Рет қаралды 9,324
যুদ্ধ যেখানে ছিলো ক্ষমতা টেকানোর হাতিয়ার! নেতানিয়াহুর সময় কি তবে শেষ? Israel|palestine|gaza|Shahedin
The Netanyahu-Palestine conflict continues to capture global attention with its historical significance and contemporary ramifications. Dive into the intricacies of this longstanding dispute as we explore the key players, historical context, and ongoing developments.
In this video, we dissect the perspectives of both sides, delving into the complexities of their respective narratives and motivations. From Netanyahu's policies to Palestinian resistance, we aim to provide a comprehensive overview of the conflict's evolution.
Join us as we navigate through the layers of geopolitics, human rights concerns, and international diplomacy that define this conflict. Stay informed and engage in the conversation with #Netanyahu #Palestine #Israel #MiddleEast #Conflict #Geopolitics #HumanRights #Diplomacy.
Don't miss out on understanding one of the most significant conflicts of our time. Like, share, and subscribe for more in-depth analyses and discussions on global affairs.
ইজরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধ যখন শুরু হল, মানে গত অক্টোবর মাসে। তখন একটা প্রশ্ন উঠেছিলো যে হামাসের আক্রমণের কথা ইজরায়েলের গোয়েন্দারা কি টের পায় নি? বিভিন্ন মহল থেকে খবর আসলো, টের পেয়েছিলো। কিন্তু আক্রমণ থামানোর জন্য তেমন কিছু করে নি। কারণ কি? কারণ হচ্ছে, নেতানিয়াহু চাচ্ছিলেন, হামাসের এই হামলাকে ইস্যু করে, গাজায় বড় যুদ্ধ শুরু করতে। এবং সেটাই করেছেন। হামাসের আক্রমণের পর থেকে পুরো গাঁজাতে এত বেশি আক্রমণ চালানো হয়েছে যে , এখন গাজা একটা ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে , গাঁজাকে বসবাস উপযোগী করতে ,এই ধ্বংসাবশেষ গুলো পরিষ্কার করতে ১৪ বছর সময় লেগে যাবে। আর গাজার অধিবাসীরা যেসব জায়গায় অবস্থান নিয়েছে, সেখানে শুরু হয়েছে দুর্ভিক্ষ ও রোগ শোকের আক্রমণ।
এখন কথা হচ্ছে , ইজরায়েল নিজেরা আক্রমণের স্বীকার হয়ে এতো বড় যুদ্ধ শুরু করলো কেন? কারণ প্রধান মন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধের সহায়তায় তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চেয়েছেন।
এবারের যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই ইজরায়েলে বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত এক আইনের প্রতিবাদে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ প্রবল থেকে প্রবলতর হতে শুরু করে, এক পর্যায়ে ভাবা হচ্ছিলো যেকোনসময় নেতানিয়াহু সরকারের পতন ঘটে যাবে। আর এমন সময় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নেতানুয়াহু যুদ্ধের আশ্রয় নেন। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে, স্বাভাবিক ভাবেই দেশের চলমান বিক্ষোভ থেমে যায়, এবং যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহু ক্ষমতায় টিকে যান।
এভাবে প্রায় ৬ মাস পার হয়ে গেলো। গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলো। বিশ্ব নেতারাও এই যুদ্ধ থামানোর পক্ষে কথা বলতে শুরু করলেন। গাজার পরিস্থিতিও এমন হয়ে গেলো যে, সেখানে আর যুদ্ধ করা লাগছে না, এমনিতেই নারী শিশু সহ মানুষ মারা পড়তে শুরু করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাশ হলো যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার। একই সময় ইজরায়েলের ভেতরেও যুদ্ধ বন্ধ ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আবার বিক্ষোভ শুরু হতে আরম্ভ করলো।
আর এমন সময় নেতানিয়াহু দেখলেন, যুদ্ধ বাধিয়ে মাত্র ৬ মাসের মতো ক্ষমতায় টিকে ছিলেন, কিন্তু সেখানেও আঘাত আসতেছে। তাহলে আরেকটা যুদ্ধ দরকার অথবা যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশকে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য এপ্রিল মাসের ১ তারিখে আক্রমণ করলেন সিরিয়ার ইরানি দূতাবাসে। ইরান কে টার্গেট করার মূল কারণ হল, ইরান পুরো পশ্চিমা বিশ্বের কাছে শত্রু রাষ্ট্র। তাই ইরানের সাথে ঝামেলা শুরু হলে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে। আর যদি একটা দির্ঘস্থায়ী যুদ্ধ বাধানো যায়, তবে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে।
এক্ষেত্রে ইরানে হামলার পর ইজরায়েলের মানুষদের কে একটা ভয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছিলো যে , যেকোন সময় ইরান থেকে হামলা আসবে, তাই সবাই সতর্ক থাকো। এই সতর্কতার জন্য ইজরায়েলে বিক্ষোভ গুলো বন্ধ হয়ে যেত, নেতানিয়াহু মানুষের মাঝে ভয় সৃষ্টি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতেন।
কিন্তু ইরান এখানে বুদ্ধি মত্তার পরিচয় দিয়েছে। সাথে সাথেই ফিরতি আক্রমণ করে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয় নি। কিছুদিন পর নিয়ন্ত্রিত আক্রমণ করেছে ইজরায়েলে, কিন্তু এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে তার সক্ষমতার জানানটাও দিয়েছে। বৈশ্বিক মহলে আলোচনার মধ্য দিয়ে এখানে বৃহৎ যুদ্ধ সে লাগায় নি।
#israel #israelhamaswar #netaniyahu #palastine #internationalnews #shahedin #politicalnews #আন্তর্জাতিক_খবর #history #bangladesh #ইজরায়েল #ফিলিস্তিন #গাজা