Рет қаралды 4,380
মাজারে যাওয়া কি ইসলামে বেইমানি? নবীর (সাঃ) কবরে চাদর নেই কেন?
ইসলামে মাজারে যাওয়া, অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির কবর পরিদর্শন করা একটি সাধারণ বিষয়, যা নবী (সাঃ) নিজেও উৎসাহিত করেছেন। তবে মাজার কেন্দ্রিক কোনো শিরক বা বিদআত (যেমন প্রার্থনা করা, ধূপ জ্বালানো, চাদর দেওয়া ইত্যাদি) ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। এটি ঈমানের পরিপন্থী এবং এটি আল্লাহর সঙ্গে শরিক করার শামিল।
হাদিস ও কোরআন থেকে দলিলসমূহ:
১. মাজারে যাওয়া ও কবর পরিদর্শন:
নবী (সাঃ) বলেছেন:
"আমি তোমাদের কবর পরিদর্শন করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা কবর পরিদর্শন করো, কারণ তা তোমাদেরকে আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।"
- (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৯৭৬)
কবর পরিদর্শন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত, কিন্তু সেখানে শিরক বা বিদআতের কোনো স্থান নেই।
২. মাজারে চাদর দেওয়া বা ধূপ জ্বালানো হারাম:
আল্লাহ বলেন:
"তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছু উপাসনা করে, যা তাদের ক্ষতি বা উপকার করতে পারে না এবং তারা বলে: ‘এগুলো আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী।’"
- (সূরা ইউনুস: ১৮)
এখানে স্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা শিরক।
৩. নবীর (সাঃ) কবরে চাদর নেই কেন?
নবী (সাঃ)-এর কবরকে চাদর বা অন্য কোনো অলংকরণ দেওয়া হয়নি, কারণ এটি বিদআতের অন্তর্ভুক্ত। নবী (সাঃ) নিজেই বলেছেন:
"তোমরা আমার কবরকে উপাসনার স্থানে পরিণত করো না।"
- (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২০৪২)
তিনি আরও বলেছেন:
"ইহুদিরা এবং খ্রিস্টানরা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। তোমরা এমন কিছুর অনুসরণ করো না।"
- (সহীহ বুখারি, হাদিস: ১৩৩০)
উপসংহার:
মাজারে যাওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ নয়, তবে সেখানে শিরক বা বিদআত করা সম্পূর্ণ হারাম। নবী (সাঃ)-এর কবর চাদর বা অলংকরণ মুক্ত রাখা হয়েছে বিদআত ও শিরক থেকে মুসলমানদের বাঁচানোর জন্য।
---
আপনারা সবাই দয়া করে P.A SOLUA ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন! এখানে আপনি ইসলামিক ভিডিওসহ নানা শিক্ষণীয় বিষয় পাবেন, যা আপনার জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতাকে সমৃদ্ধ করবে। নতুন ভিডিওর নোটিফিকেশন পেতে বেল আইকনটি প্রেস করতে ভুলবেন না।