জুমু'আর খুতবাহ : দু'আর গুরুত্ব, আদব ও শর্তাবলী ।। Dr. Imam Hossain

  Рет қаралды 7,179

Tafseerul Quran

Tafseerul Quran

Жыл бұрын

ড. মোহাম্মাদ ইমাম হোসাইন (হাফিযাহুল্লাহ্‌)
-(পিএইচডি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া)
-(সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর)
-(খতিব, নদ্দা সরকারবাড়ী মসজিদ ও উত্তরা বায়তুন নূর জামে মসজিদ)
সমস্ত জুমু'আর খুতবাহ, তাফসীর, সীরাহ এবং বিষয় ভিত্তক আলোচনার অডিও লিংক drive.google.com/drive/folder...
আমাদের ওয়েব সাইট এড্রেস tafseerulquran.com
নিয়মিত ভিডিও পেতে ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করে নোটিফিকেশন অন করুনঃ
/ tafseerulqurantablig
অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ / tafseerulqurandotcom
(সম্মানিত দর্শক ইউটিউব নতুন পলিসি অনুযায়ী অ্যাড সেন্স বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞাপন প্রদর্শনী বাধ্যতামূলক করেছে। বরাবরের মতোই ইউটিউব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান।)

Пікірлер: 22
@moriammoriam3939
@moriammoriam3939 Жыл бұрын
জাজাকাল্লাহ খাইরান আল্লাহ শায়েখ কে নেক হায়াত দান করুন।
@salafimanhazmedia
@salafimanhazmedia Жыл бұрын
জাযাকাল্লাহু খাইরান।আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা শায়েখকে নেক হায়াত দান করুন।এবং সকল মুসলিমকে সঠিক ইসলাম জানার ও মানার তৌফিক দান করুন।।।আমিন........
@muhammadghulamrasul7523
@muhammadghulamrasul7523 Жыл бұрын
জাজাকাল্লাহু খায়রান। একজন মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ড. ইমাম হোসেন সাহেব যেভাবে সহজ-সরল ভাষায় এবং বিনয়ী ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে মানুষের সামনে পেশ করেন তা এক কথায় অসাধারণ। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা, মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনার সঠিক পদ্ধতি জানা এবং নিজেদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য এরকম শিক্ষক খুবই প্রয়োজন। মহান আল্লাহ ইসলাম তথা মুসলিম জাতির সেবায় দীর্ঘ দিন নিয়োজিত থাকার জন্য এ শিক্ষককে নেক হায়াত এবং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা দান করুন।
@nurulamin826
@nurulamin826 Жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ, শায়েখের ওয়াজ শুনে মনে অনেক শান্তি পেলাম । দোয়ার বদলে দোয়া, আল্লাহ শায়েখকে দুনিয়া এবং আখিরাতে সম্মানিত করুন।
@tamimhassan1945
@tamimhassan1945 Жыл бұрын
খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। জাযাকাল্লাহ খাইরান 🌹
@mishkatahmadchowdhury1513
@mishkatahmadchowdhury1513 Жыл бұрын
সুব হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবর।
@sanahoque9321
@sanahoque9321 Жыл бұрын
Alhamdulillah Ameen
@rukshanabegum9939
@rukshanabegum9939 Жыл бұрын
Ameen
@abdulmalik2972
@abdulmalik2972 Жыл бұрын
Alhamdulillah
@skahadi6335
@skahadi6335 Жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ যাযাকাললাহ খাইরান খুব সুন্দর
@sajedabegum359
@sajedabegum359 Жыл бұрын
Jazak Allahu khairan
@AnisurRahman-zc9iw
@AnisurRahman-zc9iw Жыл бұрын
মাশাআল্লাহ জাযাকাল্লাহু খাইরান
@AnisurMolla-qr9it
@AnisurMolla-qr9it 3 ай бұрын
Jajakallah kharan
@ShahidulIslam-tb5gg
@ShahidulIslam-tb5gg 2 ай бұрын
আলহামদুলিল্লাহ
@dalimmiddya7183
@dalimmiddya7183 Жыл бұрын
Jajakallah Khairan.💚
@aktarmilon1462
@aktarmilon1462 Жыл бұрын
আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলার শ্রবণশক্তি কেমন সেটা আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলার একটা নামের মধ্যেই নিহিত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার একটা ছামিউন বাসির - আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলা শুনেন!!! আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলার শুনার ক্ষমতা কেমন সেটা বুঝার জন্য একটা উদাহরণ দেই। যেমন আমরা মানুষেরা দুইজন বা তিন চারজন একসাথে কথা বললে সবার কথা অর্থাৎ এই দুই চারজনের কথাই এক সাথে শুনতে পাই না (!) তিনজন একসাথে কথা বলা শুরু করলে আমরা কারও কথাই ঠিক মত বুঝতে না পেরে রেগে গিয়ে বিরক্ত হয়ে বলি আরে ভাই আপনারা একজন করে করে কথা বলেন সবাই এক সাথে কথা বলছেন এতে তো আমি কারও কথাই বুঝতে পারছি না (!) একজন করে করে কথা বললে বুঝতে পারবো (!) আমরা দুই জনের কথাই এক সাথে শুনতে পারিনা (!) আর আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলা হলেন ছামিউন বাসির - আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলা শুনেন!!! আল্লাহু আকবার!!! আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলা তার সকল মাকলুক এর কথা একসাথ শুনতে পারেন!!! অর্থাৎ আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়া তা'আলার সকল সৃষ্টি যেমন সারা পৃথিবীর সকল মানুষ , সকল জ্বীনকুল, স্থলের সকল প্রাণীর বলা কথা না বলা কথা, সাগরের সকল প্রাণীর কথা অন্যান্য গ্রহের সকল প্রাণীর কথা একসাথে শুনতে পারেন!!! সুবহানাহু ওয়া বিহামদিহি!!
@zahurulislam9039
@zahurulislam9039 Жыл бұрын
Zazakallahu Khair Shaikh Market a bhut companyr medicine ase kintu sbai chai valo company r medicine....apner elemer Gyan temon sbar theke Sahi Islam bujar janne
@Mamoon1987
@Mamoon1987 Жыл бұрын
আসসালামু আলাইকুম, *দো‘আর আদব : দো‘আর বেশ কিছু আদব রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে দো‘আ কবুলের আশা করা যায়। নিম্নে দো‘আর কয়েকটি আদব উল্লেখ করা হল : 1. একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা‘আলার কাছে দো‘আ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ ٱدۡعُونِيٓ أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ ﴾ [غافر: ٦٠] ‘তোমরা আমার কাছে দো‘আ কর, আমি তোমাদের দো‘আয় সাড়া দেব। . গাফির : ৬০। 2. উযু অবস্থায় দো‘আ করা। যেহেতু দো‘আ একটি ইবাদত তাই উযু অবস্থায় করাই উত্তম। হাতের তালু চেহারার দিকে ফিরিয়ে দো‘আ করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «إِذَا سَأَلْتُمُ اللهَ فَاسْأَلُوهُ بِبُطُونِ أَكُفِّكُمْ وَلاَ تَسْأَلُوهُ بِظُهُورِهَا». ‘তোমরা যখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে তখন হাতের তালু দিয়ে প্রার্থনা করবে। হাতের পিঠ দিয়ে নয় (আবূ দাউদ : ১৪৮৬)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমল সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, «كَانَ إِذَا دَعا جَعَلَ بَاطنَ كَفِّهِ إِلَى وَجْهِهِ». ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আ করার সময় হাতের তালু তাঁর চেহারার দিকে রাখতেন।(তাবারানী : ১১/১২২-৩৪)’ এটিই প্রয়োজন ও বিনয় প্রকাশের সর্বোত্তম পন্থা, যাতে একজন অভাবী কিছু পাবার আশায় দাতার দিকে বিনয়াবনত হয়ে হাত বাড়িয়ে দেয়। ৩. হাত তোলা। প্রয়োজনে এতটুকু উঁচুতে তোলা যাতে বগলের নিচ দেখা যায়। রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেন, «مَا مِنْ عَبْدٍ يَرْفَعُ يَدَيْهِ يَسْأَلُ اللهَ مَسْأَلَةً إِلاَّ أتَاهَا إِيَّاهُ». ‘যে ব্যক্তি তার উভয় হাত উঠায় এবং আল্লাহর কাছে কোন কিছু চায়, আল্লাহ তাকে তা দিয়েই দেন।’তিরমিযী : ৩৬০৩। 4.আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর ওপর সালাত ও সালাম পাঠ করা। ফুযালা ইবন উবায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের মধ্যে এক ব্যক্তিকে এভাবে দো‘আ করতে শুনলেন যে, সে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করল না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর সালাত ও সালাম পাঠ করল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, ‘এ লোকটি তাড়াহুড়া করল।’ এরপর তিনি বললেন, «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِتَحْمِيدِ رَبِّهِ جَلَّ وَعَزَّ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ ثُمَّ يُصَلِّى عَلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ يَدْعُو بَعْدُ بِمَا شَاءَ» ‘তোমাদের কেউ যখন দো‘আ করবে, তখন সে যেন প্রথমে তার রবের প্রশংসা করে এবং তার স্তুতি জ্ঞাপন করে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর সালাত ও সালাম পাঠ করে। অতঃপর যা ইচ্ছে প্রার্থনা করে।’(আবূ দাউদ : ১৪৮৩) অন্য হাদীসে এসেছে, «كُلُّ دُعاءٍ مَحْجُوبٌ حَتَّى يُصَلَّى عَلَى النَّبِيِّ». ‘প্রত্যেক দো‘আ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সালাত না পড়া পর্যন্ত বাধাপ্রাপ্ত অবস্থায় থাকে।’দায়লামী : ৩/৪৭৯১; সহীহুল জামে’ : ৪৫২৩। নিজের জন্য ও নিজের আপনজনদের জন্য কল্যাণের দো‘আ করা, মন্দ বা অকল্যাণের দো‘আ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «لاَ يَزَالُ يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ». ‘বান্দার দো‘আ কবুল হয়, যতক্ষণ না সে কোনো পাপ কাজের বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার দো‘আ করে।’(মুসলিম : ৭১১২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, «لاَ تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَوْلاَدِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَمْوَالِكُمْ». ‘তোমরা তোমাদের নিজদের, তোমাদের সন্তান-সন্তুতির এবং তোমাদের সম্পদের ব্যাপারে বদদো‘আ করো না।’ মুসলিম : ৩০০৯।
@Mamoon1987
@Mamoon1987 Жыл бұрын
5.দো‘আ কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দো‘আ করা। «اُدْعُوا اللهَ وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالإِجَابَةِ، وَاعْلَمُوا أَنَّ اللهَ لا يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لاهٍ». ‘কবুল হবার দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে তোমরা আল্লাহর কাছে দো‘আ কর। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ গাফেল ও উদাসীন হৃদয় থেকে বের হওয়া দো‘আ কবুল করেন না।’ তিরমিযী : ৩৪৭৯। দো‘আর সময় সীমা লঙ্ঘন না করা। সা‘দ রা. বলেন, হে বৎস! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : «سَيَكُونُ قَوْمٌ يَعْتَدُونَ فِى الدُّعَاءِ». ‘অচিরেই এমন এক সম্প্রদায় আসবে যারা দো‘আয় সীমা-লঙ্ঘন করবে।’ আহমদ : ১/১৭২। আর সে সীমালঙ্ঘন হচ্ছে, এমন কিছু চাওয়া যা হওয়া অসম্ভব। যেমন, নবী বা ফেরেশতা হবার দো‘আ করা। অথবা জান্নাতের কোন সুনির্দিষ্ট অংশ লাভের জন্য দো‘আ করা। 6.বিনয় প্রকাশ ও কাকুতি-মিনতি করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ وَٱذۡكُر رَّبَّكَ فِي نَفۡسِكَ تَضَرُّعٗا وَخِيفَةٗ وَدُونَ ٱلۡجَهۡرِ مِنَ ٱلۡقَوۡلِ بِٱلۡغُدُوِّ وَٱلۡأٓصَالِ ﴾ [الاعراف: ٢٠٥] ‘আর তুমি নিজ মনে আপন রবকে স্মরণ কর সকাল-সন্ধ্যায় অনুনয়-বিনয় ও ভীতি সহকারে এবং অনুচ্চ স্বরে।’আ‘রাফ : ২০৫। 7.ব্যাপক অর্থবোধক ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করেছেন তা জামে‘ তথা পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপক। এক বর্ণনায় এসেছে, كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَحِبُّ الْجَوَامِعَ مِنَ الدُّعَاءِ وَيَدَعُ مَا سِوَى ذَلِكَ. ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাপক অর্থবোধক দো‘আ পছন্দ করতেন এবং অন্যগুলো ত্যাগ করতেন।’ আবূ দাউদ : ১৪৮২। 8.আল্লাহ তা‘আলার সুন্দর নামসমূহ ও তাঁর সুমহান গুণাবলির উসীলা দিয়ে দো‘আ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ ﴾ [الاعراف: ١٨٠] ‘আল্লাহর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ, সেগুলোর মাধ্যমে তোমরা তাঁর নিকট দো‘আ কর।’ আ‘রাফ : ১৮০। 9. ঈমান ও আমলে সালেহ তথা নেক কাজের উসীলা দিয়ে দো‘আ করা। ক. ঈমানের উসীলা দিয়ে দো‘আ করার উদাহরণ কুরআনুল কারীমে উল্লিখিত হয়েছে, ﴿ رَّبَّنَآ إِنَّنَا سَمِعۡنَا مُنَادِيٗا يُنَادِي لِلۡإِيمَٰنِ أَنۡ ءَامِنُواْ بِرَبِّكُمۡ فَ‍َٔامَنَّاۚ رَبَّنَا فَٱغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرۡ عَنَّا سَيِّ‍َٔاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ ٱلۡأَبۡرَارِ ١٩٣ ﴾ [ال عمران: ١٩٣] ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা শুনেছিলাম একজন আহবানকারীকে, যে ঈমানের দিকে আহবান করে যে, ‘তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন’। তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং বিদূরিত করুন আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি, আর আমাদেরকে মৃত্যু দিন নেককারদের সাথে।’ আলে-ইমরান : ১৯৩। খ. আমলে সালেহ তথা নেক কাজের উসীলা দিয়ে দো‘আ করার উদাহরণ হাদীসে উল্লিখিত হয়েছে, ‘তিন ব্যক্তি যাত্রাপথে রাত যাপনের জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয়। হঠাৎ পাহাড় থেকে একটি পাথর খসে পড়ে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এমন অসহায় অবস্থায় তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ নেক আমলের উসীলা দিয়ে দো‘আ করে। একজন বৃদ্ধ পিতা-মাতার খেদমত, অপরজন অবৈধ যৌনাচার থেকে নিজকে রক্ষা এবং তৃতীয়জন আমানতের যথাযথ হেফাযতের উসীলা দিয়ে পাথরের এই মহা বিপদ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করলেন। তাদের দো‘আর ফলে পাথর সরে গেল। তারা সকলেই নিরাপদে গুহা থেকে বের হয়ে এলেন।’ বুখারী : ২১১১।
@Mamoon1987
@Mamoon1987 Жыл бұрын
10.নিজের গুনাহের কথা স্বীকার করে দো‘আ করা। উদাহরণস্বরূপ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মাছের পেটে থাকাবস্থায় ইউনুস আলাইহিস সালাম যে দো‘আর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলাকে ডেকেছিলেন (অর্থাৎ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِين লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায যালিমীন। ‘আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম।’) যেকোনো মুসলমান ব্যক্তি তা দিয়ে দো‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার দো‘আ কবুল করে নেবেন।’তিরমিযী : ৫০৫৩; মুস্তাদরাক হাকেম : ৪৪৪৩। 11.উচ্চ স্বরে দো‘আ না করা; অনুচ্চ স্বরে দো‘আ করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ ٱدۡعُواْ رَبَّكُمۡ تَضَرُّعٗا وَخُفۡيَةًۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ ٥٥ ﴾ [الاعراف: ٥٥] ‘তোমরা তোমাদের রবকে ডাক অনুনয় বিনয় করে ও চুপিসারে। নিশ্চয় তিনি পছন্দ করেন না সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে।’( আ‘রাফ : ৫৫ ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «يَا أَيُّهَا النَّاسُ ، ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ ، فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا ، إِنَّهُ مَعَكُمْ ، إِنَّهُ سَمِيعٌ قَرِيبٌ». ‘হে লোক সকল, তোমরা নিজদের প্রতি সদয় হও এবং নিচু স্বরে দো‘আ করো। কারণ তোমরা বধির বা অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। নিশ্চয় তিনি (তাঁর জ্ঞান) তোমাদের সাথেই আছেন। তিনি অতিশয় শ্রবণকারী, নিকটবর্তী।’ বুখারী : ৯২২৯; মুসলিম : ২৭০৪। 12.আল্লাহর কাছে বারবার চাওয়া। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাই করতেন। ইবন মাসঊদ রা. বলেন, كَانَ رسول الله صلى الله عليه وسلم يُعْجِبُهُ أَنْ يَدْعُوَ ثَلَاثًا، وَيَسْتَغْفِرَ ثَلَاثًا. ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আর বাক্যগুলো তিনবার করে বলতে এবং তিনি তিনবার করে ইস্তেগফার করতে পছন্দ করতেন।’ মুসনাদ আহমদ : ১/৩৯৪। 13.কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করা। আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, اسْتَقْبَلَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم الْكَعْبَةَ فَدَعَا عَلَى نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ ، عَلَى شَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ ، وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ ، وَأَبِى جَهْلِ بْنِ هِشَامٍ . فَأَشْهَدُ بِاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُهُمْ صَرْعَى ، قَدْ غَيَّرَتْهُمُ الشَّمْسُ ، وَكَانَ يَوْمًا حَارًّا . ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা‘বামুখী হলেন। অতপর কুরাইশদের কয়েকজনের জন্য বদ-দো‘আ করলেন, তারা হল, শাইবা ইবন রবী‘আ, উতবা ইবন রবী‘আ, ওয়ালীদ ইবন উতবা এবং আবূ জাহল ইবন হিশাম। আল্লাহর কসম, আমি তাদেরকে মৃত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখলাম। রোদ তাদেরকে বদলে দিয়েছিল। তখন ছিল গরমের দিন।’ বুখারী : ৩৯৬০; মুসলিম : ১৭৯৪।
@Mamoon1987
@Mamoon1987 Жыл бұрын
*যেসব কারণে দো‘আ কবুল হয় না : আল্লাহর কাছে প্রার্থনাকারীর কিছু কিছু অন্যায় ও ত্রুটি এমন রয়েছে, যার ফলে তার দো‘আ কবুল করা হয় না। যেমন, ১. পানীয় হারাম, খাদ্যবস্তু হারাম অথবা পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম হলে। অর্থাৎ প্রার্থনাকারী যদি তার খাদ্য ও পান সামগ্রী এবং পোশাক-আশাক হারাম উপার্জন দিয়ে ক্রয় করে থাকে, তাহলে তার দো‘আ কবুল হবে না। আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোক সকল, নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র বিষয়ই গ্রহণ করেন। আল্লাহ তা‘আলা রাসূলগণকে যে নির্দেশ প্রদান করেছেন, মুমিনদেরকেও সে নির্দেশই প্রদান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلرُّسُلُ كُلُواْ مِنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَٱعۡمَلُواْ صَٰلِحًاۖ إِنِّي بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٞ ٥١ ﴾ [المؤمنون: ٥١] ‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল বস্তু থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সর্ম্পকে আমি সম্যক জ্ঞাত।’ আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُلُواْ مِن طَيِّبَٰتِ مَا رَزَقۡنَٰكُمۡ وَٱشۡكُرُواْ لِلَّهِ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ ١٧٢ ﴾ [البقرة: ١٧٢] ‘হে মুমিনগণ, আহার কর আমি তোমাদেরকে যে হালাল রিযক দিয়েছি তা থেকে।’ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে উস্কোখুস্কো ও ধূলিমলিন অবস্থায় আকাশের দিকে দু’হাত প্রসারিত করে দো‘আ করে : হে আমার রব! হে আমার রব! অথচ তার পানাহার হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং হারাম মাল দিয়েই সে খাবার গ্রহণ করেছে, কীভাবে তার দো‘আ কবুল করা হবে!’ মুসলিম : ১৫১০। ২. দো‘আ কবুল হওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করা। ৩. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য দো‘আ করা। আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «لَا يَزَالُ يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الِاسْتِعْجَالُ قَالَ يَقُولُ قَدْ دَعَوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أَرَ يَسْتَجِيبُ لِي فَيَسْتَحْسِرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَيَدَعُ الدُّعَاءَ». ‘বান্দার দো‘আ ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হতে থাকে, যতক্ষণ না সে কোনো গুনাহ বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার দো‘আ করে অথবা যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়া করে। বলা হলো, তাড়াহুড়া কী ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একথা বলা যে, আমি দো‘আ করেছি, কিন্তু কবুল হতে দেখছি না। অতপর আক্ষেপ করতে থাকে এবং দো‘আ করা ছেড়ে দেয়।’ বুখারী : ৪০৬৩; মুসলিম : ৩৫২৭।
@Mamoon1987
@Mamoon1987 Жыл бұрын
*যেসব সময় ও অবস্থায় দো‘আ কবুল হয় : ১. আযানের সময় এবং আল্লাহর পথে যুদ্ধে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «ثِنْتَانِ لاَتُرَدَّانِ أَوْ قَلَّمَا تُرَدَّانِ الدُّعَاءُ عِنْدَ النِّدَاءِ وَعِنْدَ الْبَأسِ حِيْنَ يُلْحِمُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا». ‘দু’টি সময়ের দো‘আ প্রত্যাখ্যাত হয় না বা খুব কমই প্রত্যাখ্যাত হয় : আযানের সময়ের দো‘আ এবং যুদ্ধের সময় যখন একে অপরকে আঘাত করতে থাকে।’ আবূ দাউদ : ৪০২৫; মুস্তাদরাক হাকেম : ২৬১২। ২. আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «أَلاَ إِنَّ الدُّعَاءَ لاَ يُرَدُّ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ فَادْعُوا». ‘জেনে রাখো, আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দো‘আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। অতএব তোমরা দো‘আ কর।’ আহমদ : ২১২২১; তিরমিযী : ২১২। ৩. সিজদারত অবস্থায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ». ‘বান্দা তার প্রতিপালকের সবচে’ বেশি নিকটবর্তী হয় সিজদারত অবস্থায়। সুতরাং তোমরা অধিক পরিমাণে দো‘আ কর।’ মুসলিম : ২৮৪। ৪. জুমার দিনের শেষ সময়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «يَوْمُ الْجُمُعَةِ ثِنْتَا عَشْرَةَ يُرِيدُ سَاعَةً لاَ يُوجَدُ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَالْتَمِسُوهَا آخِرَ سَاعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ». ‘জুমআর দিনের সময়গুলো বারটি ভাগে বিভক্ত। তন্মধ্যে একটি সময় এমন যে, ঐ সময়ে কোন মুসলিম আল্লাহ তা‘আলার কাছে যা চায়, আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা দিয়েই দেন। অতএব তোমরা আসরের পরের শেষ সময়ে তা তালাশ কর।’ আবূ দাউদ : ৪৮১০; নাসাঈ : ৯০১৩। ৫. রাতের শেষভাগে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «يَنْزِلُ رَبُّنَا كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرِ فَيَقُولُ مَنْ يَدْعُونِى فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِى فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِى فَأَغْفِرَ لَهُ». ‘আমাদের রব প্রতি রাতে যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তখন দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। এরপর বলতে থাকেন, কেউ কি আমার নিকট দো‘আ করবে, আমি তার দো‘আ কবুল করব? কেউ কি আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে তা দান করবো? কেউ কি আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো?’মুসলিম : ৭৫৭। ৬. সিয়াম পালনকারী, মুসাফির, মাযলুম, সন্তানের জন্য পিতার দো‘আ এবং সন্তানের জন্য পিতার বদদো‘আ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٌ لاَ شَكَّ فِيهِنَّ دَعْوَةُ الْوَالِدِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ». ‘তিনটি দো‘আ এমন যে, তা কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই : সন্তানের জন্য পিতার দো‘আ; মুসাফির ব্যক্তির দো‘আ এবং মাযলুমের দো‘আ। অন্য বর্ণনায় রয়েছে,ِ ‘সিয়াম পালনকারীর দো‘আ।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয রা. কে ইয়ামানের উদ্দেশ্যে প্রেরণের সময় বলেছিলেন, «اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ». ‘মাযলুমের (বদ) দো‘আ থেকে বেঁচে থাক। কারণ মাযলুমের দো‘আ এবং আললাহর মাঝে কোনো অন্তরায় নেই।’ বুখারী : ৪৮২৪। ৭. অসহায় ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দো‘আ। আল্লাহ তা‘আলা অসহায় ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দো‘আ কবুল করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ أَمَّن يُجِيبُ ٱلۡمُضۡطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكۡشِفُ ٱلسُّوٓءَ ﴾ [النمل: ٦٢] ‘বরং তিনি, যিনি নিরুপায়ের আহবানে সাড়া দেন এবং বিপদ দূরীভূত করেন।’নামল : ২৬। ৮. আরাফার দিবসের দো‘আ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ وَخَيْرُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِى. لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِير» ‘উত্তম দো‘আ হচ্ছে আরাফার দিনের দো‘আ, আর সেই বাক্য যা আমি ও আমার পূর্ববতী নবীগণ বলেছি, (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।) ‘আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব ও সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ তিরমিযী : ৩৫৭৫। ৯. হজ ও উমরাকারী এবং আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদকারির দো‘আ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللهِ ، وَالْحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ ، وَفْدُ اللهِ ، دَعَاهُمْ ، فَأَجَابُوهُ ، وَسَأَلُوهُ ، فَأَعْطَاهُمْ». ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী, হজ ও উমরাকারী আল্লাহর দূত। তিনি তাদেরকে ডেকেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছে। তারা তাঁর কাছে প্রার্থনা করেছে, তাই তিনি তাদেরকে তা দান করেছেন।’তিরমিযী :৩৫৮৫।
Red❤️+Green💚=
00:38
ISSEI / いっせい
Рет қаралды 77 МЛН
تجربة أغرب توصيلة شحن ضد القطع تماما
00:56
صدام العزي
Рет қаралды 58 МЛН
아이스크림으로 체감되는 요즘 물가
00:16
진영민yeongmin
Рет қаралды 60 МЛН