Рет қаралды 2,126
ইসলাম ধর্ম প্রচারক গাজী ও হিন্দু রাজকন্যা চম্পাবতীর প্রেম কাহিনী/গাজী কালু চম্পাবতীর মাজার/গাজী, কালু, চম্পাবতী, সত্যি নাকি গল্প/gazi kalu and chompaboti tomb barobazar jhinaidah
#shahariarsdaysout #shahariars #banglablog
Shahariar's Days Out.
My Facebook Profile: / shahariar.ahmed.18
My Facebook Page: / shahariarsdaysout
ঝিনাইদহ জেলা কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে অবস্থিত এই গাজী কালু এবং চম্পাবতীর মাজার। বিরাট নগরের শাসক শাহ সিকান্দারের পুত্র ছিলেন গাজী, আর কালু ছিল তার পালক পুত্র।
ছাপাইনগরের সামন্ত রাজা মুকুট রায়ের সাতপুত্র ও এক কন্যা ছিলেন। এই কন্যার নাম ছিল চম্পাবতী বা চম্পা। এই সাতভাই চম্পার গল্প এবং গান আপনারা মুখে মুখে শুনেছেন। মুকুট রায়ের কণ্যা চম্পাবতীর সাথে গাজির প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিন্তু তাদের প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থা। গাজির পক্ষ থেকে কালু বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মুকুট রায়ের কাছে গেলে, রাজা মুকুট রায় কালুকে বন্দী করে।
সুন্দরবনে অবস্থানকালে গাজী সুন্দরবনের বাঘদের বশ করে এক বিশাল ব্যাঘ্র বাহিনী তৈরি করেছিল। ভাই কালুর বন্দীর সংবাদ শুনে গাজী তার বিশাল ব্যাঘ্র বাহিনী নিয়ে মুকুট রাজার রাজ্য আক্রমণ করে।
এদিকে রাজা মুকুটরায়ের সেনাপতি দক্ষিনরায়ের ছিল এক বিশার কুমীর বাহিনী। গাজীর বাঘবাহিনীর সাথে দক্ষিন রায়ের কুমির বাহিনীর এক বিশাল যুদ্ধ হয়। কিন্তু ডাঙ্গায় যুদ্ধ হওয়ায় বাঘের বাহিনীর কাছে হেরে যায় কুমির বাহিনী।
যুদ্ধে সেনাপতি দক্ষিণ রায় পরাজিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর স্বয়ং রাজা মুকুট রায় গাজীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এবং গাজীর বিশাল বাঘ বাহিনীর কাছে হেরে যায় মুকুট রায়। উপায়ান্তর না দেখে রাজমহিষী ও অন্যান্য মহিলারা নিরুপায় হয়ে মৃত্যুঞ্জীব কুপে জীবন বিসর্জন দিলেন। রাজধানীর অভ্যন্তরে শীতল মন্দিরে রাজা মুকুটরায় আত্মহত্যা করেন।
গাজী অধিকার করেন রাজপ্রাসাদ। চম্পাবতীও ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে গাজীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। চম্পাবতীকে নিয়ে গাজী ও কালু প্রথমে ঝিনাইদহের বৈরাটনগরে আসেন তারপর তারা সুন্দরবনে চলে যান।
সুন্দরবনে এখনো বাঘের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জেলে, মৌয়াল এবং অন্যান্ন গ্রামবাসী বনবিবির সাথে গাজি এবং দক্ষিনরায়ের পূজা করে। সুন্দরবনের গহীনে এবং আশেপাশে গ্রামগুলোতে আছে বেশ কয়েকটা বনবিবি ও গাজীর মন্দীর।
৩টি মাজারের সামনে দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি বড় বটবৃক্ষ। এখনে হিন্দু মুসলিম ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মানত করে রোগমুক্তির আসায়। বটগাছের লতায় বেধে দেয় পলিথিন। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শেষ বৃহষ্পতিবার বসে মেলা-ওরস। জড়ো হয় দূর-দুরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ।
গাজী কালু ও চম্পাবতী কাব্য দ্বারা পরবর্তীকালের কবিরা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। তাই কিছু পাত্র-পাত্রী, স্থান ও ঘটনার নাম পরিবর্তন করে মূল কাহিনী অবলম্বনে পরবর্তীকালে কাব্য রচনা করেন। যেগুলো এখনও সুন্দরবনের বিভিন্ন গ্রামের অনুষ্ঠানে পালাগানের মাধ্যমে দর্শকদের শোনানো হয়।
বৈরাট নগরের শাহ্ সেকেন্দারের পুত্র এই "গাজী"। মাতার নাম অজুপা সুন্দরী। অজুপা সুন্দরীর এক পালিত পুত্রের নাম "কালু"। গাজী-কালু উভয়েই ছিলেন সিদ্ধপুরুষ। সংসারের মোহ ত্যাগ করে গাজী একদিন ফকিরের বেশে কালুকে সঙ্গে নিয়ে নিরুদ্দেশের পথে বের হন। অনেক পথ-প্রান্তর পাড়ি দিয়ে তাঁরা ভাটি অঞ্চলে সুন্দরবনে (বাদাবনে) এসে উপস্থিত হন।
গাজির অসাধারন আধ্যাত্নিক শক্তির প্রভাবে বনের হিংস্র বাঘ পর্যন্ত তার বশীভূত হয়ে পরে। গাজীর প্রচেষ্টায় ঝিনাইদহের এই বারোবাজার এলাকায় মানে যে এলাকায় এখন গাজীর মাজার আছে সেখানে বহু হিন্দু এবং বৌদ্ধ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। গাজী-কালু দুই ভাই এরপর সোনারপুর ও ব্রাক্ষণনগরে রাজা মুকুট রায়ের দেশে যান এবং সেখানে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
রাজা মুকুট রায়ের সাতপুত্র ও এক কন্যা ছিলেন। এই কন্যার নাম ছিল চম্পাবতী বা চম্পা। এই সাতভাই চম্পার গল্প এবং গান আপনারা মুখে মুখে শুনেছেন। যাদের গল্প এবং গান অনেক বিখ্যাত। ফকীর গাজী চম্পাবতীর রুপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়ে কালুকে রাজা মুকুটরায়ের দরবারে প্রেরণ করেন। গাজীর সাথে চম্পাবতীর বিবাহের প্রস্তাব করায় রাজা মুকুটরায় প্রচন্ড রাগ হয়ে কালুকে বন্দী করেন।
সুন্দরবনে থাকাকালীনই গাজী সুন্দরবনের বাঘদের নিয়ে এক বিশাল সৈন্য বাহিনী গঠন করেছিলেন। ভাই কালুর বন্দীর সংবাদ শুনে গাজী তার ব্যাঘ্র বাহিনী নিয়ে মুকুট রায়ের রাজধানী আক্রমণ করেন। এদিকে রাজা মুকুটরায়ের সেনাপতি দক্ষনরায়ের ছিল এক বিশার কুমীর বাহিনী। গাজীর বাঘবাহিনীর সাথে দক্ষন রায়ের কুমির বাহিনীর এক বিশাল যুদ্ধ হয়। কিন্তু ডাঙ্গায় যুদ্ধ হওয়ায় বাঘের বাহিনীর কাছে হেরে যায় কুমির বাহিনী।
এরপর স্বয়ং রাজা মুকুট রায় গাজীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এবং গাজীর বিশাল বাঘ বাহিনীর কাছে হেরে যায় মুকুট রায়। উপায়ান্তর না দেখে রাজমহিষী ও অন্যান্য মহিলারা নিরুপায় হয়ে মৃত্যুঞ্জীব কুপে জীবন বিসর্জন দিলেন। রাজধানীর অভ্যন্তরে শীতল মন্দিরে রাজা মুকুটরায় আত্মহত্যা করেন। রাজ সভাসদ ও দৈবজ্ঞ্যগণ পৈতা ছিড়ে কালিমা পড়েন এবং ঝুটি কেটে মুসলমান হন।
গাজী অধিকার করেন রাজপ্রাসাদ। চম্পাবতীও ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে গাজীর সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। চম্পাবতীকে নিয়ে গাজী-কালু ব্রাক্ষণনগর ত্যাগ করেন এবং বৈরাটনগরে পৌঁছান। ঝিনাইদহের এই বারোবাজারের নিকটবর্তী বেলাট ছিল তখন বৈরাটনগর।
Music Credits: No Copyright Music from KZbin Library
A Flute's Mourning - Aakash Gandhi