Рет қаралды 51,709
বাংলাদেশে ২০২২ সালে ৬০০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এদের মদ্ধ্যে সবাই স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।
আঁচল ফাউন্ডেশন এর সমীক্ষায়, বাংলাদেশ এ প্রতি মাসে আত্মহত্যা করে ৪৫ জন শিক্ষার্থী। এবং এই রেইট দিন এর দিন বেড়েই চলেছে।
আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন, এইচ এস সি এর পর পরীক্ষার্থীদের আত্মহত্যা,
আপনি কয়েক হাজার নিউজ পাবেন, আরটিকেল পাবেন।
এর মদ্ধ্যে ঢাকা বিভাগ এর শতকরা হার সবচেয়ে বেশি, ২৩.৭৭% , আর তার পরেই চট্টগ্রাম বিভাগ - ১৭.২৭%
পৃথবীতে যদি সবচেয়ে কঠিন কোনো কাজ থেকে থাকে, সেটা হলো নিজেকে নিজে হত্যা করা। সেচ্ছায় এই সুন্দর মায়া ভরা পৃথিবী, বাবা মা, ভালোবাসার মানুষ সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়া এতটা সহজ বিষয় না। দেয়ালে পিঠ কতটা কঠিন ভাবে ঠেকলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা আর মাথায় আসে না। কঠিক কতটা কষ্ট পেলে শিক্ষার্থী রা এরকম কঠিন একটা কাজ করতে পারে!
এর দায়ভার কে নেবে? এই এত গুলো জীবনের দায়ভার কি আমাদের দেশ এর ভাঙাচোরা শিক্ষা ব্যাবস্থা কে নিতে হবে না?
পৃথিবীর আর কোনো দেশে জিপিএ ফাইভ বা গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ নামক এই উদ্ভট জিনিসটি আছে কিনা আমার জানা নেই। এসএসসি পাশের পর যারা জিপিএ ফাইভ পায় তারা আনন্দ করে, যারা পায়না তারা কান্নাকাটি করে, আর ফেইল করলে তো কথাই নাই।
জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর ভুল জবাব শুনে সাংবাদিক, মানুষ হাসি তামাশা করে। শিক্ষার্থীকে নিয়ে হাসিতামাশা করলে উচ্চ শিক্ষার কি খুব বেশি উন্নতি সাধন হয়ে যাবে?
হাসি তামাশা যদি করতেই হয় তাহলে এই জগা খিচুড়ি শিক্ষা ব্যাবস্থা কে নিয়ে করা উচিত।মানলাম ,দশভাগ শিক্ষার্থীর দোষ। কিন্তু বাকি নব্বই ভাগ দোষ এই এডুকেশন সিস্টেমের।
ফার্মেসী বিভাগের মেধাবী ছাত্রটি ডিসি এসপির ক্ষমতা দেখে ফার্মেসীর সমস্ত জ্ঞান চাঙে তোলে বিসিএস গাইড পড়ে সে ডিসি এসপি হয়। সাহিত্যের ছাত্রটি রাস্তায় রাস্তায় খাবারের ভেজাল চেক করে। এসএসসি শিক্ষার্থীরা জিপিএ ফাইভে আর উচ্চ শিক্ষার্থীরা বিসিএসের স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে।
রোবট সোফিয়া কে বাংলাদেশে আনার কথা মনে আছে? ইনোভেশন শেখাতে কোটি টাকা খরচা করে রোবট সোফিয়াকে আনা হলো।
আর ছাত্ররা শিখলো- সোফিয়া এসেছিলেন কবে? সোফিয়া কি নায়িকার নাম নাকি গায়িকার নাম- নাকি এ দুটোর কোনটিই নয়। এগুলো আমরা মুখস্থ করবো। ইউনিভারসিটি তে চান্স পাবো, বিসিএস পাশ করবো। কিন্তু সোফিয়া কিভাবে কাজ করে-সেটা কোনোদিনই জানবোনা।
বাইরের উন্নত দেশ গুলো যেখানে মেসি নেইমার রোনালদো তৈরী করে, তখন আমাদের দেশ এর ছাত্র ছাত্রীরা গোল্ডেন জি পি ফাইভ এর পেছনে দৌড়ায়।কেউ যদি ভুলে মেসি রোনালদো হওয়ার স্বপ্ন দেখেও ফেলে, তাকে কিছু দিন পর নাপিতের দোকানে কাজ করতে হয়।
এই অভিশাপ এর শেষ কোথায়?
তা একটু পরে আপনারাই বুঝতে পারবেন। দেখতে থাকুন ভিডিও টা।
পড়াশুনার বেহাল দশা এতটাই প্রকট যে, আমাদের দেশ এ একটা শিক্ষার্থী তার নিজের মত করে স্বপ্ন দেখতেও ভয় পায়। বাবা এসে বলে যায়, জি পি ফাইভ না পেলে আত্মীয় স্ব্জন এর কাছে মুখ দেখানো যাবে না। মা এসে বলে যায়, পড়াশুনা না করলে জীবনে কিছুই হবে না।
বোর্ড পরীক্ষা আর চাকরি বাকরি বেকারত্ব এর কথা বাদই দিলাম। বাংলাদেশ এ একটা ছাত্রের জন্য যদি সবচেয়ে কঠিন কোনো কাজ থেকে থাকে, তাহলে সেটা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পাওয়া।
সব গুলো সরকারী বিশ্বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট এর সিট এর সংখ্যা যোগ করলে দাড়ায়, ৪৮ হাজার ৩৪৩ টি। আর এবছর এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছে ১৬ লক্ষ এর বেশি শিক্ষার্থী।
দুনিয়া উল্টায়া গেলেও, সাড়ে ১৫ লাখ শিক্ষার্থী দেশের কোনো সরকারী বিশবিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পাবে না - এটাই স্বাভাবিক।
এই সাড়ে পনেরো লাখ এর কেউ কেউ ভরতি হবে বেসরকারী তে। কেউ কেউ বাপের টাকায় বিদেশ পাড়ি দিয়ে এই জগাখিচুড়ি শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে মুক্তি নিবে। কেউ কেউ আই এল টি এস আর স্কলারশিপ এর মাধ্যমে দেশ কে মেধা শুন্য করে উন্নত রাষ্ট্রে পড়তে যাবে আর কখনোই ফিরে আসবেনা।
কোনো কোনো মেয়ের পড়াশুনার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে বিয়ের মাধ্যমে। কোনো কোনো ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, পরিবার এর ইনকাম এর হাল ধরার জন্য।
মোটা অংশের একটা শিক্ষার্থী করবে আত্মহত্যা।
আবার অনেকে না পারবে বাপের টাকায় বিদেশ যেতে, না পারবে বেসরকারী তে পড়তে।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তে সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে। যেটা খুব একটা ফল্প্রসু সিদ্ধান্ত না।
কারণ, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ই সেকেন্ড টাইম প্রিপারেশন এর সময় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে আর উল্টা পাল্টা গাইড লাইনে প্রথম বারের মত দিতীয় বারেও কোথাও চান্স পায়না।
আপনাদের মদ্ধ্যে যারা সেকেন্ড টাইম এর প্রিপারেশন নিচ্ছেন, তাদের জন্য ভালো গাইড লাইন আর কোচিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আর এই বিষয়ে আপনাদের কে সেকেন্ড টাইম এর বেস্ট কোচিং প্লাটফর্ম "লিজেন্ড কেয়ার একাডেমী" সাহায্য করতে পারে।
অনলাইন এবং অফলাইনে,
৮ বারের সফলতায় ৯ম বারের মত তারা যেই কোর্স্টি চালু করেছে, যেই কোর্সে আপনারা ৩০০ ক্লাস এর পাশাপাশি ৩৫০ টা এক্সাম দেওয়ার সুযোগ পাবেন। বাকি ডিটেইলস কমেন্ট বক্সে।
যাই হোক, শিক্ষা ব্যাবস্থা এর এই বেহাল দশা আমাদের দেশ এর ছাত্র ছাত্রীদের জীবনে যে অভিশাপ ডেকে এনেছে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, অতবা, সম্ভব হলেও তা কিভাবে সম্ভব আমার জানা নেই।
আপনার কি হয়? এই দেশ কি শিক্ষার্থী দের মেধাশূন্য হওয়ার দৌড় থেকে আটকাতে পারবে? এতগুলো প্রাণ এর দায়ভার নিয়ে সমাধান দিতে পারবে?
The Harsh Reality Of Bangladeshi Education System | Nasir Tamzid Official
#bangladesh #nasir #tamzid #official #education_system #harsh_reality #nasir_tamjid