Рет қаралды 6,600
হুমায়ুন আহমেদের নুহাশ পল্লী
আসসালামুয়ালাইকুম হাজির হয়ে গেলাম নতুন আরেকটি ভিডিও নিয়ে এই ব্লগ টি মূলত ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের স্মৃতিবিজড়িত স্থান গাজীপুরের নুহাশপল্লীকে কেন্দ্র করে। একোর্ডিং টু গুগল ম্যাপ নরসিংদী থেকে নুহাশ পল্লীর ডিসটেন্স প্রায় 67 কিলোমিটার যেতে সময় লাগবে দুই ঘন্টা 15 মিনিট।গাজীপুর এরিয়াতে ঢুকলে আপনাকে যে জিনিসটা মুগ্ধ করবেই সেটা হলো রাস্তায় চারপাশের সবুজ গাছপালা, গজারি বন, পাখির কিচিরমির আওয়াজ। আমাদের নস্ফওয়ায় পৌঁছাতে দুই ঘন্টার উপরে সময় লেগেছিল। ভেতরে যেয়ে যাতে কোন প্রকার ঝামেলা না হয় আর আমরা জাতে properly spot টাকে ঘুরে দেখতে পারি বা এনজয় করতে পারি সে জন্য এখানেই আমরা আমাদের ব্রাঞ্চ টা সেরে ফেললাম। পার্কিং এরিয়া থেকে মাত্র 2 মিনিট হাঁটলেই 10 পল্লীর প্রবেশদ্বার, যাওয়ার পথে আপনারা দেশি ফল ক্লাস তাদের বানানো বিভিন্ন তৈজসপত্র পেয়ে যাবেন চাইলে কালেক্ট করতে পারেন। নুহাশ পল্লী সারা বছর দর্শনার্থীদের জন্যে খোলা থাকে। কোন সাপ্তাহিক বন্ধ নেই। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বিশেষ অনুরোধে মাগরিবের আজান পর্যন্ত সাধারন দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হয়। নুহাশ পল্লীতে ১২ বছরের উপরে জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ২০০ টাকা ধরা হয়েছে।
তবে বছরের ২ দিন অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর ( হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন) এবং ১৯ জুলাই মৃত্যু দিন নুহাশ পল্লী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এই দুই দিন ঢুকতে কোন টিকেট লাগে না। প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকার পথে যেটা প্রথমেই আপনার নজর কাড়বে সেটা হল সবুজে ঘেরা মাঠ সবুজ সবুজে ঘেরা মাঠ গাছপালা আর হাতের ডানপাশে আছে মা ও শিশুর, ভাস্কর্য দাঁতভাঙ্গা কঙ্কাল, মূলত এই সুইমিংপুল টা কঙ্কালের যে দাঁত ভাঙ্গা সেই দাঁতের আকৃতিতে বানানো হয়েছে, এছাড়াও দেখা মিলবে হুমায়ূন আহমেদের আবক্ষ মূর্তি। নুহাশপল্লী বললে যেটা সবার আগে আমার মাথায় আসে সেটা হলো ট্রি-হাউজ।এখানে ২৫০ প্রজাতির দূর্লভ ঔষধি, মসলা জাতীয়, ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। উদ্যানের পূর্ব দিকে রয়েছে খেজুর বাগান। বাগনের এক পাশে “বৃষ্টি বিলাস” নামে অত্যাধুনিক একটি বাড়ি রয়েছে
এছাড়া এখানে দেখা মিলবে সরোবরের পাথরের মৎসকন্যা, প্রাগৈতিহাসিক প্রানীদের অনুকীর্তি। নুহাশ পল্লীর আরেক আকর্ষণ “লীলাবতী দীঘি”। দীঘির চারপাশ জুড়ে নানা রকমের গাছ। রয়েছে সানকাধানো ঘাট। পুকুরের মাঝখানে একটি দ্বীপ। সেখানে অনেকগুলো নরিকেল গাছ। এখানেই লিচু গাছের নিচে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যার। লেখক এর সমাধি জিয়ারত করার জন্য কোন টিকিট এর প্রয়োজন হয় না। এটা মূল এরিয়ার ভিতরে সাইট থেকেও দেখা যায় যা কিনা কাচের দেয়াল দিয়ে ঘেরা। মাঠের মাঝখানে ট্রি-হাউজ আর একটু পরেই রাখা হয়েছে দাবা খেলার ঘর। তবে এই দাবা বসে বসে খেলার নয় এখানে অবশ্যই দাবার গুটি চলার জন্য আপনাকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ অবরোধ সব মিলিয়ে আমাদের ডেট ওটা খুব ভালোই ছিল। আপনি পুরান ঢাকা থেকে আসতে চাইলে গুলিস্তান থেকে ঢাকা পরিবহনের বাস যেটা কাপাসিয়া যায় এবং প্রভাতী বনশ্রীর বাস যেটা বরমী যায় সেটাতে উঠতে হবে, মহাখালী থেকে আসতে চাইলে সম্রাট লাইন , রাজদূত পরিবহন, ডাউন টাউন, বাসে করে আস্তে হবে। then হোতাপারা নামক স্থানে নেমে সিএনজি বা লেগুনা বা যান্ত্রিক রিক্সায় নুহাস পল্লীতে আস্তে পারেন।
নরসিংদী থেকে আসতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই কাপাসিয়া আসতে হবে দেন সেখান থেকে হোতাপাড়া হয়ে পিরোজপুর গ্রামে। সো আজকের ব্লক এ পর্যন্তই আবার হাজির হয়ে যাব নতুন কোন ব্লগ নেই যদি এই ব্লগটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।