Рет қаралды 16,104
জুম্মার দিন বিশেষ খাবার প্রস্তুত করার বিষয়টি অনেক মুসলিম পরিবারে একটি প্রচলিত প্রথা। যদিও ইসলামে এমন কোনো নির্দিষ্ট বিধি নেই, তবে এই দিনটিকে বিশেষ মনে করে পরিবারের সদস্যরা সাধারণত ভালো কিছু রান্না করে। এই দিনটির গুরুত্ব ও ফজিলত বৃদ্ধি করতে অনেকেই একসাথে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশেষ খাবার প্রস্তুত করেন এবং আল্লাহর কাছ থেকে বরকত লাভের আশা করেন। গুরুত্বপূর্ণ হলো, জুম্মার দিনে প্রার্থনা, সদকা ও ধর্মীয় কর্তব্য পালন করা।
জুম্মার দিনে বিশেষ খাবার প্রস্তুত করার বিষয়ে কুরআনে সরাসরি কোনো নির্দেশনা নেই। তবে জুম্মার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে কুরআনে কিছু উল্লেখ রয়েছে, যেমন:সুরা আল-জুমুআ (62:9):“হে যারা ঈমান এনেছো! যখন জুমার দিনের সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে তাড়াতাড়ি যেয়ো এবং বিক্রি-বাণিজ্য ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা জানতে।”এ আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, জুম্মার দিনে সালাতের গুরুত্ব এবং অন্যান্য কার্যক্রমের তুলনায় প্রার্থনার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।বিশেষ খাবার প্রস্তুত করার বিষয়টি ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে গৃহীত হতে পারে, কিন্তু কুরআনে এই বিষয়টি উল্লেখিত নেই। ধর্মীয় আচরণে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সালাত ও ইসলামের মৌলিক নির্দেশনা পালন করা।
জুম্মার দিনে বিশেষ খাবার প্রস্তুত করার বিষয়ে সরাসরি কোনো হাদিস নেই। তবে জুম্মার দিনের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে কিছু হাদিস রয়েছে:হজরত আবু হুরাইরা (রা.)-এর হাদিস:নবী (সা.) বলেছেন: “জুম্মার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদ। এতে রয়েছে পাঁচটি বিষয়: (১) ঈমানদারদের জন্য শুকরিয়া, (২) জুম্মার দিন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, (৩) নতুন জামা কাপড় পরা, (৪) পারফিউম ব্যবহার করা, (৫) মিষ্টান্ন খাওয়া।” (আল-মুজাম আল-কবির)হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে এক হাদিস:নবী (সা.) বলেছেন: “যারা জুম্মার দিনে গোসল করে এবং তারপর জুম্মার সালাতের জন্য আসে, তার জন্য পূর্ববর্তী সপ্তাহের পাপমোচন হবে।” (বুখারি)এই হাদিসগুলো জুম্মার দিনের ধর্মীয় গুরুত্ব ও প্রস্তুতির পরামর্শ দেয়, কিন্তু বিশেষ খাবার প্রস্তুত করার সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা নেই। খাবার বা বিশেষ খাদ্য প্রস্তুতির বিষয়টি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যিক হতে পারে, কিন্তু এটি ধর্মীয় নির্দেশনা বা প্রমাণের ভিত্তিতে নয়।