Рет қаралды 283,677
ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে ভাত খেলে ব্লাড সুগার বাড়বে না ?
ভাত অত্যাধিক ব্লাড সুগার বাড়ানোর কারনে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভাত খুবই বিপজ্জনক একটি খাবার | কিন্তু এমন ১০টি উপায় আছে যেগুলি অবলম্বন করলে ভাত খেলেও আগের মতো আর ব্লাড সুগার বাড়বে না - ভাত খেয়েও সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে |
আসুন জেনে নিন ভাত খাওয়ার ১০টি পদ্ধতি , কমেন্টে অবশ্যই জানান এর মধ্যে কোন পদ্ধতিটি অনুসরণ করে আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ হয়েছে ।
১) ঠান্ডা গরম পদ্ধতি -
কোন খাবারের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স যতো বেশি হয় খাবারটি ততো দ্রুত ব্লাড সুগার বাড়ায় | আর গ্লাইসেমিক লোড যতো বেশি হয় খাবারটি মোটের উপর ততো বেশি ব্লাড সুগার বাড়ায় । ভাতের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো - গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স ও লোড দুটিই ভাতের খুব বেশি | আপনি ঠান্ডা গরম পদ্ধতিতে ভাতের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড দুটিই বেশ কিছুটা কমিয়ে ফেলতে পারেন |
২) আগে শাক-সব্জি-মাছ-মাংস পরে ভাত -
খাওয়ার সময় খাবারের সিকোয়েন্সগুলি একটু বদলাতে পারলেই আগের থেকে আপনার অনেক কন ব্লাড সুগার বাড়বে | থালার শাকসব্জিগুলি প্রথমে খান, তার পর মাছ বা মাংস খান আর একেবারে শেষে মাছ বা মাংসের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে ফেলুন দেখবেন আগের থেকে অনেক কম ব্লাড সুগার বাড়ছে |
৩) চালে জল কম দিন আর চাল কম ফুটান -
ভাতকে Diabetes friendly করে তুলতে চালকে কম জল কম করে ফোটান - দেখবেন ব্লাড সুগার আগের থেকে কম বাড়ছে । ডায়াবেটিস রোগীর বেশি জলে বেশি ফোটানো ভাত একেবারে এড়িয়ে চলাই উচিৎ ।
৪) ভাতের সাথে ডাল রাখুন -
মুগ থেকে শুরু করে মুসুর যেকোন ডালই আপনি ভাতের সাথে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসাবে খেতে পারেন তবে একটু কম জনপ্রিয় ডাল অড়হর ডাল ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসাবে সবচেয়ে ভালো |
৫) ভাতের সাথে তেল
তেলও ভাতের রেজিস্টান্স স্টার্চ বাড়িয়ে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কমাতে পারে । মানে ভাতের সাথে তেলজাতীয় খাবার রাখলে ভাত খেলেও সুগার নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে ।
৬) ভাতের সাথে টক দই -
দইয়ের ফ্যাট ও প্রোটিন ভাতের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কমিয়ে দিতে পারে । ফলে সুগার কমানোর উপায় হিসাবে ভাতের সাথে নিয়মিত টক দই রাখতে পারেন ।
৭) অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার মেশান -
গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে ভাতের সাথে অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার মেশালে ভাতের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স ২০% থেকে ৫০% কমে যেতে পারে | গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কমে গেলে গ্লাইসেমিক লোডও কমে যাবে | মানে ভাতের সাথে অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার খেলে আপনার ব্লাড সুগার আগের থেকে অনেক কম বাড়বে - ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।
৮) ডিম ভাত -
প্রোটিন ও ফ্যাট ভাতের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স অনেকটা কমিয়ে দেয় | ফলে ভাতের সাথে প্রোটিন ও ফ্যটজাতীয় খাবার বেশি করে রাখুন দেখবেন ভাত আর আগের মতো ব্লাড সুগার বাড়াচ্ছে না । ডিম, মাছ, মাংস প্রোটিন ও ফ্যাটের দারুণ উৎস - ফলে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসাবে অবশ্যই ভাতের সাথে এগুলি বেশি বেশি করে রাখুন ।
৯) দারুচিনি ভাত -
দারুচিনি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণর একটি ম্যাজিকাল মশলা | গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে দারুচিনি Fasting Blood sugar , Postprandial blood sugar ও HbA1C level কমাতে পারে | দারুচিনির ভাতের মতো খাবারের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কমানোর বিশেষ ক্ষমতা আছে | ফলে ভাত রান্নার সময় চালের সাথে কয়েক টুকরো দারুচিনি মেশাতে পারলে ভাত আগের মতো ব্লাড সুগার বাড়াতে পারবে না | ভাতের সাথে দারুচিনি না মেশালে তরকারি বা মাছ মাংস রান্নারে দারুচিনি ব্যবহার করলেও সুগার নিয়ন্ত্রণে উপকার পাবেন ।
১০) জিরা ভাত -
জিরা ভাত অনেকের বেশ প্রিয় | জিরাও কিন্তু ভাতের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম করে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে ।
ভাত রান্নার সময় তাতে অল্প করে জিরা ছড়িয়ে দিয়ে খুব সহজেই আপনি জিরা ভাত তৈরি করে ফেলতে পারেন | ভাতেই জিরা মেশাতে হবে এমন নয় , তরকারিতেও জিরা ব্যবহার করতে পারেন ।
১১) সব্জির মধ্যে মুলো ও মুলো শাক রাখুন -
মুলো ও মুলো শাকের আলফা অ্যামাইলেজ ও আলফা গ্লুকোসাইডেজ এনজাইমের কার্যকারিতা রোধ করার ক্ষমতা আছে । ফলে আপনি যদি ভাতের সাথে মুলো বা মুলো শাক খান ভাত সহজে ভাঙবে না , ভাতের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কমে যাবে - ভাত থেকে আর আগের মতো ব্লাড সুগার বাড়বে না । ফলে সবসময় মুলো বা মুলো শাক পাবেন না , কিন্তু যখন পাবেন , ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসাবে ভাতের সাথে মুলো বা মুলো শাক খান |
১২) বাঙালির ভাত ত্যাগ করা মুস্কিল - দরকারও নেই । শুধু ভাতের পরিমান আগের থেকে বেশ কিছুটা কমিয়ে দিন । থালার পাঁচ ভাগের ভাগ ভাত রাখুন - বাকি চারভাগ শাক-সব্জি-ডাল-মাছ-মাংস-ডিম রাখুন, দেখুন ভাত থেকে আর কোন সমস্য হচ্ছে না ।
১৩) সব চালের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স এক রকম নয় । কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সের চাল খাওয়ার চেষ্টা করুন দেখবেন ভাত খাওয়ার পরও সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে । বামদিকের ভিডিওতে ও description এ আপনি কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সের চালগুলি নিয়ে জানতে পারবেন |
তথ্যসূত্র - www.sciencedir....
www.ncbi.nlm.n...
www.sciencedir...
Disclaimer: Contents including advice provides generic information only . All data and statistics are based on publicly available data at the time of publication . The content and the information in this video are for informational and educational purposes only, not as a medical manual . Dr Biswas youtube channel does not provide medical advice, diagnosis or treatment . Always consult a specialist or your own doctor for more information . Dr Biswas youtube channel does not claim responsibility for this information.
Bengali Health Tips
Dr Biswas