Рет қаралды 717
দুভারতীয় উড়ন্ত শিয়াল ( Indian Flying Fox ) যা আমরা
বাড় নামে জানি৷ বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল, পাকিস্তান,
তিব্বত, মালদ্বীপ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা সহ ভারতীয়
উপমহাদেশ জুড়ে পাওয়া যায়৷ সূত্র : উইকিপিডিয়া৷
বিশেষ করে শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে উচু বা লম্বা
গাছের ছড়িয়ে থাকা শাখায় কলোনী করে থাকতে পছন্দ
করে৷ এরা সংখ্যায় প্রায় হাজারের ওপর এক জায়গায়
এক সাথে থাকতে দেখা যায়৷
ভারতীয় উড়ন্ত শিয়াল ( বাদুড় ) অমৃতভোজী
অর্থাৎ ফল বা ফুল থেকে অমৃত পান পাকা আম,
গাছ পাকা কলা এবং বিভিন্ন চাষকৃত আনাকরে৷ এরা নিশাচর
প্রাণী৷ সন্ধ্যা হলেই পাকা ফলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে৷
পছন্দের মধ্যে প্রিয় খাবার পাকা ডুমুর, জও খায়৷
গাছপাকা সুপারি, আমড়া, কাঠ বাদাম ইত্যাদি৷
বাদুড়ের পছন্দসই এলাকায় নিপা ভাইরাসের
প্রাদুর্ভাব বেশী হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও গভেষকরা মনে
করেন যে “ বাদুড়ের উপস্থিতি এবং নিপা ভাইরাস সংক্র-
মণের ঝুকিপূর্ণ কারণ হিসাবে বিবেচিত হয় না “৷ বরং
খেজুরের রস খাওয়া সংক্রমণের একটি উল্লেখযোগ্য
কারণ৷ খেজুরের রস সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে গাছে পাত্র
সংগ্রহ করা৷বাদুড়রা পাত্রের মধ্যে নলবাহিত রস পড়ার
সাথে সাথে রস চাটতে দেখা যায়, সেই সাথে পাত্রের
নিকটবর্তী স্থানে মলত্যাগ এবং প্রস্রাব করে৷ এই ভাবে
যারা খেজুরের রস পান করে তারা বাদুড়ের ভাইরাসের
সংস্পর্শে আসতে পারে৷
যে এলাকায় বাদুড় বসবাস করে সেই এলাকায়
ঐ গাছের কাছাকাছি মাটিতে বিভিন্ন রকমের আধ
খাওয়া ফল পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ ওখানে খেলতে
আসসা বাচ্চারা তা মুখে তুলে খেতে দেখা যায়৷ সেখান
থেকে সংক্রমণের সম্ভবনা বেশী থাকে৷
মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই রকম
একটা বড় এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে পাত্র পাড়ায়৷বাদুড়
তলা ( পঞ্চানন তলা ) নামে চেনে এলাকার অধিবাসীরা৷
চারিদিকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা জায়গার মধ্যে একটা বট
গাছে অনেকদিনের বাস বাদুড়রা তাঁদের পরিবার নিয়ে
থাকে৷ সেখানে মন্দিরও গড়ে উঠেছে৷ ছোট ছোট ছেলে
ও মেয়েরা খেলা করে৷পৌরসভা থেকে পাশে একটি পার্ক
করে দেওয়া হয়েছে৷
পথ নির্দেশ : মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনের কাছে পাত্র পাড়া
অটো স্ট্যান্ড থেকে অটো বা টোটো করে সাহেবাগান
শেষ স্টপেজে নেমে বাদুড় তলা বা পঞ্চানন তলা পৌছে
যাবেন৷ নিজস্ব গাড়ী নিয়ে ঋষি অরবিন্দ রোড ধরে
সরাসরি পঞ্চানন তলা বা বাদুড় তলা পৌছাতে পারেন৷