Рет қаралды 2,587
The formless God cannot be seen, so he cannot be chanted! || February 23, 2024
নিরাকার আল্লাহকে দেখা যায় না, তাই তাঁকে স্বরণ করাও যায় না!
রসুলাল্লাহ (আঃ) জীবনে একবার মাত্র হজ্ব পালন করিয়াছিলেন। মক্কা শহরকে চির বিদায় জ্ঞাপন করিয়া তিনি জন্মস্থান ত্যাগ করিলেন। এই জন্য ইহাকে 'বিদায় হজ্ব' বলা হয় এবং তাঁহার দেওয়া এই ভাষণকে 'বিদায় ভাষণ' বলা হয়, যেহেতু ইহা ছিল জন্মভূমির প্রতি শেষ ভাষণ। মক্কায় অবস্থিত সকলকে বিদায় সম্ভাষণ করিয়া নিজে এহরামের পোশাক না ছাড়িয়াই মদিনার পথে রওয়ানা হইলেন। প্রায় সোয়া লক্ষ লোক তাঁহার সহযাত্রী ছিলেন। পথে ১৮ জিলহজ তারিখে যখন তিনি গাদিরে খুম নামক জায়গায় উপস্থিত হইলেন তখন এই আয়াত নাজেল হইল: হে রসুল, আপনার রব হইতে আপনার দিকে যাহা নাজেল করা হইয়াছে তাহা পৌছাইয়া দিন। আর যদি তাহা না করেন তাহা হইলে তাঁহার (আল্লাহর) রেসালত পৌঁছাইয়া দেওয়া হইল না। আল্লাহ আপনাকে মানবমণ্ডলী হইতে লইয়া আসিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফের কওমকে হেদায়েত করেন না (৫:৬৭)! ইহা কোরানের সব শেষের আগের আয়াত। This verse of the Quran is the last but one according to chronology of time. শেষ কথাটির প্রকৃত অনুবাদ হইল : আল্লাহ আপনাকে মনুষ্য হইতে (সরাইয়া)তাঁহার সঙ্গে লাগাইয়া লইতেছেন বা লইবেন। ইহাতে বলা হইল : হে রসুল, যে কথা আলীর মাওলাইয়াত ঘোষণা করিবার বিষয়ে নাজেল করা হইয়াছিল তাহা এখন পৌছাইয়া দিন। আর তাহা যদি না করেন তবে আল্লাহর রেসালত মানবমণ্ডলীর নিকট পৌছাইয়া দেওয়া হয় না, কারণ শীঘ্রই আল্লাহ আপনাকে জনমণ্ডলী হইতে তাঁহার গভীর সান্নিধ্যে টানিয়া লইয়া যাইতেছেন; অর্থাৎ আপনার পার্থিব কর্মজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিতেছে। এমতাবস্থায় যদি নবুয়তের কার্যাবলীর এন্তেজাম করিবার যোগ্য প্রতিনিধি নিয়োগ করিয়া জনগণের কাছে তাহাকে তুলিয়া না দেন তাহা হইলে আল্লাহর রেসালত জনগণের নিকট পৌছাইয়া দেওয়া হইল না। 'রেসালত' অর্থ প্রতিনিধিত্ব। নবী বিদায় লইতেছেন। নবী আল্লাহর প্রতিনিধি। আলীকে (আ.) আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করিবার উপযুক্ত করিয়া গড়িয়া তোলা হইয়াছে। নবীর পরে রেসালতের কাজে আলীই (আ.) হইলেন তাঁহার একমাত্র যোগ্য প্রতিনিধি। আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে আলীকে (আ.) জনমণ্ডলীতে রসুলের পরে তাঁহার স্থলাভিষিক্ত করিবার নির্দেশক সংবাদ নাজেল করা হইয়াছিল এর কিছুকাল আগেই। কিন্তু রসুলাল্লাহ (আ.) তাহা তখন প্রচার করা স্থগিত রাখিয়াছিলেন বিশেষ কোন একটি কারণে। এই নির্দেশক সংবাদ নাজেল হওয়ার সময় উহা প্রকাশ না করিয়া বিরাট জনতার মধ্যে আদেশপ্রাপ্ত হইয়া বিশেষ পরিবেশ এবং উপযুক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করিবার ইচ্ছা পোষণ করিয়াছিলেন। ইহার কারণ, তিনি বেশ জানিতেন আলীর (আ.) এই মাওলাইয়াত বা প্রতিনিধিত্ব হিংসার বশবর্তী হইয়া লোকেরা অস্বীকার করিবে এবং আলীর (আ.) বংশধরের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র চলিতে থাকিবে যাহার ফলে ধর্ম বিনষ্ট হইয়া যাইবে। এইজন্য তিনি ঐ পরিস্থিতিতে নাজেল করা সংবাদটি জনগণের নিকটে না পৌছাইয়া উহাকে কার্যকরী করিবার জন্য আদেশদানের অপেক্ষায় রহিলেন। যাত্রাপথে গাদিরে খুম নামক জায়গায় উহা কার্যকরী করিবার জন্য আল্লাহতা'লা পুনরায় আদেশ দান করিলেন। রসুলের (আ.) এই ভাবের উপর আল্লাহর যে নির্দেশ হইয়াছিল তাহার উপর টীকা করিতে যাইয়া- তফসীরে কাশাফ লিখিয়াছেন, "হজসে যব তোম ফারেগ হো তবু আলীকো মোকাররার কার দো।" কাজেই হযরত আলী (আ.)-এর মাওলাইয়াতের নির্দেশক সংবাদ আল্লাহ আগেই দিয়াছিলেন, এখন তাহা কার্যকরী করিবার জন্য আদেশ দান করিলেন। পথে অহি লাভের আশা করিয়াই তিনি 'এহরাম বস্ত্র' পরিধান করা অবস্থাতেই রওয়ানা হইয়াছিলেন, 'যাহাতে লোকেরা এই অহির গুরুত্ব অত্যধিক মনে করে।
একেতো আল্লাহ হইতে অহি, তাহার উপর নবীর
এহরাম অবস্থায় এবং বিরাট জনতার মধ্যে উহার আগমন এবং ঘোষণা। লক্ষাধিক লোক মিলিয়া সেই অহিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন।
কিন্তু আফসোস, রসুলাল্লাহ (আ.) যে আশঙ্কা করিয়াছিলেন পরবর্তীকালে তাহাই ঘটিল। নবীর অন্তর্ধানের পরে এই নির্দেশকে ছিন্ন ভিন্ন করিয়া সমাজ হইতে এই কথাটির প্রকাশ পর্যন্ত আরও পরবর্তীকালে অর্থাৎ খোলাফায়ে রাশেদীনের পরে একেবারে পাল্টাইয়া দেওয়া হইল যদিও আসল ভাবটি জগৎ হইতে একেবারে মুছিয়া, দেওয়া সম্ভব হয় নাই।
ইবনে মারদুইয়া ইবনে ওমরু হইতে বর্ণনা করেন যে, আমরা উক্ত আয়াত রসুলের (আঃ) সম্মুখে এইভাবে পড়িতাম :
তফসীরে দোররে মনসুর, মোল্লা জালালউদ্দিন শিউতী, ২য় খণ্ড, মিশর থেকে প্রকাশিত।
গাদিরে খুমের ঘটনাবলীর
উল্লেখ রয়েছে এমন কিছু পুস্তক
পুস্তকের নাম লেখকের নাম
১. তফসীরে দুর্রে মনসুর জালাল উদ্দিন শিউতি...
২. তফসীরে আল কাশশাফ ওয়াল বায়ান আবু ইসহাক সায়ালবী....
৩. তফসীরে গারায়েবুল কোরান আল্লামা নেশাপুপী...
৪. উসুলে কাফি মোহাক্কেক কালীনী.....
৫. সরহে নাহজুল বালাগা ইবনে আবি আল হাদিদ মোতাজেলী....
৬. মসনদ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল.....
৭. সওয়ায়েক্কে মাহরেক্ক হাফেজ ইবনে হাজার মক্কি...
৮. আবকাতুল আনওয়ার আল্লামা সৈয়দ হামিদ...
৯. আল গাদির দানেশ মন্দ মহরম শেখ আবদুল হোসাইন আহমদ আমিনী....
১০. তারেখে রসুল আল মুলুক মোহাম্মদ ইবনে জরির তাবারী....
১১. মুরুজ আজজাহাব আলী ইবনে হাসান ইবনে আলী আল্ মাসয়দী....
১২. এসবাতে অছিয়ত আলী ইবনে হাসান ইবনে আলী আল্ মাসয়দী....
১৩. সাজারাতাল জাহাব ইবনেল এমাদ....
১৪. তারিখ শায়েরী লে সাদরুল ইসলাম আবদাল মাসিহ এনতাকী বেগ...
১৫. আল ফেতনাতুল কুবরা ডাক্তার তাহা হোসাইন...
১৬. ঈদে গাদির বুলেস সালাসা.......
১৭. দি স্পিরিট অব ইসলাম সৈয়দ আমীর আলী...
১৮. হিস্ট্রি অব স্যারাসিনস সৈয়দ আমীর আলী....
১৯. দি শিয়া আইট রিলিজিয়ন ডোরায়েট এম. ডোনাল্'ড্ সেন...
২০. আল গাদির (১৮ খণ্ডে) সৈয়দ আল আমিনী....
২১. আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশর।
www.facebook.c...
www.facebook.c...