Рет қаралды 2,603
Rohtang pass, Manali || রোটাং পাস মানালি
Rohtang pass, Manali || রোটাং পাস মানালি
Please subscribe my channel - / @chololetstravel
#CholoLetsTravel
#RohtangPass
#Manali
#KalpaKinnour
For more videos please click the below link
For kalpa kinnar …. • Spiti valley travel gu...
Lahul spiti … • lahul spiti tour plan ...
For simla tour plan …… • Shimla Kullu Manali To...
মানালি ঘুরতে আসার আকর্ষণ এর কেন্দ্র বিন্দু তে থাকে পর্যাটকদের মনে রোটাং পাস ঘোরার ইচ্ছা। পর্যাটকরা মনে মনে কল্পনা করতে থাকে যে হোটেলের ঘরে বসে যে বরফ তারা দূর পাহাড়ে গায়ে দেখতে পায় তাকে ছুঁয়ে দেখার, সেই বরফের মাঝে ঘুরে বেড়ানো, ইচ্ছা পূরণের সহজ উপায় হলো রোটাং পাস এ একদিন কাটিয়ে আসা।
রোটাং জোত একটি তিব্বতী শব্দ। যার অর্থ মৃতদেহের স্তুপ। কালে কালে এর থেকে এই জায়গার নাম হয়েছে রোটাং লা বা রোটাং পাস।মানালি থেকে বিপাসা নদী পার হয়ে লা মানালি হাইওয়ে তে ৫১ কিলোমিটার এর দূরত্বে রোটাং পাস অবস্হিত।সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা 4120 মিটার। এই গিরিপথটি পিরপান্জাল এবং হিমালয় পর্বতশ্রেনীর মাঝে অবস্হিত।
এই গিরিপথ অতিক্রম করে উতরাই এর পথ ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় লাহুল উপত্যকায়।
মানালি থেকে চলার পথে বিয়াস নদী পার হয়ে পাইন গাছের মাঝ দিয়ে পথ এগিয়ে চলে। পথে চলতে গিয়ে পাঁচ কিলোমিটার যেতে পরে অজুর্ন গুম্পা এর থেকে আরো এক কিলোমিটার গিয়ে ঠান্ডা জলের প্রসবন - নেহেরু কুন্ড তথা নেহেরু পার্ক। পাশেই হনুমান মন্দির। আর সাত কিলোমিটার গিয়ে পানাচানে মূল জাতীয় সড়ক। এই জাতীয় সড়ক ছেড়ে বাঁহাতে তিন কিলোমিটার চড়াই উঠে পড়ে সোলাং ভ্যালী। অরন্যে ছাওয়া সবুজ উপত্যকা
সোলাং আসলে একটি ঢালু তৃণভূমি। ২৪৮০ মিটার উচ্চতায় স্হিত এই তৃনভূমিটিতে যখন শীতকালীন সময় রোটাং এর রাস্তা বন্ধ থাকে তখন পর্যাটকেরা ঘুরে যান। এই ঢালু ভূমি ও সেই সময় ৪-৫ ইঞ্চি পুরু বরফের আস্তরণে ঢেকে থাকে, হঠাৎ মনে হয় বরফের পাহাড়। বরফের ঢাল বেয়ে যত উপরে ওঠা যায় ততই মনোরম লাগে চারপাশ। এখানে প্রাকৃতিক অপরূপ রূপ কে কাজে লাগিয়ে স্কী, স্কী ডাইভিং, স্কী ডু, প্যারাগ্লাইডিং এর মতো খেলার ব্যবস্হা করা হয়।
সোলাং থেকে রোটাং এর পথে চলতে গিয়ে দুই কিলোমিটার পরে আসে ছোট গ্ৰাম কোঠি। উচ্চতা প্রায় সাড়ে আট হাজার ফুট। চারিদিকে পাহাড় আর গ্লেসিয়ার এ ঘেরা। নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে মানালি অভিমুখে বিয়াস নদী।
কোঠি থেকে আর ১২ কিলোমিটার এগিয়ে গিয়ে পড়ে একটি চমৎকার জলপ্রপাত নাম রহালা। ৩৫০০ মিটার উচ্চে অবস্থিত এই রহেলা জলপ্রপাতে ৭০ মিটার উঁচু থেকে জলরাশি পড়ছে বিয়াস। পাহাড়ি এই ঝর্নার এক আলাদাই রূপ
হিমবাহের রূপ পরিবর্তন এ জলপ্রপাত এবং তারপরে তা স্রোতস্বিনী বিয়াসের রূপের এ প্রবাহ দেখার মতো।
এই পথে আরেকটি জায়গা দেখে নেওয়া যায়, সেটি হলো গুলাবা গ্রাম। এখান থেকে চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এই গ্রামের নামকরণ হয়েছিল কাশ্মীরের রাজা গুলাব সিং এর নামে।
আর আছে মারহি। বরফের ভুবন ভূলানো মারহি মেদুর রমনীয়তা, সুরম্যয প্রকৃতি, অপার সৌন্দর্যময়তা পর্যাটকদের আকর্ষিত করে রাখে। যদি কখনো আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে তাহলে এখানে যাত্রার বিরতি টানতে হয়।
তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই পথে আরো ১৬ কিলোমিটার এগিয়ে গেলে আসে রোটাং।
মারহি থেকে ইচ্ছা করলে উষ্ণ পরিধেয় পোষাক, জুতো ভাড়া পাওয়া যায়। সেগুলো নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যেতেপারে। ষোলো কিলোমিটার পথ শেষে বরফে ঘেরা গিরিপথ রোটাং পাস। এখানে পৌঁছে সারাদিন বরফ নিয়ে খেলা, বরফের পাহাড়ে চাপা, স্কী, স্নো স্কুটার ভ্রমন, ফটো তোলা, চা স্যা ন্কস খেয়ে আনন্দ করে বিকেলে মানালির পথে ফিরে যাওয়া। আর যদি কেউ এই পথে এগিয়ে কাজা বা কেলং যেতে চায় তাহলে সে রোটাং এর আনন্দ উপভোগ করে এগিয়ে যাবে সেই লে মানালি রোড ধরে সেই পথে।