Рет қаралды 18,333
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা কী?॥ কিভাবে আমেরিকা পড়তে আসবেন?
আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম রিকোয়ারমেন্ট থাকে GRE/GMAT আর IELTS/TOEFL। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য এই যোগ্যতা থাকতে হবে- মূলত এই স্কোর আপনার ভর্তি নিশ্চিত করে না।
আমেরিকাতে পড়তে যাবার নুন্যতম যোগ্যতা:
আপনি যদি অনার্স বা ব্যাচেলর পড়তে যেতে চান, তাহলে আপনাকে SAT বা ACT পরীক্ষা দিতে হবে। এসব পরিক্ষায় প্রত্যাশিত ফলাফল করতে হবে। এর পরে আপনার পছন্দের কলেজ কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফর্ম ফিলাপ করে আবেদন করতে হবে।
মনে রাখবেন - ব্যাচেলরে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলো মূলত তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে, কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তি করে না। আমাদের দেশে যেমন হয় তার উল্টোটি।
আপনি যদি মাস্টার্স করতে যেতে চান, তবে আপনার GRE/ GMAT এর স্কোর প্রয়োজন হবে। মাস্টার্স এর বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে, আপনাকে আপনার ব্যাচেলরের ডিগ্রীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যে কোন বিষয় নির্বাচন করতে হবে। মাস্টার্স দুই রকম হয়ে থাকে - কোর্স বেজড ও থিসিস বেজড।
আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম রিকোয়ারমেন্ট থাকে GRE/GMAT আর IELTS/TOEFL এর স্কোর। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য এই যোগ্যতা থাকতেই হবে। মনে রাখবেন - এই স্কোরই আপনার ভর্তিকে নিশ্চিত করবে না। তবে ভালো GRE/ GMAT স্কোর ভর্তির দৌড়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
আমেরিকায় বিভিন্ন শ্রেনীর বা ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে- আপনি আপনার সুবিধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে যাবেন।
আমেরিকা আপনি আপনার পছন্দ যেকোন বিষয়ে লেখাপড়া করতে পারবেন, ডিগ্রি নিতে পারবেন । যেকোন বিষয় মানে, আসলেই যেকোন বিষয়ে। কারণ গবেষনা বা বাস্তবায়ন, যেকোন বিষয়ে নতুন একাডেমিক কোর্স অফার করতে, সবসময় এগিয়ে থাকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলো।
আপনি পড়তে পারেন বিজ্ঞানের যে কোন শাখায়, পড়তে পারেন ইঞ্জিনিয়ারিং এর যেকোন অঙ্গনে, ধরতে পারেন বিজনেস স্কুলের যেকোন অলি-গলি কিম্বা মেডিকেল টেকনোলজী বা সাইন্স সব বিষয়েই পড়তে পারবেন।
মনে রাখবেন আমেরিকাতে আপনি কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্যাথ, বায়োলোজী, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, আইন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাস্তব প্রায়গিক বিদ্যায়। এগুলো নিয়ে গবেষণামুলক লেখাপড়াও করতে পারেন। তবে আমেরিকাতে প্রযুক্তিবিদ্যা ও এপ্লাইড সায়েন্স এ উৎসাহিত করা হয়।।
কোর্স সিলেকশনের চিন্তাটা গেলে এখন আসবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন:
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেবেন? কি কি কারনে সেই বিশ্ববিদ্যালয় টি আপনার জন্য ভালো? এসব বিষয়ে কখন কিভাবে আগাবেন? - এরকম অনেক প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের রয়েছে। ব্যাপারগুলো জানার আগে খুবই কনফিউজিং এবং কঠিকন মনে হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, একটু কষ্ট করে একবার বুলে নিলেই হয়ে যাবে জলবৎ তরলং, অর্থাৎ জলের মতো সহজ [ যদিও কঠিন করে বলতে চাইলে জলের বিষয়গুলো তত সহজ নয়]।
কোন ইউনিভার্সিটি সেরা?
এটা একটা খুব কমন একটা প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নটাকে সামনে রেখে, ইউএসনিউজ প্রতিবছর একটা র্যাঙ্ক লিস্ট প্রকাশ করে। www.usnews.com... এই র্যাঙ্ক লিস্টটি মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। এই র্যাঙ্কিং করার সময় ইউনিভার্সিটিতে - শিক্ষকের কোয়ালিটি, তাদের মোট প্রকাশ করা পেপার, সেই পেপারগুলোর মান, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের দেয়া আর্থিক সাহায্য - এই সবকিছুকে বিবেচনা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিতে পার্কিং সুবিধার মত বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হয়। একাডেমিক বিষয়ের বাইরে অনেক তথ্য বিবেচনা করা হয় বলে, অনেকেই এই র্যাঙ্কিং প্রথার বিরুদ্ধে মতামত দিয়ে থাকেন। তবে সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে এই র্যাংক ব্যবস্থাটি এখনো সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সিস্টেম।
আমেরিকার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য কমন কাগজপত্রের তালিকা :
১। সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট [ ইংরেজী ভাষাতে ইস্যুকৃত হলে ভালো হয়, তা না হলে সর্টিফায়েড ডুপ্লিকেট কপি নিতে হবে ]
২। রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার [ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । খেয়াল রাখবেন তাতে যেন আপনার প্রাসঙ্গীক কাজ সম্পর্কে কথা থাকে, এবং সেই সম্পর্কে পজেটিভ কথা থাকে ] ।
৩। Statement of Purpose বা SOP [ এ সম্পর্কে পরে বিস্তারিত জানানো হবে ]
৪। পাসপোর্টের কপি [ ভ্যালিড ডেট সহ ]
৫। পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৬। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র [ আপনার ক্ষেত্রে যেটি কার্যকর হবে ]।
৭। মাস্টার্স বা Post-Grad শিক্ষার্থীদের জন্য TOEFL/IELTS এবং GRE/GMAT। Under graduation এর জন্য SAT/ACT।
#আমেরিকার_বিশ্ববিদ্যালয়ে_ভর্তির_নূন্যতম_যোগ্যতা #আমেরিকার_উচচশিক্ষা #study_in_usa #arifurrahman