Рет қаралды 16,493
আলোচনার বিষয়:
পীর-মুরীদি: যার পীর নেই তার পীর শয়তান, পীর ধরা ফরজে আয়েন, যে ব্যক্তি পীরের নিকট মুরিদ না হইয়া মরিয়া যায় সে নিশ্চয় কাফের হইয়া মরে | শাইখ ড. মোহাম্মাদ ইমাম হোসাইন | Dr. Imam Hossain
আলোচক:
শাইখ ড. মোহাম্মাদ ইমাম হোসাইন | Dr. Imam Hossain
পিএইচডি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় বিশবিদ্যালয়, গাজীপুর।
খতিব, নদ্দা সরকারবাড়ী মসজিদ ও উত্তরা বায়তুন নূর জামে মসজিদ।
ক্রুসেড যুদ্ধোত্তর এবং বিশেষত তাতার আক্রমনোত্তর মুসলিম বিশ্বে সূফী মাশাইখগণ-ই মূলত দীনী দাওয়াতের ধারা অব্যাহত রাখেন। পাশাপাশি তাসাউফের নামে ব্যাপক শিরক-বিদআত ও কুসংস্কার সর্বত্র প্রসারিত হয়ে যায়। অগণিত জাল হাদীস এ সকল শিরক ও বিদআতের সমর্থনে তৈরি করা হয়। এ সকল জাল হাদীসের একটি:
مَنْ لاَ شَيْخَ لَهُ فَشَيْخُهُ الشَّيْطَانُ
‘‘যার শাইখ (পীর) নেই তার শাইখ (পীর) শয়তান।’’
এ কথাটি হাদীস হিসেবে ভিত্তিহীন ও জাল কথা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বা কোনো সাহাবী-তাবিয়ী থেকে কোনোরূপ সহীহ, যয়ীফ বা জাল সনদেও কথাটি বর্ণিত হয় নি। অনেক পরের যুগের কোনো কোনো বুজুর্গ এ কথাটি বলেছেন। এ কথাটির ভাল ও খারাপ অর্থ হতে পারে।
কুরআন-হাদীসের বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জনের জন্য আলিমগণের সহযোগিতা গ্রহণ মুমিনের জন্য জরুরী । আল্লাহ বলেন: ‘‘তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর’’। আল্লাহ আরো বলেন: ‘‘প্রত্যেক জনগোষ্ঠী থেকে কিছু মানুষ বেরিয়ে যেয়ে দীনের বিষয়ে ফিকহ অর্জন করবে; যেন তারা ফিরে এসে তাদের জনপদকে ভয় প্রদর্শন করে; ফলে তারা সতর্ক হবে।’’ এজন্য আলিমগণের কোনোরূপ সাহচর্য ও সহযোগিতা ছাড়া একাকী কুরআন-হাদীস পড়ে নিজে যা বুঝলাম সেটিকেই চূড়ান্ত বলে হঠকারিতা করা মুমিনকে শয়তানের খপ্পরে ফেলতে পারে। এ অর্থে হয়ত অতীত যুগের কোনো আলিম এ কথাটি বলে থাকতে পারেন।
বিস্তারিত পড়ুনঃ
১. www.hadithbd.com/books/link/?i...
২. www.hadithbd.com/books/link/?i...