মাশাল্লাহ জাজাকাল্লাহ --অসাধারন আলোচনা, অনেক উপকৃত হলাম।
@abdulmalek94233 жыл бұрын
Jajakallah.khaira
@miningfullife16002 жыл бұрын
28:00
@faisalahmed43107 жыл бұрын
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সংশ্লিষ্ট সুওয়াল জওয়াব ****************************************************************** সুওয়াল: সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ে একটু তাত্ত্বিক বিশ্লেষন ================================================= মহান আল্লাহ পাক বলেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি বলে দিন, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম।” (পবিত্র সূরা ইউনূছ আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৫৮) আমরা মু’মিনমুসলমান, নবীজীর আশেকগন এই আয়াত শরীফে “অনুগ্রহ ও রহমত’ বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝে থাকি।বাতিল ফির্কা তখন দলীল দেয় অনেক মুফাসসির তো এই আয়াতে “অনুগ্রহ ও রহমত” বলতে ১)কুরআন শরীফ ২)ইসলাম ৩)ইলিম ৪)হেদায়েত ৫)নেক আমল ইত্যাদি বুঝিয়েছেন (যদিও শক্ত দলীল দ্বারা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে) হ্যাঁ, ভালো কথা। কোন সমস্যা নাই। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, যদি অনুগ্রহ ও রহমত এর অর্থ কুরআন শরীফ ধরা হয় তবে কুরআন শরীফ পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে হবে। কারন কুরআন শরীফ আল্লাহ পাকের নিয়ামত। যদি ইসলাম, ইলিম, হেদায়েত, নেক আমল ধরা হয় তবে অর্থ হচ্ছে এই সকল নিয়ামত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ নিয়ামত পাওয়ার জন্য খুশি প্রকাশ করতে হবে এই কনসেপ্টে আপনিও একমত হলেন। এবার পয়েন্টে আসেন, যিনি রহমাতুল্লীল আ’লামীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে না পেতেন তবে কি আপনি কুরআন শরীফ পেতেন? রহমাতুল্লীল আ’লামীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে না পেতেন তবে কি ইসলাম পেতেন? ইলিম পেতেন? হেদায়েত পেতেন? নেক আমল পেতেন? এসকল নেক আমল, নেক আমল হিসাবে প্রকাশ হয়েছে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের ফলে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, সবচাইতে বড় এবং মূল নিয়ামত হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সবচাইতে বড় অনুগ্রহ হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আর তিনিতো সমগ্র আলমের রহমত (সূরা আম্বিয়া ১০৭) মোটকথা হচ্ছে যদি আমরা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করি তাহলে এই খুশি প্রকাশের মাধ্যমে কুরআন শরীফ ,ইসলাম, ইলিম, হেদায়েত, নেক আমল সবকিছুর জন্য শুকরিয়া ও খুশি প্রকাশ হয়ে যায়। কারন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন জামিউন নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ। এখন যদি প্রশ্ন করি, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে আপনি কি খুশি? মনে হয় না, মুসলমানদের মধ্যে এমন কোন গোত্র আছে সে বলবে যে খুশি নয়। নাউযুবিল্লাহ। অস্বীকার করার সুযোগই নেই। খুশি নয় বললে সে ঈমানদারই থাকতে পারবে না। কারন একমাত্র ইবলিশ ই নাখোশ ছিলো (বিদায়া ওয়ান নিহায়া)। নাউযুবিল্লাহ। অর্থাৎ সবাই খুশি। তাহলে এই খুশি প্রকাশের কথা স্বীকার করতে এত গড়িমসি কেন? কেন এত দ্বীধা দন্দ? কেন এ্ত বির্তক? যদি মু’মিনমুসলমানহনতবেতোআপত্তিকরারসুযোগনেই।তাইআসুনসবাইএকযোগেঅন্তরেরঅন্তস্থলথেকেবলুন, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম। (পবিত্র সূরা ইউনূছ আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৫৮)
@delwarhussain23646 жыл бұрын
মাশাল্লাহ অসাধারণ যুক্তি উপস্থাপন করলেন। কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল যুক্তি দিয়ে ইসলাম বা শরীয়া চলে না।ইসলাম চলে একমাত্র রাসুল (সা:)আদর্শ এবং নির্দেশ এবং সাহাবাদের আদর্শ দিয়ে,যা রাসুলের বানী দ্বারা প্রমাণিত। যাইহোক মূল কথায় আসি,আপনি প্রমান হিসেবে যে আয়াত গুলো উপস্থাপন করলে,উক্ত আয়াত কার উপর নাযিল হয়েছিল ?কাদের যামানাতে নাযিল হয়েছিল।অবশ্যই রাসুল (সা:)এর উপর নাযিল হয়েছিল, সাহাবীদের যামানাতেই নাযিল হয়ে ছিল। তারা কি এসব আয়াতের উপর আমল করেনি ?তারা কিভাবে উক্ত আয়াত গুলো বিশ্লেষণ করেন নি। রাসুল কি উক্ত আয়াত গুলো নিয়ে এমন কোন নির্দেশনা দিয়েছিল। যে রাস্তায় নাম,হালুয়া রুটি খাও,আনন্দ উল্লাস ফূর্তি কর ইত্যাদি। বর্তমানে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যেসব কার্যক্রম করা হয়,এসব সাহাবাদের আদর্শ বা কাজ দিয়ে প্রামাণিক নয়। যাহা রাসুলুল্লাহ এর আমলে নেই,বা সালফে সালেহীনদের আদর্শে নেই তা আমরা কেন মানবো?তাদের থেকে দ্বীনকে কে উত্তম বুঝবে ? আপনি এসব যুক্তি না দেখিয়ে, ইসলামের খাইরুল করুনে এসব ঘটেছিল বা তারা করেছিল পারলে প্রমাণ দিন, বা রাসুল এসব করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পারলে প্রমান দিন। সারে ১৪শ বছর পরে এসে,কুরআনের আয়াতকে নতুন বিশ্লেষণ করলে চলবে না। আর নতুন কোন বিষয় সংযোজন বা বিয়োজন করলে বিদাআত হয়ে যাবে,আর বিদাআত কারীর স্থান জাহান্নাম। আশা করে কিছুটা হলেও বুঝাতে পারলাম।