Рет қаралды 81,597
হ্যালো মাছ চাষি বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন৷ তো আজকে আপনাদের সামনে মাছের ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে চুন পটাশ লবণ এর উপকারিতা প্রয়োগের নিয়ম নিয়ে কিছু বিষয় আলোচনা করবো৷
( Uses and Benefits of Salt in Fish Pond )
চুন পটাশ লবণ এই তিনটি জিনিস আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম এবং এগুলোকে আমরা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে চিনি যারা পুরান চাষী অনেকেই যারা মাছ চাষে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন তারা
হয়তোবা এই বিষয়টি জানেনা৷ এগুলো প্রয়োগের নিয়ম গুলো হলো
প্রথমে আসি চুন, চুনকে প্রথমত 10 থেকে 12 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে একটি পাত্রের মাধ্যমে তবে আপনাকে চুন ভিজানোর সময় কয়েকটি বিষয় মনে রাখতে হবে আপনার পুকুরের আয়তন গভীরতা এবং পুকুরের পানির অবস্থার দিক বিবেচনা করে চুনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে যেমন প্রতি শতাংশে 200 গ্রাম চুন পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানির জন্য। তারপর আসি লবণ, মূলত আয়োডিন বিহীন লবন হতে হবে চুনের পাত্রের মাধ্যমে লবণটি একসাথে অ্যাডজাস্ট করে নিন তবে অবশ্যই এটাও পরিমাণ মতো, প্রতি শতাংশে 5 থেকে 6 ফুট পানির জন্য 200 গ্রাম লবণ, তারপর আসি পটাশ লবণ এবং চুন যে পাত্রে বিজি আছেন সেই পাত্রের মাধ্যমে পটাশ একসাথে অ্যাডজাস্ট করে নিন পটাশের পরিমান প্রতি শতাংশে 5 গ্রাম করে খুব ভালোভাবে যেভাবে আমরা ভিডিওতে দেখয়েছি৷ 10 থেকে 15 লিটার পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে একজাস্ট করুন৷ তারপরে এটি পুকুরে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত৷ হয়তো বা যারা নতুন তারা অনেকেই ভাবতে পারেন যে আমার পুকুরে তো কোন ধরনের প্রবলেম নেই তাহলে আমি কেন এটা প্রয়োগ করব তাদেরকে আমি বলব যে এটি যদি আপনার পুকুরে ভাইরাস নাও থাকে তাহলে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন পুকুরের ভাইরাস প্রতিষেধক হিসেবে৷ মাছ চাষ করার সময় একটি বিষয় মনে রাখবেন আপনাকে যেকোন সময় ভাইরাসের সম্মুখীন হতে হবে কাজেই ভাইরাস প্রতিরোধ করা উত্তম৷
যাদের পুকুরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া মাছে ভাইরাস যেমন লেজ পচা পাখনা পচা পেট ফুলে মারা যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যখন দেখা দেয় তা হলেও আপনি এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে ভাইরাছ যুক্ত পুকুর এবং ভাইরাস মুক্ত পুকুর এর মধ্যে পরিমানের পার্থক্য হতে পারে৷
এগুলো প্রয়োগ করার পর আপনি দেখবেন আপনার পুকুরে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে যেমন মাছ মারা যাওয়ার প্রবণতা কমে গেছে, পানিতে অক্সিজেন সংকট হলে তা নিরসন হয়েছে, মাছের শরীরে বিভিন্ন ক্ষত হলে তা নিরাময় , মাছের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে যার কারণে মাছের গ্রোথ পূর্বের চাইতে বেড়ে যাবে৷
তো ভিউয়ার্স আশাকরি আপনাদের কাছে আমার এই ভিডিওটি অনেক ভালো লেগেছে তো এইভাবে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করে আপনি আপনার মাছের বিভিন্ন সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারেন৷
এই রকম নতুন নতুন আপডেট ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেলটিকে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে রাখুন৷
তো ভিউয়ার্স আমরা দেশি শিং, দেশি মাগুর, ভিয়েতনামের কই, মনোসেক্স তেলাপিয়া, গুলশা মাছের পোনা, ইত্যাদি সকল প্রকার মাছের পোনা বিক্রয় করে থাকি। আপনারা যারা এই সমস্ত মাছের পোনা ক্রয় করতে চান এবং মাছ-চাষ-পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন,