Рет қаралды 103
রবীন্দ্রনাথের অরণ্যদেবতার পুজো নদিয়ার গ্রামে। নদিয়া জেলায় গোবিন্দপুর গ্রামে মাথাভাঙা নদীর তীরে বহু বছর আগে গ্রামের ছেলে ভোঁদা একটি চারা গাছ লাগিয়েছিল। সেটি এখন এক বিশাল অশ্বত্থ গাছে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথিতে সেই গাছের নীচে বৃক্ষ দেবতাকে স্মরণ করে সারাদিনব্যাপী পূজা পাঠ ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। বৃক্ষতলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন শিবলিঙ্গ। তৈরি হয়েছে মন্দির। নানান পুজো অনুষ্ঠান ও মেলা এখানেই হয়। কিন্তু স্থানটির নাম হয়েছে “ভোঁদার চারা”। ভোঁদাকে ভোলেনি, আর তার গাছ লাগানোকেও ভোলেনি গ্রামের মানুষ। বৃক্ষদেবতার পদতলে তাই পুজোপাঠের পরম্পরা চালু করেছে গ্রামের মানুষ।
প্রসংগত , বৃক্ষ-প্রকৃতির আজীবন সেবক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীনিকেতনে হলকর্ষণ ও বৃক্ষরোপন উৎসবের কথা মনে পড়ে যায়। এখন থেকে ৮৬ বছর পূর্বে বাংলা ১৩৪৫ সালের কথা । এখন চলছে ১৪৩১। সেই উৎসবে তাঁর লেখা পাঠ করেছিলেন তিনি, নাম দিয়েছিলেন বৃক্ষ দেবতা। বলেছিলেন-“মানুষ অমিতাচারী। যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ততদিন অরণ্যের সাথে পরিপূর্ণ ছিল তার আদান প্রদান। ক্রমে সে যখন নগরবাসী হলো, তখন অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ সে হারালো।…” ইত্যাদি আরো কত দুঃখের কথা।, । বললেন “সেই অরণ্য নষ্ট হওয়ায় এখন বিপদ আসন্ন। সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে আবার আমাদের আহ্বান করতে হবে সেই বরদাত্রী বনলক্ষ্মীকে-আবার তিনি রক্ষা করুন এই ভূমিকে, দিন তাঁর ফল, দিন তাঁর ছায়া”।
গতকাল বুদ্ধ পূর্ণিমার পুণ্যদিনে এই পুজো ও মেলার অনুষ্ঠান হয় গোবিন্দপুরের এই ভোঁদার চারায়। । এই পুণ্য তিথির অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন আমাদের কৃষি সাহিত্য সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিক। তারই একঝলক উপস্থাপন করছি ।