Рет қаралды 2,834
Tashiding Tourism Property/ Morgan house annex
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কালিম্পং পৌঁছাতে সময় লেগেছিল মোটামুটি ঘন্টা তিনেক। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ আমরা আমাদের বাংলোয় পৌঁছই। এবার বলি এই বাংলোটার গল্প। মর্গান হাউসের নাম বেশিরভাগ বাঙালি শুনে থাকলেও এই বাংলোটি অনেক ক্ষেত্রেই প্রচারের আলো পায়নি। এটি প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো বাংলো। এক সময় ছিল ডেনমার্কের রাজার। তারপর ভুটানের রাজ পরিবার সেখানে বসবাস করতেন। বর্তমানে প্রপার্টি টি ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজমের অন্তর্গত। স্কটিশ স্ট্রাকচারে তৈরি বাংলোটি প্রথম দর্শনে নজর কাড়লো। পুরনো পিলার ,মাথার ওপর চিমনি, বিল্ডিংটার গায়ে জড়িয়ে রয়েছে সবুজ লতা। এক ঝটকায় দৈনন্দিন কোলাহল মুখর শহর ছেড়ে পৌঁছে গেলাম colonial era য়। আমরা যখন পৌঁছলাম তখন আবহাওয়া ছিল মেঘাচ্ছন্ন। রুমে পৌঁছাতেই আমরা একটা রাজকীয় অনুভূতির সাক্ষী হলাম। কাঠের সিঁড়ি পেরিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি বেশ বড় রুম পুরানো ফার্নিচার, ফায়ার প্লেস, বাথরুমটাও বেশ অন্যরকম। আর জানালা উফ এত অপূর্ব ভিউ জানালার বাইরে যে চোখ জুড়িয়ে গেল। আবহাওয়াটা ছিল কি রকম মায়াবী।
এবার আসি, সানডে সাসপেন্স বা সত্যজিতের গল্প বা সিনেমার প্রসঙ্গে। অনেকেই নিয়ে নিশ্চয়ই সত্যজিৎ রায়ের গল্প 'ব্রাউন সাহেবের বাড়ি' পড়েছেন। আবার অনেকে হয়তো সানডে সাসপেন্স এ গল্পটা শুনেছেন। আর যারা সিনেমা প্রেমী তারা 'যেখানে ভূতের ভয় 'নিশ্চয়ই বাদ দেননি?! সিনেমাটির প্রথম অংশের পুরো শুটিং টাই এই তাসিডিং ট্যুরিজম প্রপার্টিতে হয়েছে।
এই প্রপার্টি নিয়ে আমি একটি দীর্ঘ ভিডিও করেছি। জানি সকলেরই সময় খুব কম, তাও অনুরোধ করবো একবার দেখার কারণ এটি আমি খুব মন থেকে বানিয়েছি এবং যারা লেখাগুলো পড়তে ভালোবাসেন কিন্তু হয়তো কিন্তু বাস্তবে ঘুরতে যেতে পারেন না তারা যাতে মানস ভ্রমণ করতে পারেন সেই জন্যই দীর্ঘ ভিডিওটি করা। ইটস আ কাইন্ড অফ ডকুমেন্টারি।
এখন প্রশ্ন হল এই প্রপার্টিটাও কি হন্টেড? তার জন্য আগে ভিডিওটা দেখুন। বাকি গল্পটা পরেই বলবো।
এখানে পাঁচটি রুম রয়েছে- ১২০০ ( সিনেমায় যে রুমটিতে আবিরকে থাকতে দেয়া হয়েছিল),১৫০০,২৪৯৯,২৪৯৯ ( এর মধ্যে ১১ নম্বর রুমটায় আমরা ছিলাম যেখানে আবির ব্রাউন সাহেবের ডায়েরিটা ভাস্বরকে দেখিয়েছিলেন), ২৮০০ ( রুমটি টেরেসসহ রুম,যেটি ভাস্বর আবিরকে দেখায় তার রুম বলে)।