Рет қаралды 1,958,870
তাকদিরের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। কেননা, যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, সকল বিষয় লিপিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে, আল্লাহ না চাইলে কেউ কারো কোন ক্ষতি করতে পারে না; সে ব্যক্তিকে দুঃশ্চিন্তা কাবু করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ উম্মতকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন। তিনি বলেন,
أَنَّ الْأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ وَلَوْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ رُفِعَتْ الْأَقْلَامُ وَجَفَّتْ الصُّحُفُ
জেনে রাখ, সমস্ত মানুষ যদি তোমার কোন উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তা ব্যতীত আর কোন উপকার করতে পারবে না। আর যদি সমস্ত মানুষ তোমার কোন অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে। (তিরমিযি ২৫১৬)
অপর হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
وَاعْلَمْ أَنَّ مَا أَخْطَأَك لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَك، وَمَا أَصَابَك لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَك، وَاعْلَمْ أَنَّ النَّصْرَ مَعَ الصَّبْرِ، وَأَنْ الْفَرَجَ مَعَ الْكَرْبِ، وَأَنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
মনে রেখো, যা তুমি পেলে না, তা তোমার পাবার ছিল না, আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকতে না। আরো জেনে রাখো, ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে। (ইমাম নববই-কৃত আলআরবাঈন-১৯)
দুই- চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দিন। দুনিয়ার মুসিবত নয়; বরং সবচে’ বড় মুসিবত তো হল আখেরাতের মুসিবত। সুতরাং চিন্তার ‘কেন্দ্রবিন্দু’ দুনিয়াকে না বানিয়ে আখেরাতকে বানান। এখন থেকে এভাবে চিন্তা করুন এবং এটাই যেন হয় মূল চিন্তা যে, আমি আখেরাতে আল্লাহর সামনে তাঁর সন্তুষ্টি নিয়ে দাঁড়াতে পারব তো! রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
مَنْ جَعَلَ الْهُمُومَ هَمًّا وَاحِدًا هَمَّ آخِرَتِهِ كَفَاهُ اللَّهُ هَمَّ دُنْيَاهُ وَمَنْ تَشَعَّبَتْ بِهِ الْهُمُومُ فِي أَحْوَالِ الدُّنْيَا لَمْ يُبَالِ اللَّهُ فِي أَىِّ أَوْدِيَتِهَا هَلَكَ
যে ব্যাক্তি তার সমস্ত চিন্তাকে একই চিন্তায় অর্থাৎ আখিরাতের চিন্তায় কেন্দ্রীভূত করেছে, আল্লাহ তার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট। অপর দিকে যে ব্যাক্তি যাবতীয় পার্থিব চিন্তায় নিমগ্ন থাকবে সে যে কোন উন্মুক্ত মাঠে ধ্বংস হোক, তাতে আল্লাহ্র কিছু আসে যায় না। (ইবনু মাজাহ ২৫৭)
তিন- আপনার থেকেও যার অবস্থা আরো করুণ ও বেগতিক; তার দিকে তাকিয়ে উপদেশ গ্রহণ করুন। ভাবুন, আল্লাহ আপনাকে তার থেকেও ভাল রেখেছেন। বর্তমান মনোবিজ্ঞানীরাও ডিপ্রেশনের চিকিৎসা হিসেবে রোগীকে এভাবে চিন্তা করার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কেউ যদি ঋণগ্রস্থ হয়, বলা হয়, ‘তোমার চাইতে অবস্থা যার আরও খারাপ তার দিকে তাকাও। তুমি অসুস্থ; তোমার চেয়েও অসুস্থ আছে। তুমি অসহায়; তোমার চেয়েও অসহায় আছে।’ এভাবে চিন্তা করুন, দেখবেন, অস্থিরতা লাঘব হবে।
আমাদের নবীজীও দেড় হাজার বছর আগেই চিকিৎসার এ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন। হাদিসে এসেছে, খাব্বাব ইবনু আরাত্ত্ রাযি. বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর কাছে অভিযোগ করলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি কা‘বা ঘরের ছায়ায় একটি চাদরে ঠেস দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা বললাম যে, ‘আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন না? আপনি কি আমাদের জন্য দো‘আ করবেন না?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘তোমাদের জানা উচিত যে, তোমাদের পূর্বেকার মু’মিন লোকেদের এই অবস্থা ছিল যে, একটি মানুষকে ধরে আনা হত, তার জন্য গর্ত খুঁড়ে তাকে তার মধ্যে পুঁতে রাখা হত। অতঃপর তার মাথার উপর করাত চালিয়ে তাকে দু’খণ্ড করে দেওয়া হত এবং দেহের গোশতের নিচে হাড় পর্যন্ত লোহার চিরুনী চালিয়ে শাস্তি দেওয়া হত। কিন্তু এই কঠোর পরীক্ষা তাকে তার দ্বীন থেকে ফেরাতে পারত না। (বুখারী ৩৬১৬)
চার- আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন এবং তাঁর প্রতি এ সুধারণা রাখুন যে, তিনি আপনাকে আপনার দুরাবস্থা থেকে নাজাত দিবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।’ (তালাক ৩)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন,أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي আমি সেইরূপই, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। (বুখারী ৬৯০১)
পাঁচ- ধৈর্য্যধারণ করুন। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
وَاعْلَمْ أَنَّ النَّصْرَ مَعَ الصَّبْرِ، وَأَنْ الْفَرَجَ مَعَ الْكَرْبِ، وَأَنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
জেনে রাখো- ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে। (ইমাম নববই-কৃত আলআরবাঈন-১৯)
Fair Use Disclaimer:
=================
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
"Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use."