Рет қаралды 2,909
‘জগন্নাথ স্বামী নয়ন পথগামী ভবতু মে’: বক্তা: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
শুরুই করতে হবে এইভাবে, ‘জগন্নাথ স্বামী নয়ন পথগামী ভবতু মে’। কেন? সামনেই তো রয়েছেন! লক্ষ শালগ্রাম মণ্ডিত বিশাল বেদীতে বিপুল দেহভার। ব্যতিক্রমী দুটি বিরাট নয়ন, যা অন্য কোনও দেবতার নেই। স্বামীজি রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘খত্তালের মতো দুটি চোখ’। কি আছে ওই দুটি চোখে! প্রেম, বিস্ময়, ক্রোধ, তিরস্কার, শাসন, ভয়? স্বামীজি ভয়ের কথা বলেছেন। গুরুভ্রাতাকে বলছেন, ‘খত্তালের মতো দুটো চোখ দেখে পুরী থেকে ভয়ে পালিয়ে এলি?’ শঙ্করাচার্য জগন্নাথদেবরে যে স্তোত্রটি রেখে গেছেন তার কোনও তুলনা নেই। যেমন সুললিত, সেইরকম ভাববহ।
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য তাঁর লীলা সমাপ্ত করলেন অথবা প্রসারিত করলেন এই শ্রীক্ষেত্রে। শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের শ্রীচরণে তিনি লীন হয়ে গেলেন। দিনের পর দিন গরুড় স্তম্ভে তাঁর একটি হাত রেখে সমাহিত থাকতেন, আর কেবলই বলতেন, ‘নয়নপথগামী ভবতু মে’।
পুরুীর সমুদ্রতীরে একটি রাজত্ব বিস্তার করে বসে আছেন প্রভু জগন্নাথদেব। তাঁর ও বলভদ্রের মাঝখানে যিনি বসে আছেন তিনি সুভদ্রা। অপূর্ব এক সমন্বয়। সুভদ্রা হলেন মানবী। তিনি গোপীর গোপী, প্রেমের ভাণ্ড। জ্ঞানআর কর্মের সঙ্গে প্রেম মিশিয়ে ভক্তদের বিতরণ করছেন। এমনটি আর কোনও দেব সমন্বয়ে ঘটেনি।
আজ রথযাত্রা। শ্রীক্ষেত্রের তিন দেবতা রথে আরোহন করে যাবেন গুণ্ডিচায় মাসীর বাড়িতে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আপনাদের দর্শন করার জন্য, আপনাদের রথের রশি স্পর্শ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন।
আপনারা সবাই ভালো থাকুন। সমস্বরে একবার বলুন, ‘জগ্গনাথ স্বামী নয়ন পথগামী ভবতু মে।’
Apurba Chatterjee, apuch1964@gmail.com , apurba.chatterjee.313?mibextid=ZbWKwL,@apurba1964।
★Subscribe to us: sanjibani sudha,