Рет қаралды 9,267
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রাঙ্গদা নাটকের বিষয়বস্তু
৹ চিত্রাঙ্গদা একটি কাব্যনাট্য।
৹ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'চিত্রাঙ্গদা' কাব্যনাট্যটি রচনা করেছেন - ১৮৯২ সালে।
৹ মহাভারতের আদিপর্বে অর্জুনের বনবাস অধ্যায়ে অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদার কাহিনি বর্ণিত আছে। সেই কাহিনি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'চিত্রাঙ্গদা' কাব্যনাট্যটি রচনা করেন।
৹ আবার, রবীন্দ্রনাথের প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৃত্যনাট্য হল - চিত্রাঙ্গদা।
৹ চিত্রাঙ্গদা কাব্যনাট্যে দৃশ্য সংখ্যা - ৬
৹ কাব্যনাট্যটির পটভূমি - মণিপুর।
এবার আসি 'চিত্রাঙ্গদা' নাটিকার বিষয়বস্তুতে -
আগেই জেনেছি, মহাভারতের অর্জুন-চিত্রাঙ্গদার কাহিনির প্রভাব আছে চিত্রাঙ্গদা কাব্যনাট্যে। মহাভারতের কাহিনি অনুযায়ী -
অর্জুনের ১২বছর ব্যাপী বনবাস পর্বে অর্জুন উলুপীর কাছে বিদায় নিয়ে মহেন্দ্র পর্বত দেখে মণিপুরে এলেন। সেখানে রাজা চিত্রবাহনের সুন্দরী কন্যা চিত্রাঙ্গদাকে দেখে অর্জুন তার পাণিপ্রার্থী হয়ে চিত্রবাহনের কাছে গেলেন।
রাজা চিত্রবাহন অর্জুনের পরিচয় পেয়ে সন্তুষ্ট হলেন এবং চিত্রাঙ্গদাকে বিয়ের জন্য শর্ত রাখলেন। চিত্রবাহনের পূর্বজ রাজা প্রভঞ্জন পুত্রের জন্য মহাদেবের কাছে তপস্যা করলে মহাদেব তাকে বর দেন যে বংশের প্রতিটি পুরুষের একটিমাত্র সন্তান হবে। বর অনুযায়ী, পূর্বপুরুষদের একটি মাত্র পুত্র সন্তান হলেও রাজা চিত্রবাহনের কন্যা সন্তান হয়েছে। রাজা সেই চিত্রাঙ্গদাকেই পুত্রসম পালন করেছেন এবং তার গর্ভজাত পুত্রকেই বংশধর হিসাবে গণ্য করবেন। তাই অর্জুন - চিত্রাঙ্গদার পুত্রকে মণিপুরে রেখে যেতে হবে আর সেই হবে পরবর্তী বংশধর। অর্জুন এই শর্তে রাজি হয়ে চিত্রাঙ্গদাকে বিবাহ করে তিন বছর সেখানে বাস করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাভারতের এই কাহিনিকে গ্রহণ করলেন তবে নিজের মতো করে। চিত্রাঙ্গদা নাটকের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ কাহিনির সূত্র ধরিয়ে দিতে জানাচ্ছেন,
"মণিপুররাজের ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে শিব বর দিয়েছিলেন যে, তাঁর বংশে কেবল পুত্রই জন্মাবে। তৎসত্ত্বেও যখন রাজকূলে চিত্রাঙ্গদার জন্ম হল তখন রাজা তাকে পুত্ররূপেই পালন করলেন। রাজকন্যা অভ্যাস করলেন ধনুর্বিদ্যা, শিক্ষা করলেন যুদ্ধবিদ্যা, রাজনীতি। অর্জুন দ্বাদশবর্ষব্যাপী ব্রহ্মচর্য ব্রত গ্রহণ করে ভ্রমণ করতে করতে এসেছেন মণিপুরে। তখন এই নাটকের আখ্যান আরম্ভ।"
#chitrangada
#amarbanglanetset