Рет қаралды 19,804
কৃপা কল্পতরু: ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেব: বক্তা -সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
একটি স্তব: রামকৃষ্ণ শরণং/ বামকৃষ্ণ শরণং
কৃপাহি কেবলং/কৃপাহি কেবলং
ভগবান এলেন মানুষের রূপ ধারণ করে। ছদ্মবেশী ঈশ্বর। তিনি বলতেন ঈশ্বরের দিকে এক পা বাড়ালে ঈশ্বর তোমার দিকে একশো পা এগিয়ে আসবেন। বিদ্যুতবাহী তার- জেনে অথবা না জেনে হাত ঠেকালেই হল- দেহ ঝনঝন করে উঠবে। তিনি একটি অসাধারণ কথা বলতেন- আমি ঢোঁড়া নই জাত সাপ। ধরলে আর রক্ষা নেই। কী লীলাটাই করে গেলেন দক্ষিণেশ্বরে; যেন এক সাধারণ মানুষ; কিন্তু গুপ্ত ভগবান। সকলেই ভগবান। কেউ নিদ্রিত, কেউ জাগ্রত। ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন, যাবার সময় হাঁটে হাঁড়ি ভাঙবো। শেষ লীলার স্থান কাশীপুর উদ্যান বাটী। আজ যা মহাতীর্থ। ১ জানুয়ারি ১৮৮৬। বলেছিলেন যাবার আগে হাঁটে হাঁড়ি ভাঙবো। নিজের স্বরূপ প্রকাশ করব। তাই করলেন, করলেন অকাতরে কৃপা বর্ষণ, তোমাদের চৈতন্য হোক। জান, জান নিজেকে সম্যক জান। তুমি যে অমৃতের পুত্র।
* আজ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩। আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই ২০২৩ চিরতরে অতীত হবে। নতুন বছর ২০২৪ সালের পদধ্বনি ইতিমধ্যেই কানে ভেসে আসছে, আর সেই নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে আমরা ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ভজনায় মেতে উঠব। কারণ কাল যে ঠাকুর স্বয়ং ‘নিজেকে প্রকাশ করেছিলেন’, হয়েছিলেন কল্পতরু। জনে জনে বিতরণ করেছিলেন অকাতরে কৃপা।
* কীভাবে কাশীপুর উদ্যান বাটী যাবেন: শ্যামবাজার থেকে চিৎপুর গামী বাসে এসে উদ্যান বাটীর সামনে নামতে পারেন, অথবা শ্যামবাজার থেকে বিটিরোড ধরে বহু বাস আসছে সিঁথি মোড়ে। সেই বাসে চেপে সাউথ সিঁথি স্টপেজে নেমে পায়ে হেঁটে বা রিক্সায় চেপে চলে আসুন মঠে।
* কাশীপুর উদ্যান বাটী ছাডা: কাশীপুর উদ্যান বাটীতেও তিনদিন ধরে চলে অনুষ্ঠান। মঠে ঠাকুরকে দর্শন করে যেতে পারেন কাশীপুর মহাশ্মশানে। এখানেই ঠাকুরের অন্তিম কার্য সম্পন্ন হয়েছিল। এখানেও তিন দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান হয়। এরপর যেতে পারেন ঐতিহাসিক বরাহনগর মঠে।
*সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ঠাকুর-প্রসঙ্গের পর রয়েছে পুণ্যতীর্থ উদ্যানবাটীর ভিডিও চিত্র। উদ্যানবাটীর ছবি ও ভিডিও: পার্থ রায়
Apurba Chatterjee, apuch1964@gmail.com , apurba.chatterjee.313?mibextid=ZbWKwL,@apurba1964।
★Subscribe to us: sanjibani sudha,