Рет қаралды 69
ফলন্ত গমের জমিতে আগুন প্রকাশ্য দিবালোকে! এ কি কোন দুষ্কৃতির কাজ। অন্যের জমিতে ভাগ চাষ করা ভূমিহীন কৃষকের পরিবার নিয়ে পথে বসার উপক্রম
আর আর কৃষি সাহিত্য সংবাদ নয়, একটি দুঃসংবাদ দিলো আমাদের সাংবাদিক অঞ্জন শুকুল , নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থেকে। পড়ছি আমি মণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
কথায় আছে বোবার শত্রু নেই, কিন্তু এক্ষেত্রে বধির না হলেও সাতে পাঁচে না থাকা, ভূমিহীন এক হতদরিদ্র ভাগচাষীর ফসল ঘরে তোলার আগে ফলন্ত গমে দিনের আলোতেই দুষ্কৃতীরা লাগিয়ে দিলে আগুন। ধার দেনা করে কোন রকমে চাষ করে খাওয়া ওই কৃষক এখন এতটাই শোকার্ত যে তার আর ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় নেই। পথে বসতে হবে পরিবার নিয়ে।
অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং মর্মান্তিক ঘটনাটি নদীয়ার মাজদিয়া কানাইপুরে। ভাগচাষী সুকেশ বিশ্বাস বেশ কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী এলাকার এক কৃষকের টুংরি মৌজার সিংহীর খালের পাশে একটি 25 কাঠা জমিতে চুক্তিভিত্তিক ভাগ চাষ করে থাকেন, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা উপেক্ষা করে সন্তান স্নেহে ফসল উৎপাদন করে থাকেন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। গতকাল বেলা 11 টা নাগাদ শোনেন তার গমের ওই জমিতে আগুন লেগেছে, কিন্তু অনেকটা বাদ দেরিতে শোনা এবং সেখানে পৌঁছানোর আগেই পুরো জমির ফলন গম শেষ হয়ে গেছে পুড়ে। তবে কে বা কি কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারছেন না পার্শ্ববর্তী জমির কৃষকরাও। তবে অত্যন্ত শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও শুধুমাত্র দুটো মেয়ের লেখাপড়া শেখানোর জন্য দিনরাত অন্যের জমিতে পরিশ্রম করে থাকেন সুকেশ ও তার স্ত্রী, এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতার কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সকলেই।
তবে গতকাল রাতে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় বিষয়টি নিয়ে ওই কৃষক লিখিতভাবে জানালেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন শুরু করেনি তদন্ত। তবে আশা করবো সংবেদনশীলতা ও সহমর্মিতার শুভবাসনাণ দুখী পরিবারটি সরকার, প্রশাসন ও সমাজের সহযোগিতা পাবেন ।