Рет қаралды 339
নিজের ভাইকে শ্মশানে পুড়িয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।
গত ১৪ ই মার্চ নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের প্রাচীন জনপদ ভাজন ঘাটে অনুষ্ঠিত হলো একটি গ্রামীণ যাত্রাপালা।
নাম শ্মশানের ঘুম নেই।
ধনী পরিবারের নিজের ভাইকে শ্মশানে পুড়িয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়।
আর লোভ-লালসায় পরিপূর্ণ এক দাদা, নিজের বোনকে লম্পট মাতালের হাতে তুলে দিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়- এরকমই একটি অশ্রু সজল যাত্রাপালা শ্মশানের ঘুম নেই।
রচনা স্বপন কুমার চট্টোপাধ্যায় । পরিবেশনায় আমরা সবাই নাট্য সংস্থা, ভাজনঘাট।
এই উদ্যোগে সামিল ছিলেন অসীম হালদার, মধু বিশ্বাস ,ভঞ্জন বিশ্বাস, বিনোদ হালদার, লক্ষণ হালদার, বিশ্বনাথ হালদার, জয়দেব দুলে, জয় গোপাল হালদার, সুব্রত হালদার ,প্রণয় হালদার , বিপ্লব হালদার, লক্ষণ হালদার, খোকন হালদার প্রমূখ।
যাত্রা অনুষ্ঠানের শুরুতে দর্শক সংখ্যা কম থাকলেও যত রাত বাড়তে থাকে তত বেশি দর্শক লক্ষ্য করা যায় । যাত্রা অনুষ্ঠান দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।
বস্তুত গ্রাম বাংলায় এখন নাট্য সংস্কৃতি বিলুপ্তপ্রায়। স্থান নিয়েছে কীর্তন গানের আসর এবং এর সাথে ডিজে বাজিয়ে চটুল নাচ-গান। সেখানে সীমান্তের কাছে এই ভাজনঘাট গ্রামের মানুষজন এখনো তারা যে সু-সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে আছেন তার প্রমাণ আমরা পেলাম।
ঘাটে ছিল বিখ্যাত কৃষ্ণ যাত্রাকার বসতবাটি এখানে আছে রাধা বল্লভ জিওর বিগ্রহ এবং বৃন্দাবন চন্দ্রের বিগ্রহ।
যাত্রাপালার কুশিলবেরা সেই অর্থে পেশাদার নন । এরা প্রত্যেকেই দিন-দরিদ্র মজুর কেউ নির্মাণ শ্রমিক কেউ কৃষক পরিবারের সন্তান কেউবা সাধারণ দোকানদার। একমাত্র পেশাদার মহিলা শিল্পী রানাঘাট থেকে এসেছেন বলে জানালেন।
আলোকসজ্জা মোটামুটি মানানসই হলেও মঞ্চের সাউন্ড সিস্টেম সুবিধের ছিল না। তারপরে কেউই পেশাদার নন সেই জন্য একটু অসুবিধা হচ্ছিল তবু অভিনয় একেবারে খারাপ হয়নি।
শ্মশানের ঘুম নেই পালাটি বলা যেতে পারে সার্থকভাবে রূপায়িত হয়েছে।
ক্যামেরায় রমেশনাথের সঙ্গে আমি স্বপন ভৌমিক ।