Рет қаралды 1,861
কিভাবে খুব সহজে সঠিক নিয়মে ছাগলের কৃমি মুক্তকরন করবেন
Link : • কিভাবে খুব সহজে সঠিক ন...
ফিতা দিয়ে গরু ছাগলের ওজন নির্ণয়ের সঠিক পদ্ধতি (৩০ সেকেন্ডে) Farm & Health | Goat Farm | Touhidul
প্যারামিটার / যা মাপতে হবেঃ
• ছাগলের বুকের বেড়।
• ছাগলের শরীরের দৈর্ঘ্য।
• সকল পরিমাপ ইঞ্চিতে হিসাব করতে হবে।
ওজন নির্ণয় করার পদ্ধতিঃ
১ মনে রাখবেন, ছাগলের ওজন পরিমাপ করতে হবে খালি পেটে। প্রথমে ছাগলকে শান্তভাবে একজন স্থির করে সোজা লম্বা করে ধরে রাখতে হবে।
২ অপরজন ফিতার সাহায্যে ছবির মত করে ছাগলের বুকের বেডের মাপ নিবেন ইঞ্চিতে। ঠিক যেমন টা আমরা কোমড়ের মাপ নিই। এবং তা খাতায় লিখে রাখবেন।
৩ এবার ভিডিওর মত করেই ছাগলের দৈর্ঘ্যের মাপ নিতে হবে ইঞ্চিতে। এক্ষেত্রে ছাগলের সামনের পায়ের উচু হার থেকে পশ্চাৎদেশ পর্যন্ত লম্বা মাপ নিতে হবে ছবির মত করে এবং এটাও খাতাই লিখে রাখবেন।
৪ এবার ক্যালকুলেটর বা মোবাইলের ক্যালকুলেটর বের করুন আর নিচের সূত্র অনুযায়ী প্রথমে বুকের বেড় X বুকের বেড় X দৈর্ঘ্য গুণ করুন এবং সেই গুণফলকে ৬৬০ দিয়ে ভাগ করুন। তাহলে যে ভাগফল আসবে সেটাই হবে কেজিতে আপনার ছাগলের আনুমানিক ওজন।
ছাগলের ওজন মাপার সূত্রঃ
ছাগলের ওজন = ( বুকের বেড় X বুকের বেড় X দৈর্ঘ্য ) / ৬৬০ কেজি
উদাহরনঃ
ধরুন আপনার ছাগলের বুকের বেড়ের মাপ পেলেন ২৩ ইঞ্চি। আর ছাগলের দৈর্ঘ্য পেলেন ২১ ইঞ্চি। এবার আসুন ক্যালকুলেটরে হিসাব করি।
ছাগলের ওজন 🙁 ২৩ X ২৩ X ২১ ) / ৬৬০ = ১৬.৮৩ কেজি।
তাহলে আমরা আপনার ছাগলের আনুমানিক ওজন পেলাম ১৬.৮৩ কেজি।
খুব সহজেই সঠিক নিয়মে
ছাগলের কৃমি মুক্তকরন,
কিভাবে খুব সহজে সঠিক নিয়মে ছাগলের কৃমি মুক্তকরন করবেন? Farm & Health | Goat Farm | Touhidul Haque |
কিভাবে কৃমি মুক্ত করবেনঃ
নিচে কৃমি মুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করা হল:-
* ছাগল, গাড়ল, ভেড়া এই প্রাণী গুলোকে কি
ভাবে কৃমি মুক্ত করবেনঃ এটি ২ টি পদ্ধতিতে করা
যেতে পারে,
১ম সময়ঃ ১-৪ মাস পর্যন্ত বাচ্চা দের কৃমি মুক্ত করার
পদ্ধতি
এবং ২য়ঃ গাভীন সহ বড় পশু গুলোর কৃমি মুক্ত করার
পদ্ধতি ।
১। বাচ্চা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল:- বিভিন্ন খামারী এরং ছাগল
পালন কারীর সাথে আলোচনা করে এবং নিজের
অভিজ্ঞতা থেকে একটি সাধারণ বিষয় লক্ষ্যণীয়
হল ছাগলের ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্মানোর প্রথম ১
মাস বাচ্চা গুলোর দৈহিক বৃদ্ধি ভাল থাকে এবং
দেখতে খুব সুন্দর থাকে কৃমি মুক্ত না করা বাচ্চা
গুলো দ্বিতীয় মাস থেকেই আস্তে আস্তে
দৈহিক বৃদ্ধি এবং সৈন্দর্য কমতে থাকে, দিন দিন
শুকিয়ে যায় আর পেটের সাইজ বড় হতে
থাকে,খুবই ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, আবার পায়খানার
সাথে সাদা সাদা ফিতা কৃমি,হুক কৃমি,চাবুক কৃমি বের হতে
থাকে । বাচ্চা গুলো খুবই দূর্বল হয়ে ধীরে
ধীরে হাড় চামড়ার সাথে ভেসে উঠে কিছু বাচ্চা
মারা যায় আবার কিছু বাচ্চা বছর পার হলেও শরির স্বাস্হ্য
খারাপ হতেই থাকে । আমারা খামারে সাধারণতঃএই
সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছি বা হতে পারি। সেজন্য
নিচের নিয়মে ছাগল,গাড়লের বাচ্চাদের কৃমি মুক্ত
করতে পারলে খামার কে লাভবান করা সম্ভব।
বাচ্চাকে ১ মাস বয়স হলে নিওট্যাক্স,বা এক্সট্রাস
মানুষের সিরাপ জেনেরিক নেইম লিভামিসোল
প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ এমএল
হিসেবে খাওয়াতে হবে । (বিঃদ্রঃ কৃমির প্রভাব
দেখা দিলে ১৫দিন বয়স থেকেও দেওয়া যেতে
পারে।)
২ মাস বয়স পূর্ন হলে এলটিভেট জেনেরিক
নেইম লিভামিসোল + ট্রাইক্লাবেন্ডাজল ৪০ কেজি
দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি ট্যাবলেট হিসেবে
খাওয়াতে হবে ।
৩ মাস বয়স হলে এমেকটিন প্লাস জেনেরিক
নেইম আইভারমেকটিন + ক্লোরসুলন ২৫ কেজি
হিসেবে ১ এমএল চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন
দিতে হবে।
৪ মাস বয়স হলে প্যারাক্লিয়র ফেনবেন্ডাজল
গ্রুপের ট্যাবলেট ১০-২০ কেজির জন্য ১ টি । তার
৭-৮ মাস পূর্ণ হলে বড় ছাগলের রুটিনে কৃমি মুক্ত
করতে হবে । বাচ্চা গাড়ল, ভেড়া, ছাগলের
ক্ষেত্রে যেহেতু ১-২ মাসের অধিক সময়
পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে তাই কৃমির ঔষধ
খাওয়ানোর পর লিভারটনিক না খাওয়াতে পারলে
তেমন কোন সমস্যা হবে না আর ৩-৪ মাসে
কৃমির ঔষধের দেওয়ার পর লিভারটনিক খাওয়াতে
হবে ।
২ । বড় এবং গাভীন ছাগল, ভেড়া, গাড়লের
ক্ষেত্রে :- কৃমি,বাহ্যিক পরজীবী আক্রান্ত
পশুর উদাহরণ এমন যদি আপনি কোন কলসিতে পানি
রাখেন এবং কলসির তলাতে ছিদ্র থাকে তখন কিন্তু
আপনি যতই পানি দিয়ে কলসি পুর্ণ করে রাখেন তা
পানি বের হয়ে হয়ে খালি হয়ে যাবেই । তেমনি
ভিতরে এবং বাহিরের পরজীবী মুক্ত না করতে
পারলে আপনার পশুগুলো যদিও বেছে থাকে তার
পরেও এই পশু থেকে কোন সময় লাভের মুখ
দেখতে পারবেন না ।
কৃমির কারনে পশু দিন দিন শুকিয়ে যাবে খাওয়ার রুচি
কমে যাবে।
শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেবে । ঘন ঘন
পাতলাখানা, পেটফাঁপা, শরীর দূর্বল হয় । লোম
ফেকাসে হয়ে যায়,থেলাজিয়া কৃমির কারনে চোঁখ
দিয়ে পানি ঝড়তে দেখা যায় । অতিরিক্ত ফুসফুস
কৃমিতে আক্রান্ত হলে নাকের নিচে সর্দি
লেগে থাকে সবসময় এবং কোন চিকিৎসা দিয়েও
সর্দি কাশি ভাল করা যায় না । প্রজনন ক্ষমতা কমে
যাওয়া হিটে না আসা, বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা
দেওয়া, ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে
পারে । কিন্তু নিয়মিত কিছু ঔষধ ব্যবহার করলে এই
সকল সমস্যা থাকবে না এবং পশু গুলো খুবই ভাল
থাকবে আর উৎপাদনশীলতা বজায় থাকবে ।
*যে সকল ঔষধ ব্যবহার করলে পশুগুলিকে
যাবতীয় পরজীবী মুক্ত রাখা যাবে :-
অনেকের ধারণা যে কৃমির ঔষধ যে কোন একটি
হলেই কৃমি মুক্ত হয়ে যায়। এ গ্রুপ বা
অন্যগ্রুপের প্রয়োজন কি?
এর উওর পশুর শরীরে ভিতরে এবং বাহিরে
২০-৩০ জাতের বেশি পরজীবী থাকে
যেখানে ২-১ টি নিদৃষ্ট ঔষধে সব গুলোকে দমন
করা সম্ভব না । আবার একই কাজের ভিন্ন ভিন্ন
গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার করা হয় এই কারনে যেখানে
কিছু ঔষধ নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে পরজীবী
গুলো বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না ।
তাই সঠিক ফলাফলের জন্য পরজীবী একই কিন্তু
চিকিৎসা ভিন্ন হলে সঠিক কার্যকারীতা পাওয়া যায় ।
বাংলাদেশ প্রায় ১০-১২ টির বেশি গ্রুপের
পরজীবী মুক্ত করার ঔষুধ পাওয়া যায় আমরা মূলত
৬ টি গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার করি জেনেরিক নেইম
এবং ২ টি বাজার জাতকারী কোম্পানীর নাম সহ
নিচে দিলাম ।