Рет қаралды 1,448
‘কীটনাশকের কীর্তি’ গল্পটি গ্রাম্য বালিকা অহিমুন্নেসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। তার মর্মান্তিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গল্পকার শোষক শ্রেণির শোষণের চিত্রকে গল্পে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অহিমুন্নেসা কীটনাশক বিষ পান করে আত্মহনন করলে ছোট ভাই রমিজালীর মনে ভীষণভাবে দাগ কাটে। রমিজালী ঢাকার এক বিত্তবান ব্যক্তির বাসায় কাজ করে। রমিজালী বোনের আত্মহত্যার খবর পেয়ে নিজের বাড়িতে যাবে এ সিদ্ধান্ত নেবার পরও রমিজ তার সাহেবের কাছে তার আর্জি পেশ করতে পারে নি। মূলত নিম্নবর্গের ভাষা অভিজাতের সামনে অনুচ্চারিতই থেকে যেতে চায়-একারণেই সে নিম্নবর্গ। রমিজের মনের সকল কথা কোথায় যেন এসে থেমে যাচ্ছিল।
ছুটি চাইতে না পারায় রমিজ রেগে যায় বোনের প্রতি। তার বোনের সর্বনাশ করেছে মিরধা বাড়ির ম্যাট্রিক পাস, সে কারণে হাফিজুদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও ম্যাট্রিক পাস তার বোনের সংসার টিকতে দেয় নি। অহিমুন্নেসা তখন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলে একটা বিজাতীয় আক্রোশে রমিজ তার সাহেবের মেয়ের মুখে রাউমের গুঁড়ো দিতে চায়। সে সফল হয় না, বরং বেদম মার খায়। এ গল্পে রমিজ, মতিন ড্রাইভার, সোনামিয়া ড্রাইভার এরা সবাই নিম্নবর্গ।
লেখক পরিচিতি: আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম মঞ্জু। তার পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়। তার বাবা বদিউজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (১৯৪৭-১৯৫৩) এবং মুসলিম লীগে পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন। তার মায়ের নাম বেগম মরিয়ম ইলিয়াস। আখতারুজ্জামান বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন (১৯৬৪)। ১৯৭৩ সালে তিনি বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম সুরাইয়া তুতুল।
আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াসের কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর তিনি মিউজিক কলেজের উপাধ্যক্ষ, প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক, ঢাকা কলেজের বাংলার প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মফিজউদ্দিন শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেন, গোপনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তার লেখা প্রতিশোধ, অন্য ঘরে অন্য স্বর, খোঁয়ারি, মিলির হাতে স্টেনগান, অপঘাত, জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল, রেইনকোট প্রভৃতি গল্পে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী রাজনৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতা। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠিত হলেও সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে বাকশালে যোগ দেওয়ার চাপ থাকলেও যোগ দেন নি।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন, "কী পশ্চিম বাংলা কী বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক।" লিখেছেন, "ইলিয়াস-এর পায়ের নখের তুল্য কিছু লিখতে পারলে আমি ধন্য হতাম।" ইমদাদুল হক মিলন বলেন: "গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে তাঁর এ দু'টি উপন্যাস বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।" ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালে আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হন।
ইলিয়াস বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন বাঙলাদেশ লেখক শিবির এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭ সালে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ঢাকার আজিমপুরে মৃত্যুবরণ করেন।
#Bangla_Literature
#Bangla_Short_Stories
#Bangla_Audio_Book
★★★★★★★★★★★
এরকম আরও সুন্দর সুন্দর গল্পপাঠ, কবিতা আবৃত্তি, বুক রিভিও, উপন্যাস আলোচনা, প্রবন্ধ পাঠ, গীতিকাব্য পাঠ সহ বাংলা সাহিত্য এবং ব্যাকরণের বিভিন্ন বিষয় সহজবোধ্য ভাবে সবার আগে পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনটি অন করে আমাদের পাশে থাকুন।
★★★★★★★★★★★
☑ রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছের জনপ্রিয় সব গল্প শুনুন-
• গল্পগুচ্ছ।। রবীন্দ্রনা...
☑ বাংলা সাহিত্যের সুন্দর সুন্দর সব ছোটগল্প এখানে-
• বাংলা ছোটগল্প
☑ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছোটগল্পসমূহ-
• ছোটগল্প।। স্নাতক চতুর্...
☑ স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছোটগল্পসমূহ-
• ছোটগল্প।। স্নাতক তৃতীয়...