন পাহাড়
5) জাফলং
6) সংরাম্পুঞ্জি ঝর্ণা
7) পান্থুমাই ঝর্ণা
8) বিছানাকান্দি
অল্প টাকায় কিভাবে সিলেট ঘুরে আসতে পারেন তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখতে হবে। তাই না টেনে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখুন। আশা করি সিলেট টূরে আপনাদের আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না। তবুও যদি কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টস করুন।
**সিলেট ভ্রমনের খরচের তালিকা:
ঢাকা টু সিলেট - ননএসি বাস ৫৭০ টাকা, এসি বাস ১২০০ টাকা, ট্রেন সর্বনিম্ন ২৬৫ টাকা, বিমান ৩০০০-৬০০০টাকা
সিলেট থেকে ৩টি স্পট (চা বাগান, রাতারগুল, সাদাপাথর) দেখার জন্য সারাদিন সিএনজি ভাড়া ১৮০০-২০০০ এবং লেগুনা ভাড়া ২০০০-২৫০০ টাকা
রাতারগুল নৌকা ভাড়া ১১০০ টাকা
সাদাপাথর নৌকা ভাড়া ৮০০ টাকা (০৮ জন)
সাদাপাথর লকার ভাড়া ১০০ টাকা
সকালের নাস্তা এবং ২ বেলা খাবার ৫০০টাকার মধ্যে করতে পারবেন।
**মালনীছড়া চা বাগান:
বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত মালনীছড়া চা বাগান (Malinicherra Tea Garden) উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। যা সিলেট শহর থেকে মাত্র 5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৮৪৯ সালে লর্ড হার্ডসনের হাত ধরে ১৫০০ একর জায়গার উপর এই বাগানটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চা বাগানটি বেসরকারী তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হলেও সুন্দর সময় কাটানোর জন্য পর্যটকদের কাছে পছন্দের স্থান হিসাবে সুপরিচিতি পেয়েছে।
**ভোলাগঞ্জ:
সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত প্রকৃতি মায়ায় মোড়ানো ভোলাগঞ্জ (Bholaganj) দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারির অঞ্চল। ভোলাগঞ্জ সীমান্তে প্রাকৃতিক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড়। সেই পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারা একদিকে ধলাই নদের পানির যোগানদাতা অন্যদিকে এই পানি প্রবাহই ভোলাগঞ্জের রূপের উৎস। সবুজ পাহাড়, মেঘের হাতছানি আর বর্ষার পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা সাদা পাথর ধলাই নদের বুকে মিলে মিশে ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ধলাই নদের উৎস মুখের পাথর পরিবেষ্টিত জায়গাটুকু ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বা সাদা পাথর নামে পরিচিত। সাদাপাথর এলাকাটি দেখতে অনেকটা ব-দ্বীপের মত। ধলাই নদী বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে চারপাশ ঘুরে আবার মিলিত হয়েছে। ধলাই নদীর পানির সাথে ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে প্রচুর পাথর নেমে আসে। পাথর উত্তোলনকে সহজ করতে ১৯৬৪-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে নির্মাণ করা হয়। ভোলাগঞ্জ থেকে সোয়া ১১ মাইল দীর্ঘ এই রোপওয়ে চলে গেছে ছাতক পর্যন্ত, যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হত। বর্তমানে রোপওয়ের টাওয়ারগুলো কালের স্মৃতিচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। রোপওয়ে বন্ধ হলেও থেমে নেই পাথর উত্তোলন। এখনো অনেক স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবিকার উৎস এই পাথর উত্তোলন। ১০ নং ঘাট থেকে সাদাপাথর যাওয়ার পথে পাথর তোলা কিংবা ছোট নৌকায় পাথর বহন করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়বে।
**রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট:
রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest)। এটি সিলেট জেলা শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। রাতারগুল বনটি প্রায় ৩০,৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই বিস্তৃর্ণ এলাকার ৫০৪ একর জায়গায় রয়েছে বন আর বাকি জায়গা ছোট বড় জলাশয়ে পূর্ণ। তবে বর্ষায় পুরো এলাকাটিকেই দেখতে একই রকম মনে হয়। রাতারগুল ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। রাতারগুল জলাবন বছরে চার থেকে পাঁচ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। তখন জলে ডুবে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমায়। অনেক পর্যটক রাতারগুলকে ‘বাংলাদেশের আমাজন’ হিসাবে অভিহিত করেন। বর্ষায় গাছের ডালে দেখা মিলে নানান প্রজাতির পাখি, আবার তখন কিছু বন্যপ্রাণীও আশ্রয় নেয় গাছের ডালে। এছাড়া শীতকালে রাতারগুলের জলাশয়ে বসে হাজারো অতিথি পাখির মেলা। সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
#Sylhet
#Bholagonj_sada_pathor
#Ratarghul_swamp_forest
#malinichora_tea_garden
Music Credit to -
1) • Supreme - JayJen (No C...
2) • Ghodey Pe Sawaar || Qa...
3) • Moyna Cholat Cholat | ...
4) • Ek Ladki Ko Dekha || V...