Рет қаралды 29,199
উত্তর প্রদেশের সম্ভলে কোট গার্ভি এলাকাতে ২৩ বছর বয়সের এক ইমাম তাঁর মসজিদে আজান দিচ্ছিলেন, তাঁর আজান নাকি উচ্চগ্রামে ছিল, তাই তাঁকে ২ লক্ষ টাকা ফাইন করা হয়েছে, এই জরিমানা করেছেন এলাকার সাব ডিভিজনাল ম্যাজিস্ট্রেট। এখন এসব তো গোপনে করা হয়নি, প্রকাশ্যেই কেবল জরিমানাই করা হয়েছে এমনও নয়, ঐ ইমামকে বলা হয়েছে তিনি আগামী ৬ মাস আজান দিতে পারবেন না। এতা ভারতবর্ষের কোন আইন অনুযায়ী করা যায় আমার জানা নেই, উচ্চগ্রামের শব্দ আমরা দীপাবলীর সময়েও শুনি, সব শহরেই শুনি, আজ অবদি ২০০০ টাকার জরিমানাও কারোর ওপরে হয়েছে বলেও আমার জানা নেই, আর আগামী ৬ মাসের জন্য সেই তহজিব আজানই দিতে পারবেন না এমন আইনই বা দেশে আছে বলেও আমার জানা নেই। কিন্তু মহন্ত আদিত্যনাথ যোগীর আমলে এরকম তো কতই হয়, হয়েছে। এবারে এই খবর দেখার পরে যখন সন্ধ্যেয় ঘন্টা বাজিয়ে মন্দিরে সন্ধ্যা আরতি হবে তখন যদি কোনও বাংলাদেশের পুলিশ গিয়ে সেই পুজারিকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তখন কী হবে? যদি তাঁকে বলেন যে আপনাকে ৬ মাস পুজো করতে দেওয়া হবে না তাহলে কী হবে? আসলে এইভাবেই তো অসহিষ্ণুতা গড়ে ওঠে, দুধারের সংখ্যালঘুরা তার বলি হয়, তাদের ওপরেই কোপটা এসে পড়ে। কিন্তু আজ কেবল এই ইমামের ঘটনাই আমার আলোচনার বিষয় নয়, তিনি যা জানা গেছে ২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন, জানা গেছে তিনি আর আজানে বসছেন না, মাইক খুলে নেওয়া হয়েছে।