Рет қаралды 2,194
suscribe mY youtube channel please please please please
#support #subscribe #viral #newvideo #newvideo #1k_subscriber_goals #1k_subscribe_channel #4000watchtime #1k #moyor #1k_subscribe_channel
vdo টা ভালো লাগলে চ্যনেলটি অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন।
প্রায় সকল পাখিই আমাদের কাছে সুন্দর মনে হয়। তবে সবচেয়ে বেশী সুন্দর পাখিদের তালিকা করলে সেখানে অবশ্যই ময়ূর স্থান পাবে। সচারাচর চিরিয়াখানায় আমরা যে নীল রঙের ময়ূর দেখি সেটি হচ্ছে ভারতীয় ময়ূর বা দেশি ময়ূর। এর বৈজ্ঞানিক নাম Pavo cristatus আর ইংরেজি নাম Indian peafowl, common peafowl,blue peafowl ইত্যাদি। সংস্কৃতি নাম হলো কলাপী, কেকা, কেকী, শিখী, শিখণ্ডী, বর্হী, বর্হিণ এইগুলি।
এই নীল ময়ূর ছাড়াও ধবধবে সাদা রঙের আরেকটি ময়ূর আছে। এই সাদা ময়ূর দেখতে বেশ চমৎকার।এই সাদা ময়ূর হল ভারতীয় নীল ময়ূরের একটি প্রজাজাতী।এরা লিউসিস্টিক (Leucistic) এর প্রভাবে নীল না হয়ে সাদা রঙের পালক নিয়ে জন্মায়। এটি এমন একটি অবস্থা যা পশু-পাখির চামড়া বা পালককে প্রভাবিত করে এবং তাদের চামড়া বা পালক থেকে সমস্ত রং সরিয়ে দেয়। ফলে সেই সব পশু-পাখির চামড়া বা পালক সাদা বা ফেকাসে দেখায়। অন্যান্য ময়ূরের মতো সাধারণত এদের বনে বাস করতে দেখা যায় না।
এই ময়ূর মানুষের কাছাকাছি খুব একটা আসতে চায় না, তবে যেসব ময়ূর মানুষ দেখে অভ্যস্ত হয়ে যায় তারা মানূষকে ভয় পায়না মোটেও। একারণেই আমরা চিরিয়াখানায় ময়ূরকে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেরাতে দেখি, দেখি পেখম তুলতে।
ময়ূরের মূল আকর্ষণ তার পেখম। মূলত পেখম থাকে পুরুষ ময়ূরের। স্ত্রী ময়ূরকে (ময়ূরীকে) আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষ ময়ূর পেখম তোলে নাচে। স্ত্রী ময়ূরেরও পেখম থাকে, তবে তা আকারে অনেক ছোট এবং পুরুষ ময়ূরের মতো এতো বর্ণময় সুন্দর নয়। অন্য প্রাণিদের বা শত্রুকে ভয় দেখাবার জন্য স্ত্রী ময়ূর তার পেখম তোলে। ভারতীয় নীল ময়ূরের মত সাদা ময়ূরের পেখমে নীল রংয়ের বড় ফোঁটা নেই। সাদা ময়ূরের সকল অংশই সাদা, এমনকি পেখমও সম্পূর্ণ সাদা। এরাই সাদা ময়ূর বা শ্বেত ময়ূর ইংরেজিতে White peacock বা White Peafowl.
এদের দৈঘ ১০০-১২০ সেন্টিমিটার।স্ত্রী ময়ূর এর দৈাঘ ৮০-১০০ সেন্টিমিটার হয়।ওজনে পুরুষ ময়ূর গুলো ৫-৬ কেজি পযন্ত হয় ইতিমোড়গুলো স্ত্রী মুয়ূরগুলো ওজনের দিক দিয়ে ৩-৪ কেজি হয়। খাবার হিসেবে এরা ধান গম ভুট্টা ও অন্যন্য শস্যদানা দূবা ঘাস এর বীজ পোকামাকড় ইত্যাদি। খুব বেশী উড়তে পারেনা বলেই হয়তো মাটিতেই বাসা বাঁধে ময়ূরেরা। এরা সাধারনত ৬ থেকে ৮টি ডিম পারে। বাসায় ডিম পেরে ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়। সাধারণত ২৮ দিনে ডিম ফুটে বাঁচ্চা বের হয়। বাঁচ্চাগুলি মুরগির বাঁচ্চার মতই মায়ের সাথে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। ময়ূর কিন্তু জন্ম থেকেই এমন সুন্দর পেখম পায় না। ছোট অবস্থায় ময়ূর এবং ময়ূরী দেখতে একই রকম থাকে। তাদের বয়স যখন ৬ মাস হয় তখন তাদের পালকের রং বদলাতে থাকে। পুরুষ ময়ূরের বয়স যখন প্রায় ৩ বছর হয় তখন তার পেখম জন্মায়। প্রতি বছর প্রজনন শেষে ময়ূর তাঁদের পেখম বদলায়। তাঁদের লেজের বর্ণিল পাখাগুলো দেহ থেকে ঝরে পড়ে। ঝরেপরা সেই পালকগুলিই সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়। পুরুষ ময়ূর দেখতে খুব সুন্দর হলেও এদের ডাক কিন্তু কর্কশ। এখন বলি এদের যদি আপনি পালন করতে চান তাহলে কি আপনার লাইসেন্স লাগবে। হ্যা বন্য প্রাণী পালতে হলে আপনাকে লাইসেন্স করতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে আপনি লাইসেন্স কোথা থেকে করবেন। লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বন বিভাগ এসে আপনাকে দেখবে ময়ূর পালার মতো যথেষ্ট জায়গা আছে কিনাযদি থাকে তবেই আপনাকে বন বিভাগ লাইসেন্স দিবে। লাইসেন্স সহ আপনি যদি চিড়িয়াখানা থেকে কিনতে যান সে ক্ষেত্রে দামটা একটু কম পড়বে। দাম আপনার ৬০-৭০ হাহার টাকার মতো হবে। বাচ্চা কিনতে গেলে দাম কিছুটা কম পড়তে পারে। তবে আপনি যদি লাইসেন্স ছাড়া বাহির থেকে সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাকে লাখ খানিক টাকা গুনতে হবে। আমার মতে সরকারি ভাবে লাইসেন্স নিয়ে ময়ূর পালন করলে সব থেকে ভালো হবে।