Рет қаралды 158
#crying , #power #women_emotions
----------------------------------------------------------------------
এটা কি সত্যি যে একটু মন খুলে কান্নার পরে আমাদের মন হালকা লাগে বা আমাদের মন ফুরফুরা হয়ে যায়? আরেকটা প্রশ্ন, কারা বেশি কান্না করে? নারীরা কি পুরুষের চেয়ে বেশি কান্না করে। গোপনে কান্নার চেয়ে কি জনসম্মুখে কান্নার গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে? এইসব বিষয় নিয়েই আমাদের আজকের এই ভিডিও, চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমাদের আজকের জার্নিটা।
সম্মানিত দর্শক এই ভিডিওতে আমরা মানুষের কান্না নিয়ে কথা বলব। বা আমরা এমন করে বলতে পারি যে এই ভিডিওতে মানুষের কান্নার যে শক্তি বা কান্নার যে ক্ষমতা কান্নার যে পাওয়ার এই বিষয়টা নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব।
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে পরিচারিত একটি সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছিলো যে, নারীরা বছরে গড়ে কতবার কান্নাকাটি করে। আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, একজন নারী বছরে কতবার কাঁদে আপনি কি বলতে পারবেন? আপনাকে কয়েকটি অপশন দিচ্ছি, ৫২ বার ৭২ বার ১০২ বার? সমীক্ষায় পাওয়া সঠিক উত্তর আমরা এই ভিডিও দেখতে দেখতে এক সময় পেয়ে যাব, চলুন পথচলা অব্যাহত রাখি।
পুরুষ মানুষ কাঁদে না এমন একটা অপ্রিয় সত্য কথা সমাজে প্রচলিত আছে। অনেকের ধারণা যে পুরুষেরা তাদের আবেগ দেখায় না, অন্যদিকে মহিলারা সবসময় তাদের আবেগ দেখাতে গিয়ে কেঁদে ফেলে।
কান্না মানুষের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা আসলে কেন কান্নাকাটি করি? পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে প্রকাশ্য এবং গোপনে কান্নার মধ্যে কি কি প্রার্থক্য রয়েছে, আজকের এই ভিডিওতে আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
আমার কাছে এটা মনে হয় বরাবরই যে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি কান্নাকাটি করে। অনেক মানুষই মনে করেন যে আমরা যখন খুব কষ্ট পাই বা আঘাত পাই তখনই কেবল আমরা কান্নাকাটি করি। কিন্তু এমনটা কি হয় না যে আমরা আনন্দ দেখানোর জন্য কান্নাকাটি করি যখন আমরা কোন সুন্দর দৃশ্য দেখি বা কোন এমন ঘটনা ঘটে যেমন সন্তানের সাফল্য বাবা-মায়ের সাফল্য এমন কোন কিছুতে যখন আমরা প্রভাবিত হই যখন স্বপ্ন এসে ধরা দেয় তখন কি আমরা আনন্দে কেঁদে ফেলি না? হয়তো মহিলারা জন্মগতভাবেই একটু বেশি আবেগ তাড়িত হয়ে থাকে এবং তারা বেশি আবেগ দ্বারা পুরুষের চেয়ে একটু বেশি প্রভাবিত হয় আর সেই কারণেই তারা একটু বেশি কান্নাকাটি করে। শুরুতেই বলেছিলাম যে একটা সমীক্ষা কিন্তু রয়েছে যুক্তরাজ্যে যেটা হয়েছিল ২০১৭ সালে, সেখানকার ফলাফল আপনাদেরকে জানাব যে নারীরা বছরে আসলে কতবার কান্নাকাটি করে থাকে। মানুষের কান্নাকাটি করার পেছনে নানান কারণ রয়েছে।
এবং আমার কাছে যে বিষয়টি কান্নার কারণ অন্যজনের কাছে সেটি হাসির কারণ হতে পারে। আমার এমন কিছু বান্ধবী আছে যারা অন্তত সপ্তাহে একবার কান্নাকাটি করবেই। যদিও এটা সত্যি যে নারীদের তুলনায় পুরুষেরা একটু কম কান্নাকাটি করে, কিন্তু এটাও মনে হয় যে জনসম্মুখে কান্নাকাটি করতে নারীদের তুলনায় পুরুষেরা একটু কম বিব্রত বোধ করে। পুরুষ এবং নারীরা কিভাবে তাদের আবেগকে প্রকাশ করবে বা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করবে সেটাতেও একটা পার্থক্য কিন্তু রয়েছে। আমি একবার বিবিসির রেডিওর নারী ঘন্টা নামে একটা অনুষ্ঠান শুঞ্ছিলাম সেখানে একজন থেরাপিস্ট কর্ম ক্ষেত্রে নারীদের কান্নার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কেন নারীরা কর্মক্ষেত্রে কান্নাকাটি করে এর কারন ও এর ফলাফল ছিলো আলোচনার বিষয়। যিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সম্ভবত তার নাম জোয়ানাক ক্রস । আমি তার কথাগুলো শুনেছিলাম তিনি এমনটা বলেছিলেন যে, ধরে নেয়া যাক কোন একজন মহিলা তার কর্ম ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই কোন না বিষয়ে নিয়ে কান্নাকাটি করেন, যদিও আমার কাছে মনে হয় যে, কর্মক্ষেত্রে কান্নাকাটি একজন কর্মীর জন্য খুব বেশি উপকার বয়ে আনেনা। কিন্তু যদি এমন হয় যে তিনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় জন্য কান্নাকাটি করছেন তাহলে তার কান্নাকাটি গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং তিনি একটা ভালো লেভেল পর্যন্ত যেতে পারবেন। কিন্তু আমি মনে করি সব সময়ই কান্না হতাশা এবং বিরুপ পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করতে পারে না।
অনেকগুলো অমীমাংসিত সমস্যা আমাদেরকে সমাধান করতে হয়। এবং যদি আপনি আপনার অনুভূতিগুলোকে সমস্যাগুলোকে মোকাবেলা না করেন তাহলে এগুলো কিন্তু একদিন একটা বড় বোমা হয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। যা আপনার জীবনে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। যদি আপনি চান আপনার জীবনের ছোট্ট ও শেষ সমস্যাটা আপনাকে ছেড়ে চলে যাক তাহলে কাঁদতে শুরু করুন।
---------------------------------------------------------------------------
Hello Friends! This channel Published here ( Exclusive Information, Motivational Topic & Many more )